প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
জেলায় ৬৩ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা
বোরো ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা
চাঁদপুরে আগেভাগে বোরো ধান পরিচর্যায় মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। প্রধান আবাদি ফসল নানা জাতের বোরো ধানের চারা কৃষকরা পরিচর্যা করছেন। জেলার প্রতিটি উপজেলার মাঠেই এ ধানের আবাদ করা হয়েছে। ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, শাহরাস্তি, কচুয়া, হাইমচর ও চাঁদপুর সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় বেশিরভাগ মাঠে কৃষকরা বোরো ধানের আবাদ করেছেন। কিছু কিছু জায়গায় এখনও কৃষকেরা বোরো চারা লাগাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ জমিতে চারা লাগানো শেষ করে পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন কৃষকেরা।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৬৩ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চাঁদপুরের বিষ্ণুদী গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া গাজী, তরপুরচণ্ডী গ্রামের বিল্লাল গাজী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে সারের অভাব দূর হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে উপজেলা কৃষি অফিস আমাদের সার্বিক সহায়তা করে আসছে। তাই বিগত বন্যায় আমরা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম, বর্তমান বোরো ধান চাষে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা গ্রামের কৃষক জামাল মিজি জানান, এবার ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। আশা করি, ফলন ভালো হবে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন জানান, বর্তমান সরকার কৃষি খাতে বিভিন্ন ভর্তুকি ও অর্থের বরাদ্দ দিয়ে এই খাতকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে চাঁদপুর জেলা কৃষি অফিস। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদেরকে এলএলপি পদ্ধতি অর্থাৎ লাইন করে ধান চারা লাগাতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে চারা লাগানো হলে কৃষকদের সব দিক থেকেই উপকার মিলে। তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে কৃষকদেরকে বোরোর উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড বীজ বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের জন্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে।