প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
জার্মানিতে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
জার্মানিতে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে মাহান বিজয় দিবসে। ১৬ ডিসেম্বর জার্মানির ডুসেলডর্ফে বেলা ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে রাত নয়টায় শেষ হয়। বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। দুপুরে প্রায় দুইশ লোকের সমাগম হয় স্থানীয় একটি কনভেনশন হল রুমে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী। একই সঙ্গে তাঁকে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন বিদেশিদের মাঝে। একই সঙ্গে জার্মানিতে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে জানান দেওয়া হয়, যেন তারা এর গুরুত্ব ভবিষ্যতে ভুলে না যায়।
এই প্রথমবারের মত ডুসেলডর্ফে এ রকম আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে বেড়ে উঠা শিশুরা যেন বাংলা ভাষার শিকড় কখনও ভুলে না যায়, তাই স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগ নেন। উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন জেরিন ফাতেমা, তাসমিয়া, রবি, বাসি, তৌফিক, মাহজাবিন,আহমেদ প্রমুখ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মাহজাবিন চৌধুরী। বিশেষ ফ্যাশন শো-র মাধ্যমে বিদেশীদের মাঝে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরেন শাড়ী মার্ট, মাহজাবিন তানভির। জুয়েলারি দিয়ে সহযোগিতা করেন জেরিন ফাতেমা ও নাজনীন ব্রান্ড। অনুষ্ঠানে দেশীয় হরেক রকম পিঠা প্রদর্শন করা হয় স্থানীয় ও বিদেশীদের মাঝে। পরে সাংস্কৃতিক ও নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। লাইভ কনসার্ট গান পরিবেশন করেন নিরুদ্দেশের জাফর, নিপুণ ও আকিব।
আয়োজকের মধ্যে একজন জেরিন ফাতেমা বলেন, আমরা যারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি রয়েছি, দেশীয় সংস্কৃতির মাধ্যমে দেশকে উপস্থাপন করা উচিত। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবসের যে তাৎপর্য তা বিদেশীদের মাঝে তুলে ধরা একান্তই একটা দায়িত্ব বলে মনে করি। সবাই জানুক কত ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। একই সঙ্গে উঠতি বয়সের শিশুদের মাঝে সঠিক ভাবে এর গুরুত্ব তুলে ধরতে পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে তারা ভুলে যাবে না।