শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আদর্শ সন্তান গঠনে পিতা মাতার ভূমিকা
মুফতি মুহাঃ আবু বকর বিন ফারুক

মহান আল্লাহ তায়ালা এক পিতা একমাতা হযরত আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) থেকে মানবজাতির সৃষ্টির সূচনা করেন।

পৃথিবীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।মা বাবার মাধ্যমেই সন্তান দুনিয়াতে পাঠান। পিতা মাতার উপর সন্তান লালন- পালন ও সন্তান আদর্শবান করে গড়ে তোলার জন্য অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। শুধুমাত্র জন্মদানের মাধ্যমেই দায়িত্ব সীমাবদ্ধ নয়। বরং শিশু কিশোর যৌবন সকল বয়সেই সন্তানের প্রতি যত্ন নিতে হবে।

নেককার স্ত্রী গ্রহণ করা : আদর্শবান সন্তান পাবার জন্য একজন পুরুষকে প্রথমেই আদর্শবান স্ত্রী গ্রহণ করতে হবে। আদর্শবান পিতা-মাতার মাধ্যমেই আদর্শবান সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখতে পারে।

পবিত্র কুরআনে এসেছে - যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, নিজ চরিত্র হিফাজত করে ও স্বামীর আনুগত্য করে, তাকে বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে জান্নাতে প্রবেশ কর। (সূরা আল ফাতাহ, আয়াত নং ৫)

হযরত উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, নেক ও সৎকর্মপরায়ণ একজন নারী এক হাজার বেআমল পুরুষ হতে ঊত্তম। (আনীসুল ওয়ায়েমীন)

মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা (রাঃ) এর এক হাদিসে রাসূল সাঃ) বলেছেনঃ নেককার স্ত্রী জান্নাতের মাঝে ৭০ হাজার রূপসী হুরদের থেকে উত্তম।

নেককার সন্তানের জন্য দোয়া করা : সন্তান যেন নেককার হয় এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে নেককার সন্তান দান করুন। সূরা সাফাতের ১০০ আল ইমরানের ৩৮ নং আয়াতে উল্লেখ।

সন্তান জন্ম হলে করণীয় : সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক জন্মের পর ডান কানে আজান বাম কানে একামত দেওয়া। সপ্তম দিনে আকিকা করা ও সুন্দর নাম রাখা। সপ্তম দিনে মাথার চুল ফেলে চুল পরিমান সদকা দেওয়া। নবজাতকের মুখে খেজুর চিবিয়ে তাহনিক করা।

সন্তানকে আদব শিখানো : শিশু সন্তান যখন একটু একটু কথা বলতে শিখে তখন তাকে আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ বলতে শিক্ষা দিবে। একে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ধর্মীয় অনুভূতি সৃষ্টি হবে। ছোট বয়স থেকেই সন্তানকে সত্য ও ভালো কাজ শিক্ষা দিতে হবে।

সন্তানের সামনে যে কাজ করা ঠিক নয় : সন্তান যখন একটু বড় হতে থাকে তখন তার সামনে মিথ্যা বলা, গালাগালি করা,ঝগড়া করা, মারামারি করা ঠিক নয়।

সন্তান পরিবার থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। এজন্য তার সামনে এরকম কোন কাজ না করা যা তার জীবনের উপর প্রভাব পড়বে।

কুরআন ও ধর্ম শিক্ষা দেয়া : সন্তানের প্রথম শিক্ষক মা। মা তাঁকে ছোট ছোট দোয়া, সূরা শিক্ষা দিবে।

সন্তান যখন আরেকটু বড় হবে তখন তাকে কুরআন ও ধর্ম শিক্ষা দিবে। এজন্য প্রাথমিক কুরআন ও ধর্ম শিক্ষা মক্তবের মাধ্যমেও দেওয়া যেতে পারে। এতে করে সারা জীবন তার মধ্যে নামাজ, রোজা কুআন ও ধর্মের বিষয়টা মনে থাকবে। বড় হয়ে হয়তোবা সে অনেক বড় হবে। অনেক কাজ করবে। অনেক ব্যস্ত থাকবে।তারপরও ছোট বয়সের এই ধর্মীয় শিক্ষাটাই তার পুরো জীবনের জন্য কাজে আসবে।

