সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২২, ০০:০০

মুক্তির রজনী শবেবরাত
মাওলানা এসএম আনওয়ারুল করীম

শবেবরাত অর্থ মুক্তির রজনী। আরবি শাবান মাসের মধ্য রজনীকে শবেবরাত বলা হয়। হাদিসের পরিভাষায় এ রাতকে বলা হয় ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান।’ এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করা নির্ভরযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই সাহাবি-তাবেয়ীনের যুগ থেকে অদ্যাবধি এ রাতে বিশেষভাবে নফল ইবাদত ধারাবাহিকতার সাথে চলে আসছে। অনেকে বলে থাকে যে, শবেবরাতের কোনো শরয়ি কোনো ভিত্তি নেই। এমনও বলা হচ্ছে যে, এ রাতে ইবাদত করা বিদয়াত। তাদের দাবিমতে, শবেবরাত সহিহ কোনো হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। মূলত এমন ধারণা ইসলামের সুপ্রমাণিত বিষয়গুলোকেই জনসাধারণের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।

মূলত শবেবরাত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আর শবেবরাতকে বিদয়াত ধারণা করাটা হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞতারই পরিচায়ক। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, জেনেশুনে নবিজি (সাঃ)-এর প্রমাণিত কোনো ইবাদতকে বিদয়াত বা অপ্রমাণিত দাবি করাটা প্রকারান্তরে রাসুল (সাঃ)-এর হাদিস অস্বীকারেরই নামান্তর। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন ব্যক্তি মারাত্মক অপরাধে অপরাধী। নি¤েœ শবেবরাত সম্পর্কে কয়েকটি সহিহ হাদিস উল্লেখ করা হলো

হযরত আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যখন শাবান মাসের অর্ধেকের রজনী আসে [শবে বরাত] তখন তোমরা রাতে নামাজ পড়, আর দিনের বেলা রোজা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডোবার সাথে সাথে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন, কোনো গোনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি আমার কাছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোনো রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দিব। কোনো বিপদগ্রস্ত মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফজর পর্যন্ত। [সুনানু ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৮৮; বায়হাকী শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং ৩৮২২]

আম্মাজান হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, এক রাতে রাসুল (সাঃ)-কে না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে (মদিনার কবরস্থান) গিয়ে আমি তাঁকে দেখতে পাই। তিনি বললেন, কী ব্যাপার আয়েশা! তুমি যে তালাশে বের হলে? তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল তোমার ওপর কোনো অবিচার করবেন? জবাবে হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন, আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্য কোনো বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসুল (সাঃ) তখন বললেন, যখন শাবান মাসের পনেরোতম রাত আসে অর্থাৎ যখন শবে বরাত হয়, তখন আল্লাহ তা’য়ালা এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরির পশমের চেয়ে বেশি সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। [সুনানুত তিরমিজি, হাদিস নং ৭৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ২৬০২৮; মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদিস নং ১৫০৯]

হযরত মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে (শবে বরাতে) আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনোযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। [সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৫৬৬৫; মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস নং ২৭৫৪; মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদিস নং ১৭০২; আল মুজামুল আওসাত, হাদিস নং ৬৭৭৬; আল মুজামুল কাবীর, হাদিস নং ২১৫; সুনানু ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৯০; মুসনাদুশ শামীন, হাদিস নং ২০৩, মুসন্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং ৩০৪৭৯; শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং ৬২০৪]

এবার ভিন্ন যুক্তিতে শবেবরাতের প্রমাণ উপস্থাপন করব। ইমাম শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানী (র) তার সিলসিলাতুস সাহিহাহর ৩য় খ-ের ১৩৫নং পৃষ্ঠায় শবেবরাতের হাদিস প্রসঙ্গে বলেনÑ ‘এই হাদিসটি সহিহ।’ এটি সাহাবিগণের এক জামাত বর্ণনা করেছেন বিভিন্ন সূত্রে। যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। তাদের মাঝে রয়েছেনÑ মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ), আবু সা’লাবা (রাঃ), আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ), আবু মুসা আশয়ারী (রাঃ), আবু হোরায়রা (রাঃ), আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ), আউফ বিন মালিক (রাঃ), আয়েশা (রাঃ) প্রমুখ সাহাবিগণ।

উপরে বর্ণিত সবক’টি বর্ণনাকারীর হাদিস শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানী (র) তার কিতাবে আনার মাধ্যমে সুদীর্ঘ আলোচনার পর তিনি বলেন, “সারকথা হলো, নিশ্চয় এ হাদিসটি এ সকল সূত্র পরম্পরা দ্বারা সহিহ। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাছাড়া সহিহ হওয়া এর থেকে কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়। যতক্ষণ না মারাত্মক কোনো দুর্বলতামুক্ত থাকে। যেমন এই হাদিসটি হয়েছে।”

