প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
শেষ বিদায়
সবাই একদিন মায়া দেখাবে। যেদিন আমি এ দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করবো।
আমাকে দেখার জন্য শত লোকের ভীড় জমবে। আবার আমার মৃত্যুর সংবাদ শুনে সকলে পড়বে (ইন্না-লিল্লাহ ওয়াইন্নাইলাহি রাযিউন)। যার অর্থ দাঁড়ায়, আমরা শোকাহত মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সাদা কাপড়, আতর, গোলাপ জল, সাবান এসব কখন কেনা হবে হৈ-চৈ পড়ে যাবে।
আবার ক’জন মিলে মসজিদ থেকে নিয়ে আসবে সুন্দর পালং। বড়ই পাতার গরম জলে আমাকে গোসল করানো হবে।
সুদর্শন করে সাজিয়ে শুইয়ে দিবে দুনিয়ার শেষ যাএরার খাটে। চারজন কাঁধে তুলে নিয়ে যাবে শেষ নামাজে।
চারপাশে সকলের বুক ফাটা কান্নার আওয়াজ। সকলকে একত্রিত করে ইমাম জানাজার নামাজ শুরু করবেন আল্লাহ হু আকবার।
হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত মৃত, উপস্থিত, অনুপস্থিত, ছোট-বড়, পুরুষ-নারী সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহু! আপনি আমাদের জীবিতদেরকে ইসলামের উপর জীবিত রাখুন এবং মৃত্যুকালে ঈমানের ওপর মৃত্যু দিন। সকলে আমার জন্য দোয়া চাইবে আল্লাহ নিকটে।
সহহী বুখারী ৬৩৪০-এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক ব্যক্তির কথা কবুল হয়ে থাকে, যদি সে তাড়াহুড়ো না করে।
এ আমার শেষ নামাজ পড়তে আসবে বহুলোক।
আবার কেউ দ্রুত গতিতে ছুটে আসবে
শেষ বারের মতো বিদায় জানাতে।
আপন মানুষরা নিয়ে যাবে কবরের পাশে।
আলতো করে শুইয়ে দিয়ে চলে আসবে।
এখন আমি কবরে একা!
একমাত্রই একা।
কবরের প্রথম রাত,
এটি এমন এক অভিজ্ঞতা,
যা আমি কখনও কাউকে শুনাতে পারবোনা।
কেউ শুনতে ও আসবেনা।
সূরা ত্বোহা ৪৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ভয় করনা আমি তো তোমাদের সাথেই আছি। আমি সব কিছু শুনি ও দেখি। জীবন হল এমন একটি যাএা যার শুরু আল্লাহর থেকে শেষ ও আল্লাহর হাতে।