পবিত্র কুরআনের সূরা আলাক এর প্রথম আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন - পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।

ভালো সহপাঠিদের সাথে বন্ধুত্ব করা : মানুষ তার বন্ধুর অনুগামী হয়। এজন্য একটি সন্তানকে তার ভালো একটি বন্ধুর প্রয়োজন হয়। ভালো একজন বন্ধুই পারে তাকে ভালো পথে পরিচালিত করতে। এজন্য বন্ধু নির্বাচনে সৎ আদর্শবান, ধর্মপরায়ণ বন্ধুকে গ্রহণ করা উচিত। একজন ছেলে তার জন্য সৎ স্বভাবের আদর্শবান আরেকজন ছেলেকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে। একজন মেয়ে আরেকজন মেয়েকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে।

অসৎ বন্ধুর মাধ্যমে একটি সন্তান বিপথগামী হয়ে যেতে পারে। এজন্য সন্তান কার সাথে চলে। কার সাথে বন্ধুত্ব করে পরিবারের জন্য তার খোঁজখবর রাখা উচিত।যাতে সে বিপদগামী না হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন : আমরা অনেক প্রতিষ্ঠান এমন দেখি যে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের আদর্শ প্রচার করে থাকে। এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। এজন্য শিক্ষাজীবনে এমন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা, যেখানে কোন অন্যায় অপরাধ এবং অনৈসলামিক কার্যকলাপ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদীর স্থান না থাকে।

আদর্শবান শিক্ষক : সন্তানের জন্য আদর্শবান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন প্রয়োজন। তেমনি আদর্শবান শিক্ষকেরও প্রয়োজন রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষা জীবনে শিক্ষকের আদর্শ নিজের জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টা করে থাকে। এজন্য শিক্ষক যেন ধর্মীয় ন্যায় পরায়ন আদর্শবান হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। সন্তানকে আদর্শবান শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা।

সন্তান বালেগ হলে : ইসলামে সন্তান-বালেক ও নাবালেক একটি বিষয় রয়েছে। সন্তান যখন বালেগ হয় তখন তার উপর আরোপিত ধর্মীয় কাজকর্ম গুলো তাকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। এজন্য একজন অভিভাবক তার সন্তানকে বালেগ হওয়ার পূর্বেই ধর্মীয় রীতি নীতিগুলো শিক্ষা দিবে এবং বালেগ হওয়ার পর ধর্মীয় রীতি গুলো ঠিক মত পালনের বিষয়ে লক্ষ রাখবে।

যেমন, সন্তানের যখন সাত বছর হয় তখন তাকে নামাজের জন্য আদেশ করা। সন্তানের যখন ১০ বছর হয় নামাজ না পড়লে তাকে মৃদু প্রহার করা।সন্তানের বিছানা আলাদা করে দেয়া এবং সন্তান যখন বালেগ হয় তখন সে যেন পরিপূর্ণভাবে নামাজ পড়ে।

সন্তানকে সৎ উপদেশ দেয়া : আদর্শবান সন্তান গঠনের জন্য পিতা-মাতা সন্তানকে সৎ উপদেশ প্রদান করবে। যেমনিভাবে হযরত লোকমান হেকিম (আঃ) তার সন্তানকে উপদেশ প্রদান করেছিলেন। যা সূরা লোকমানে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জগৎবাসীদের কে জানিয়ে দিয়েছিলেন।

সন্তানকে যখন ভালো উপদেশ দিতে থাকবে। আস্তে আস্তে তার মধ্যে সেই উপদেশগুলো অন্তরে গেঁথে তার বাস্তব জীবনে প্রয়োগ হবে।

