শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০০

গরুর ৩টি রোগের কারণ ও লক্ষণ খামারিদের জানা দরকার

কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক ॥
গরুর ৩টি রোগের কারণ ও লক্ষণ খামারিদের জানা দরকার

গরুর বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। যেমন, খুরা রোগ, জলাতঙ্ক, গোবসন্ত ইত্যাদি। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগের মধ্যে গবাদি পশুতে বাদলা, তড়কা, গলাফোলা, ওলান-ফোলা, বাছুরের নিউমোনিয়া, ডিপথেরিয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আজ গরুর ৩টি রোগের কারণ ও লক্ষণ জেনে নিন।

এসব রোগের কারণ ও লক্ষণ দেওয়া হলো :

খুরা রোগ : জোড়া খুর বিশিষ্ট গবাদি পশু এ রোগে আক্রান্ত হয়। এটি একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। লালা, খাদ্যদ্রব্য ও বাতাসের মাধ্যমে সুস্থ প্রাণীরা সংক্রমিত হয়।

রোগের লক্ষণ : পশুর খুরায়, মুখে ও জিহ্বায় ফোস্কার মত দেখা যায়। পরে ফোস্কা থেকে ঘা হয় এবং মুখ হতে লালা ঝরে। তাপমাত্রা বাড়ে ও খাবারে অরুচি হয়। ধীরে ধীরে পশু দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক সময় পশু মারা যায়। কম বয়স্ক পশু বা বাছুরের মৃত্যুর হার বেশি।

বাদলা : গবাদি পশুর ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত এই রোগ হতে দেখা যায়। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রামক ব্যাধি। ক্ষতস্থান ও মলের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়।

রোগের লক্ষণ : বাদলা রোগে আক্রান্ত হলে পশুর নি¤েœাক্ত লক্ষণগুলো দেখা যায়-

১। আক্রান্ত পশু খুঁড়িয়ে হাটে।

২। শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায় ও ব্যথা অনুভব করে।

৩। ফোলা স্থানে পচন ধরে ও কয়েক ঘন্টার মধ্যে আক্রান্ত পশু মারা যায়।

৪। আক্রান্ত স্থানে চাপ দিলে পচ পচ শব্দ হয়।

৫। শরীরের তাপমাত্রা (১০৪ক্ক-১০৫ক্কফা.) বেড়ে যায়।

তড়কা : তড়কা একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক ব্যাধি।

নিচে তড়কা রোগের লক্ষণগুলো উল্লেখ করা হলো :

১। তড়কা রোগ হলে পশু মাটিতে পড়ে যায় ।

২। শরীরের তাপমাত্রা (১০৪ক্ক-১০৫ক্কফা.) ও গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায় ।

৩। মৃত পশুর নাক, মুখ ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত নির্গত হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়