রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মালয়েশিয়ায় ১৭১ জন বাংলাদেশি বৈধ কর্মীকে আটক করায় নিন্দা জানিয়েছে এমটিইউসি

আহমাদুল কবির ॥
মালয়েশিয়ায় ১৭১ জন বাংলাদেশি বৈধ কর্মীকে আটক করায় নিন্দা জানিয়েছে এমটিইউসি

মালয়েশিয়ার জোহর প্রদেশে ১৭১ জন বাংলাদেশি বৈধ অভিবাসী কর্মীকে আটক করায় নিন্দা জানিয়েছে মালয়েশিয়ার বৃহত্তম ও প্রভাবশালী শ্রমিক সংগঠন মালয়েশিয়ান ট্রেডস্ ইউনিয়ন কংগ্রেস (এমটিইউসি)।

২৭ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে মহাসচিব কামারুল বাহারিন মনসুর বলেন, যেসব শ্রমিক এজেন্টদের দ্বারা চাকরি না পাবার ফলে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের শাস্তির পরিবর্তে সহায়তা করা উচিত। এমটিইউসি চাকরি জালিয়াতির শিকার হওয়া বিদেশী কর্মীদের আটকে পুলিশ এবং ইমিগ্রেশনের পদক্ষেপে হতবাক। প্রতারণার শিকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়ে সহায়তা করা উচিত। এসব বিদেশী

শ্রমিক বৈধভাবে প্রবেশ করে, কিন্তু অবশেষে প্রতারণার শিকার হলে নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

এমটিইউসি সরকারকে এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং এ ধরনের বিদেশী কর্মীদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে। যারা চাকরির সুযোগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন, কিন্তু কর্মসংস্থান ছাড়াই সবকিছু শেষ হয় তাদের প্রসঙ্গে

মনসর বলেন, এমটিইউসি মালয়েশিয়ার বাইরে থেকে এবং সরাসরি বিদেশী কর্মীদের নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থার ও ব্যক্তির মাধ্যমে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটছে বলে রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, যদি এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করা না হয়, তাহলে পরের বছর মানব পাচার প্রতিবেদনে মালয়েশিয়া তৃতীয় স্তরে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

এমটিইউসি সরকারকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিদেশী কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার কথাও মনে করিয়ে দেয় এবং সতর্ক করে যে, এই ধরনের শিথিল পদক্ষেপের ফলে শ্রম আইন লঙ্ঘন হতে পারে। কোম্পানিগুলি বিদেশী শ্রম সরবরাহ শিল্পের সুবিধা নেয়, যা সোনার খনি হিসেবে দেখা হয়। এই শিল্পে দুর্নীতি, ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, গুণ্ডাবাদ এবং কার্টেল সহ বিভিন্ন নেতিবাচক চর্চা রয়েছে।

বিদেশী কর্মীদের সমস্যা উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্লাভস এবং পাম তেল প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে উল্লেখ করে মানসর বলেন, বিদেশী কর্মীদের জন্যে সুরক্ষা এবং কল্যাণমূলক পদক্ষেপগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি, যাতে দেশটিকে সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়া এবং অর্থনৈতিক কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করা যায়।

এমটিইউসি মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিদেশী কর্মী নিয়োগের সাথে জড়িত পুরো নেটওয়ার্ককে নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করার জন্যে অনুরোধ করে।

বিদেশী কর্মীদের পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর তদন্ত করা উচিত, তাদের প্রবেশের অনুমোদনের সাথে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের এবং বিদেশী কর্মী গ্রহণকারী সংস্থাগুলোরও তদন্ত করা উচিত।

জোহর পুলিশ বলেছে, ২০ ডিসেম্বর ১৭১ জন বাংলাদেশী পুরুষের দল তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করার জন্যে বায়ু দামাই থানার দিকে যাচ্ছিল। কারণ তারা দাবি করেছিল যে, তারা তিন থেকে ছয় মাস পরেও নিয়োগ পায়নি। তাদের আটকের পর পুলিশ জানায়, তাদের অভিবাসন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়