হালাল ও হারামের জ্ঞান প্রদান করা : সন্তানকে হালাল ও হারামের জ্ঞান প্রদান করা। যেটা ইসলামী শরীয়তের আলোকে বৈধ সেটাই হালাল। যা ইসলামী শরীয়তের আলোকে অবৈধ সেটাই হারাম। সৎ ভাবে জীবন যাপন করা। অসৎ পথ ও অসৎ আচরণ থেকে দূরে থাকা।

উত্তম পোশাক পরিধান করা : ইসলামে পোশাকের কথা উল্লেখ রয়েছে। একজন আদর্শবান সন্তান সবসময় শালীন পোশাক পরিধান করবে।

পুরুষের জন্য নাভি থেকে টাকনো ঢেকে রাখা ফরজ। মহিলাদের জন্য মুখমণ্ডল হাতের আঙ্গুল, পায়ের পাতা খোলা রাখা যায়। তবে তা পর পুরুষের সামনে নয়। এমন পোশাক পরিধান করা যাতে ছেলে এবং মেয়েদের শালীনতা বজায় থাকে।

অনেক ছেলে ও মেয়েদের দেখা যায় পোশাকের ক্ষেত্রে নির্লজ্জতার পরিচয় দেয়।যার মাধ্যমে আদর্শ সন্তান থেকে দূরে চলে যায়।

আদব কায়দা শিক্ষা দেয়া : সন্তানকে আদব-কায়দা শিক্ষা প্রদান করা। কারণ! আদব কায়দার মাধ্যমে তার আদর্শ নীতি নৈতিকতা সৃষ্টি হবে। বড়দের সম্মান করা, ছোটদের স্নেহ করা। মা-বাবা, ওস্তাদ, মুরুব্বীদের ও আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব প্রত্যেকে তাদের অবস্থানে প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।

হালাল রিজিক তালাশ করা : সকল অবস্থায় হালাল কাজ কর্ম করা। হালাল রিজিক তালাশ করা। হালাল রিজিক তালাশের জন্য সন্তানকে উপদেশ প্রদান করা। সন্তান হালাল বা বৈধ পন্থায় রোজগার করছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখা।

সন্তানের রোজগারের উৎস কি সে বিষয়ে খোজ খবর রেখে সন্তানকে উপদেশ প্রদান করা।

অনেকে যথা সময়ে যথাকর্ম বা কাজের তালাশ করতে গিয়ে অবৈধ ও অন্যায় পথে পা বাড়ায়। এ বিষয়ে ক্ষতি দিক গুলো সন্তানকে অবহিত করা এবং সাবধান করে দেওয়া।

বিবাহের উপযুক্ত সন্তানকে বিবাহ দেয়া : বিবাহের উপযুক্ত সন্তানকে বিবাহ দেয়া।

বিবাহের উপযুক্ত সন্তানকে বিবাহ না দিলে অনেক সময় অনৈতিক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। চোখ, মন ও নৈতিকতার জন্য বিবাহ অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত।

অবৈধ ভালোবাসা : সন্তান যেন কোনভাবেই অবৈধ ভালোবাসায় না জড়িয়ে পড়ে। সেদিকে পিতা-মাতাকে অবশ্যই তীক্ষè নজর দিতে হবে। ইসলামী শরীয়তের আলোকে তাকে এ বিষয়টি বুঝাতে হবে। একজন ছেলে শুধু বিবাহের মাধ্যমে আরেকটি মেয়েকে ভালবাসতে পারে এবং একজন মেয়ে বিবাহের মাধ্যমে আরেকজন পুরুষকে আপন করে তাকেই ভালবাসতে পারে। বিবাহ ছাড়া ভালোবাসা ধর্মীয় অনুভূতিতে সম্পূর্ণ হারাম ও অন্যায়, অপরাধ ও গুনাহের কাজ।

আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা : জীবনের প্রতিটি কাজে সন্তান যেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি আস্থা রাখে। জীবনে শত বাঁধা-বিপত্তি। সুখ দুঃখ। ব্যথা বেদনার মধ্যেও নিজে হতাশ হয়ে না পড়ে বরং মহান আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখে আল্লাহর কাছে কল্যাণের জন্য দোয়া করা।ইসলামী আদর্শমতে জীবনকে পরিচালিত করা।

হিংসা ও অহংকার মুক্ত হওয়া : হিংসা ও অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। হিংসা ও অহংকার একজন মানুষের জন্য ভয়াবহতা ডেকে আনতে পারে। হিংসা ও অহংকারের কারণে মানুষের নেক আমল গুলো বরবাদ হয়ে যায়। এজন্য হিংসা ও অহংকার থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। গর্ব অহংকার করে রাস্তায় চলাচল করা যাবে না। কথাবার্তায়, কাজকর্মে, সর্বস্থানে হিংসা ও অহংকার থেকে দূরে থাকতে হবে।

মাদক থেকে দূরে থাকা : মাদক একটি সুন্দর জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। সন্তান যাতে মাদকের সেবনে মধ্যে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্তান যেন বিড়ি, সিগারেট, গাজা, বাবা, ইয়াবা বা মাদক সেবন না করে সে ব্যাপারে তাঁকে বুঝাতে হবে। ধর্মীয় অনুভূতিগুলো প্রকাশ করতে হবে।

গুনাহ থেকে দূরে থাকা : যাবতীয় গুনাহ থেকে দূরে থাকার আদেশ করা। পাশাপাশি গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত করা। গুনাহের কারণে জাহান্নামের ভয়াবহ আজাবের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া।

ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত করা : সন্তানের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত করে দিতে হবে। যাতে করে তার জীবনটা ধর্মীয় অনুভূতির আলোকে পরিচালিত হয়। একটি সন্তানের মধ্যে যখন ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত হবে তখনই সে সৎ আদর্শবান সু- সন্তান, নেক সন্তান বা একজন ভালো মানুষের মতোই জীবন যাপন করবে। তখন সে পিতা-মাতার হক আদায় করবে।

ওস্তাদ মুরুব্বীদের সম্মান দিবে। স্ত্রীকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিবে। সন্তানকে তার সঠিক আদর্শে আদর্শিতবান করবে। ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ধর্মীয় অনুভূতির কারণেই সে একজন আদর্শবান মানুষ হিসেবেই পরিগনিত হবে।

নেককারদের সোহবত : সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। এ প্রবাদটি আমরা সকলেই জানি। আমাদের সন্তানকে যদি কোন আল্লাহ ওয়ালা হক্কানী পীর মাশায়েখ। বুজূর্গ, সূফি, দরবেশ। আলেমণ্ডওলামার সাথে তাদের সোহবত অর্জন করে দেওয়া যায়। তাহলে তাদের পথে থেকে ভালো স্বভাব অর্জন করবে। এর মাধ্যমে দুনিয়া এবং আখেরাতের যাবতীয় কল্যাণ লাভ করতে পারবে।

পরিশেষে বলব, আদর্শবান সন্তান গঠনে পিতা-মাতা, শিক্ষক, মুরুব্বী, আত্মীয়-স্বজন, ভাই, কাকাণ্ড চাচা, প্রতিবেশি সহ সকলকেই সমানভাবে খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানকে আদর্শবান করতে হলে আদর্শবান ব্যক্তিদের সাথে সন্তানকে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। যাতে ভালো ও আদর্শবান ব্যক্তিদের সাথে চলে সে আদর্শবান ও সৎ ব্যক্তিকে পরিনত হয়।

লেখক : ইমাম ও খতিব, বিষ্ণুপুর মনোহরখাদী মদিনা বাজার বাইতুল আমিন জামে মসজিদ, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়