প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০
আউটার স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের পাঁচদিনব্যাপী স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প
চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে জেলা ও উপজেলার উদীয়মান ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের নিয়ে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প। ক্লেমন গ্রুপের ব্যবস্থাপনায় এবং চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীর আয়োজনে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এ ক্যাম্প। ক্যাম্পের মূল দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং বর্তমান এইচপি টিম ও বয়সভিত্তিক দলের কোচ মুর্তজা। তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ‘এ’ দল ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সাবেক ক্রিকেটার চাঁদপুরের গাজী আলমগীর।
ক্লেমন চাঁদপুর ক্রিকেট একাডেমীতে প্রশিক্ষণ নেয়া সকল বয়সী ক্রিকেটারই প্রতি বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচদের মাধ্যমে স্কিল ক্যাম্পসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ পাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে একাডেমীর অনূর্ধ্ব ১৬ ও অনূর্ধ্ব ১৮ দলের প্রায় ৫০ জন ক্রিকেটার স্কিল ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে কোচ ও ক্রিকেটারদের সহযোগিতায় রয়েছেন জেলার ক্রিকেট কোচ ও ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমী চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাতা শামিম ফারুকী।
চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমী সূত্রে জানা যায়, সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। সকালের সেশনে অনূর্ধ্ব ১৮/১৬ দলের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৫ জন ক্রিকেটার এবং বিকেলের সেশনে অনূর্ধ্ব ১৪/১৩ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে স্কিল ক্যাম্পটি পরিচালিত হচ্ছে। ক্যাম্প চলাকালীন সময়ে দেখা গেছে সকালে এবং বিকেলে ক্রিকেটারদের অভিভাবকরা মাঠে উপস্থিত থাকছেন।
জনাব শামিম ফারুকী এ প্রতিবেদকেক বলেন, এ স্কিল ক্যাম্পটিতে সকালের সেশনে অনূর্ধ্ব ১৮ ও অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে এবং বিকেলে অনূর্ধ্ব ১৩ ও অনূর্ধ্ব ১৪ ক্রিকেটারদের নিয়ে মোট ৫০ জন ক্রিকেটার অংশ নিয়েছে। প্রতিবছরই একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটারদের নিয়ে তাদের খেলার মানোন্নয়নের জন্যে ক্লেমনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
স্কিল ক্যাম্পে অংশ নেয়া ক্রিকেটাররা এ প্রতিবেদককে জানান, জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটাররাও স্কিল ক্যাম্পে অংশ নিয়ে থাকে। জেলা শহরে ভালো মানের ক্রিকেট কোচের মাধ্যমে আমাদের একাডেমী ও ক্লেমন যেই ব্যবস্থা করে দিয়েছে সেটা আমাদের জন্যে ভালো একটি সুযোগ। এতে করে আমাদের ভুলত্রুটি গুলো সহজেই ধরে নিতে পারছি। আমাদের জেলাতে যদি একাডেমীর বাইরে এমন ব্যবস্থা করা হতো তাহলে জেলার ক্রিকেট খেলার মান আরো ভালো হতো। আমরা যারা এই প্রশিক্ষণে সুযোগ পেয়েছি আশা করি আগামীতে আমরা ভালো খেলা উপহার দিতে পারবো।