আল্লাহ তা’য়ালা মানবজাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণের শত বছর আগে তাদের রিজিক নির্ধারণ করে রাখলেও প্রতি বছর প্রতিটি মানুষের জীবনে যা’ ঘটবে, তা’ নির্ধারণ করা হয় পবিত্র শবেবরাতে। এ রাতে আল্লাহর রহমতের ফল্গুধারা উন্মুক্ত থাকে বান্দাহর জন্য। তাঁর অবারিত করুণা পুণ্যবান মানুষের ওপর সিঞ্চিত হয়। এমনকি কথিত আছে যে, এ রজনীতে আল্লাহর প্রেরিত ফেরেশতাগণ ইবাদতকারী বান্দাহর সাথে অতিপ্রাকৃতভাবে কোলাকুলি ও মোসাফাহা করেন।

আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ‘লাইলাতুল বারাআত’ কিংবা শবেবরাত বলে। ‘শব’ কিংবা ‘লাইলা’ শব্দের অর্থ রাত। আর ‘বারাআত’ অর্থ হচ্ছে মুক্তি। বাংলায় ‘বরাত’ শব্দটির অর্থ বিমুক্তি, সম্পর্কচ্ছিন্নতা, মুক্ত হওয়া, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া ইত্যাদি। ফার্সি ‘শবেবরাত’, আরবি ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘বিমুক্তির রজনী’ বলতে আরবি শাবান মাসের চতুর্দশীর রজনীকে বোঝানো হয়। সুতরাং মানুষ যদি এ রাতে নিজ কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে চক্ষু হতে অশ্রু প্রবাহিত করে, তাহলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন।

কুরআন ও হাদিসের কোথাও “লাইলাতুল বারাআত” পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়নি। সাহাবি-তাবেয়ীগণের যুগেও এ পরিভাষাটির ব্যবহার সম্পর্কে প্রমাণ মিলেনি; বরং এ রাতকে হাদিসে “লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান” বা “মধ্য শাবানের রজনী” বলা হয়েছে। সাহাবি-তাবিয়ীগণের যুগের অনেক পরে এ রাতকে “লাইলাতুল বারাআত” বা “বিমুক্তির রজনী” বলে আখ্যায়িত করার প্রচলন শুরু হয়। মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, ৪৪৮ হিজরি সনে বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রথম এ রাতে প্রচলিত পদ্ধতিতে সালাত আদায়ের প্রচলন শুরু হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৩/৩৮৮)

তবে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ “শবেবরাত” প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন : “আমি তো তা’ অবতীর্ণ করেছি এক মুবারক (বরকতময়) রজনীতে এবং আমি তো সতর্ককারী। এ রজনীতে প্রত্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। (সুরা দুখান-৩-৪ আয়াত)। অবশ্য অধিকাংশ মুফাসসির একে শবেকদরের সাথেই সম্পৃক্ত করেছেন। পবিত্র কুরআনের কোথাও এ সম্পর্কে কোনো আলোচনা না থাকলেও ‘শবেবরাত’ বা ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বড়পীর খ্যাত আবদুল কাদের জিলানী (র) বলেছেন, দুনিয়াবাসীর জন্যে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর নামে মুসলমানদের যেমন দুটি ঈদ রয়েছে, তেমনি ঊর্ধ্বাকাশসমূহে ফেরেশতাগণের জন্যেও দুটি ঈদ রজনী রয়েছে। এর একটি হচ্ছে শবেকদর, অপরটি শবেবরাত। মুমিন বান্দাগণের জন্যে ঈদ-উৎসব দিনে থাকে। আর ফেরেশতাগণের ঈদ-উৎসব নির্ধারণ করা হয়েছে রাতে। কেননা মানুষ নিদ্রা যায় পক্ষান্তরে ফেরেশতাদের কোনো নিদ্রা নেই।

শবেবরাতে করণীয় : হাদিসে শবেবরাতের নিম্নোক্ত পালনীয় আমল উল্লেখ রয়েছে :

১। কোনো বিশেষ ব্যবস্থা বা আয়োজন না করে সাধারণভাবে এ রাতে কবরস্থানে যাওয়া এবং মৃতব্যক্তিদের জন্যে দোয়া করা, দরুদ-ইসতিগফার পাঠ করে দোয়া করা।

২। এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত তথা কুরআন তেলাওয়াত করা, অধিক হারে দরুদ পাঠ করা এবং নফল নামাজ পড়া। তবে নামাজের জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা নেই; বরং সামর্থ্যানুসারে জামাত ব্যতীত অনির্দিষ্টভাবে নামাজ পড়া এবং নিজের জন্য ও সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করা।

৩। শবেবরাতের পরদিন অর্থাৎ ১৫ শাবান নফল রোজা রাখা। রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের সামনে শাবান মাসের পঞ্চদশ রাত শবেবরাত উপস্থিত হয়, তখন তোমরা সেই রাতে নামাজ পড়ো আর দিনের বেলায় রোজা রাখো।

শবেবরাতে বর্জনীয় : বরকতময় এ রজনীতে তওবা-ইসতিগফার ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে নিমগ্ন থাকাই মুমিনের কর্তব্য। অথচ কিছুসংখ্যক লোক এ রাতে এমন কিছু কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে, যেগুলো ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যেমন : পটকাবাজি, তারাবাজি, আতশবাজি, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা, পোলাও-বিরানি ও হালুয়া-রুটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি। এগুলো নিছক কুসংস্কার বৈ কিছু নয়।

মুহাদ্দিসে কেরাম বলেছেন, আতশবাজি একটি সামাজিক কুসংস্কার, অপচয় ও অপরাধের কাজ। ইয়াজুজ-মাজুজ আল্লাহর দিকে তীর নিক্ষেপ করবে তাকে ঘায়েল করার জন্য। আতশবাজির মাধ্যমে অনেকাংশে সেটারই অনুকরণ হয় বলে এটি শরিয়তে নিষিদ্ধ। অন্যদিকে আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ এ রজনীতে দুনিয়াবাসীর প্রতি রহমত নাজিল করতে প্রথম আকাশে অবতরণ করেন। বান্দাদেরকে তার রহমত ও বরকত লাভ করার জন্য অবিরাম আহ্বান জানাতে থাকেন; ঊর্ধ্বমুখী আতশবাজির দ্বারা যেন প্রকারান্তরে তৎপ্রতিই বিদ্রপ প্রকাশ হয়ে পড়ে।

আতশবাজির সামাজিক কুফল : আতশবাজি সামাজিকভাবেও দারুণ ক্ষতিকর। আতশবাজির ফলে নানা দুর্ঘটনার সংবাদ প্রতি বছরই পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়ে থাকে। শবেবরাতে একটি উল্লেখযোগ্য কুসংস্কার হলো, হালুয়া-রুটি না হলে যেন শবেবরাত পালনই অসম্পূর্ণই থেকে যায়। মূলতঃ শরিয়তে এর কোনো নিয়ম নেই। কারণ, এদিন সূর্যাস্ত থেকেই আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে এসে বান্দাকে ডাকতে থাকেন। তাই তার ডাকে সাড়া না দিয়ে এসব ভোজনে লিপ্ত থাকা একদিকে যেমন ইবাদতে বিঘœ ঘটায়, অন্যদিকে উদরপূর্তির দরুন এ মুক্তির রজনীতে ইবাদতে আলস্য চলে আসে। রাত্রি জাগরণের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ ইবাদত-বন্দেগি করার ইচ্ছা করলে হালকা-পাতলা খানা খাওয়া ভালো। অনেক স্থানে এ রাতে গরু-ছাগল-মুরগী জবাইয়ের ধুম লেগে যায়। এ সবই সুন্নাত পরিপন্থি। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আগাছার ন্যায় মুসলমানদের ভেতর অতি সংগোপনে এসব রুসুম ও কুসংস্কার অনুপ্রবেশ করিয়েছে।

অনেক স্থানে দেখা যায়, বরাত রজনীতে মুসল্লিদেরকে একত্রিত করে রাতব্যাপী ওয়াজ-নসিহতের আয়োজন করা হয়। যেহেতু এ রাতে নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দরুদ পাঠ, কবর জিয়ারতের মতো বিভিন্ন ইবাদত করতে নবি করিম (সাঃ) হতে ইঙ্গিত এসেছে, তাই অন্যান্য ইবাদত ব্যতীত শুধু ওয়াজ-নসিহত করে জাগরণ করা মাকরূহ হবে। তবে হ্যাঁ, রাতের শুরুতে ইবাদতের নিয়ম-কানুন জানানোর উদ্দেশ্যে এ রাতের গুরুত্ব অনুধাবনের জন্যে কিছু সময় আলোচনা করা যেতে পারে।

লেখক : মুহাদ্দিস, গবেষক ও প্রাবন্ধিক; খতিব, হাজী শরীয়ত উল্লাহ (রঃ) জামে মসজিদ, চাঁদপুর।

ধহধিৎঁষশধৎরস৭৩ংধশর@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়