বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

সাথী ফসল হিসেবে লাউয়ের মাচার নিচে আদা চাষ লাভজনক
কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক ॥

আদা চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। আদার সঙ্গে লাউ, ডাঁটা শাক, ধুন্দল, চাল কুমড়া ও করলা চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে সফলতা অর্জন করেছেন চাষীরা।

চাঁদপুরে ধান, মৌসুমী ফল, শাক-সবজি ও মসলা চাষের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। দু ফসলি-তিন ফসলি এসব জমিতে কৃষি বিভাগের নির্দেশনায় মৌসুমভিত্তিক চাষাবাদ ও পরিচর্যা করে আর্থিক সচ্ছলতা পাচ্ছেন অনেক কৃষকই।

বিগত বছরগুলোয় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করেছেন, যার মধ্যে ছিল টমেটো, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লাউ, বেগুন, ঝিঙ্গা, করলা ও বিভিন্ন ধরনের শাক।

আদা চাষে ছায়ার প্রয়োজন হয় বলে জমিতে লাউ চাষের মাচা তৈরি করে সাথী ফসল হিসেবে আদা চাষ করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আদা চাষের সঙ্গে একই জমিতে নিয়ম অনুযায়ী লাউ, ঝিঙ্গা, পটল চাষ করে সফলতা আসায় এ পদ্ধতিতে ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার কৃষকরা।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন খালবিলের পাশের জমিতে শাক-সবজি চাষের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। এলাকার কাফিল উদ্দিন এ বছর ৩০ শতাংশ জমিতে একই সঙ্গে লাউ ও আদা চাষ করেছেন।

মাচায় লাউ এবং মাটিতে আদা। গত ৩ বছরে এ পদ্ধতিতে লাউ ও আদা চাষের মাধ্যমে ভালো মুনাফা পেয়েছেন তিনি। লাভজনক হওয়ায় এ বছর তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে লাউয়ের মাচার নিচে একইসঙ্গে প্রায় ৫ মণ আদা লাগিয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেল, বর্তমানে লাউয়ের মাচার নিচে কিছু আগাম লাউ ঝুলছে। সেইসঙ্গে রোপণকৃত আদা গাছগুলোও বেশ বড় হয়েছে।

কাফিল উদ্দিন জানান, এখানে সার প্রয়োগ, সেচ খরচ ও শ্রমিক খরচ বাদে ৩০ শতাংশ জমি থেকে ১ লক্ষাধিক টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কাফিল উদ্দিন একই জমিতে একই খরচে দু-তিন জাতের ফসল উৎপাদন করেছেন । এখন তার দেখাদেখি এলাকার অন্যরাও তাদের জমিতে সাথী ফসল চাষ শুরু করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়