রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

দেশে জাতীয় নির্বাচনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনায় স্মারকলিপি

কিটন সিকদার, লন্ডন ॥
দেশে জাতীয় নির্বাচনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনায় স্মারকলিপি

দেশে জাতীয় নির্বাচনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনায় স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু লেখক এবং সাংবাদিক ফোরাম ইউকের উদ্যোগে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রীটে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে গত ৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী অপশক্তি নির্বাচনে নাশকতা করতে পারে এই আশংকা জানিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীন ভাবে ভোট প্রদানে ব্রিটিশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল ও উপদেষ্টা সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার। তারা বলেন, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটিশ সরকার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে বাংলাদেশের জনগণ আশাবাদী। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনে আসলে ব্রিটিশ সরকার যে ভূমিকা রাখে, সেটি বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মীরা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তারা রমনা ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয় ও বেশ ক'টি পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভাংচুর করে। তারা দৈনিক বাংলার কাছে এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স ও সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে জরুরি চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করে। বিএনপি কর্মীরা নির্দয়ভাবে গণপরিবহন ভাংচুর ও আগুন দিয়ে যাত্রীদের গুরুতর আহত ও যানবাহন ভাংচুর করে। তারা বেইলি রোডের ইন্সটিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং ব্যবসায়িক সম্পত্তি ভাংচুর করে। তারা পুলিশ ও নিরীহ পথচারীদের লক্ষ্য করে ককটেল বোমা ও ইট নিক্ষেপ করে। শহরের বিভিন্ন স্থানে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও নিরীহ নাগরিককে আহত করে। এই সমস্ত সহিংসতা ও ভাংচুর রেকর্ডে ছিল এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের দ্বারা কভার করা

হয়েছিল। বিনা উস্কানিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এজেন্টদের ওপর ভয়াবহ সহিংসতা, নিরাপরাধ নাগরিক, গণমাধ্যম পেশাজীবী এবং সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিএনপি এবং তার মিত্ররা হাজার হাজার অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে যে সন্ত্রাস চালায় তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যাতে গণপরিবহন ও প্রাইভেট যানবাহন এবং যাত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং অগণতান্ত্রিক শক্তিকে উন্নীত করার বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি বাংলাদেশের জনগণকে আতঙ্কিত করে।বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্যে যুক্তরাজ্যকে আহ্বান জানাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়