শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

সংকট নেই, তারপরও আলুর দাম বাড়ছে
কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক ॥

আড়াই মাসে হিমাগার থেকে বের হওয়া আলুর দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পালবাজারে পাইকারী ও খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজিতে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে কোনো কোনো খুচরা বাজারে আলু ১৫ টাকা বেশি দামেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। তাতে খুচরায় আলুর কেজি ৪০ টাকা ছাড়িয়ে দু’-এক জায়গায় ৫০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহের বড় কোনো সংকট না থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বাড়িয়ে রাখছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চাঁদপুর শহরের পালবাজারে পাইকারী ও খুচরা আলুর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদুল আজহার আগে পাইকারিতে আলুর দাম ছিল প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) ১৩০ টাকার আশপাশে। তাতে প্রতি কেজি আলুর খুচরা মূল্য পড়তো ২৬ টাকা। যেটা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায় বা তার একটু বেশি। ঈদুল আজহার পরে থেকে সেই আলুর পাইকারি দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। খুচরায় গিয়ে যা পড়ছে ৪০ টাকায়। আর পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪২ টাকার ওপরে, ৪৪ থেকে ৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। এসব আলু আকার ও মানে বেশ ভালো।

বাজারে সাধারণত অ্যাসটরিক-গ্র্যানুলা (সাদা) ও কার্ডিনাল (লাল) জাতের আলু দেখা যায়। সাদা ও লাল উভয় জাতের আলুর দামে বড় কোনো পার্থক্য নেই। কার্ডিনাল আলু ডায়মন্ড আলু নামেও পরিচিত। আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে আলুর দাম বাড়ছে। তা ছাড়া গত আড়াই মাস বাজারে একটু একটু করে বেড়েছে আলুর দাম। তাতে ঈদুল আজহার আগে হিমাগার থেকে যে আলু প্রতি কেজি ১০ টাকায় বাজারে এসেছিল, তা এখন ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বাজারে আসছে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর কোল্ড স্টোরেজের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশে আলুর বড় কোনো সংকট নেই। তবে চাঁদপুরে লোকাল আলু কম। বিভিন্ন জেলার আলু বেশি আসে। কিন্তু এরপরও বাজার ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী কীভাবে আলুর দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন, তা অনেকের জানা। সরকার চাইলে এসব বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। সাধারণ ভোক্তার কথা চিন্তা করে আমদানিও করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আলু মাঠ থেকে ওঠার পর ব্যবসায়ীদের হাত ধরে তা বাজারে আসে। মাঝখানে একটা সময় থাকে হিমাগারে। বছরব্যাপী সংরক্ষণের এই সময় ব্যবসায়ীরাই মূলত এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। হিমাগারের মালিক অনেকে আলুর ব্যবসা করেন। কয়েক বছর ধরে দেশে আলুর ফলন ভালো। দেশে কম-বেশি এক কোটি টন আলু উৎপাদিত হয়। তাতে দাম সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তবে এবার আলুর দাম গত বছরের এই সময়ের তুলনায় বেশি।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, গত বছরের এই সময়ে বাজারে আলুর কেজি ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা এ বছর ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। সেই হিসেবে গত এক বছরে আলুর দাম বেড়েছে ৩৪ শতাংশের বেশি। আর টিসিবির দর অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের মতো।

পালবাজারের পাইকারী আলু ব্যবসায়ী মোঃ মজিবুর রহমান বেপারী বলেন, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও ঠাকুরগাঁও থেকে সবশেষ কেনা আলুর দাম পড়েছে প্রতি কেজি ৩১ টাকা ৪০ পয়সার মতো। এরপর পরিবহন ও শ্রমিকের খরচ আছে। তাতে ৩৩ টাকার নিচে পাইকারীতে আলু বিক্রি করা যাচ্ছে না। মোকামে দাম বেশি থাকায় বাড়তি দরে আলু কিনতে হচ্ছে। তবে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়