মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আমি সক্রিয়ভাবে অংশ নিই
অনলাইন ডেস্ক

তাম্মিনা আক্তার চাঁদপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ (এমএসসি) মাস্টার্স শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। অর্জন করেছেন নানা পুরস্কার। এসব অর্জনের পেছনে মায়ের অবদানের কথা স্বীকার করেন তিনি।

তাম্মিনা আক্তার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরাধীন কিশোর-কিশোরী ক্লাব সংগঠন, চাঁদপুরের আবৃত্তি শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, চাঁদপুর জেলা শাখা ও পদক্ষেপ বাংলাদেশ, চাঁদপুর শাখার সদস্য হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

তাম্মিনা আক্তার : আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই।

তাম্মিনা আক্তার : আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় চাঁদপুরের লাইসিয়াম কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। এরপর ক্রমান্বয়ে ৫ম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার জন্যে ২নং (আঃ বাঃ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করি। বর্তমানে আমি একই কলেজের এমএসসি (শেষ বর্ষ) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? তিনি কেন প্রিয়?

তাম্মিনা আক্তার : আসলে প্রিয় শিক্ষক বলতে গেলে অনেকের নাম চলে আসে। তবে তাঁদের মাঝে আমি সবার আগে যে নামটি বলতে চাই, তিনি হলেন আমার মা। তিনি আমাকে এই পৃথিবীর আলো দেখানো থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমার সকল কাজে ছায়ার মতো সর্বদা আগলে রাখা এক মায়ার মতো, কখনো গুরু হয়ে, আবার কখনো বন্ধু হয়ে সবসময় আমার পাশে ছিলেন, আছেন এবং আগামীতেও আমার পাশেই থাকবেন এ আশা করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার কলেজে কী কী সহ-শিক্ষা কার্যক্রম হয়?

তাম্মিনা আক্তার : বর্তমানে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রতিনিয়ত উৎসাহ জুগিয়ে যাচ্ছে এবং এর ধারাবাহিকতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াবস্থায় কলেজ থেকে বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা আমার আছে। সেই সময় আমি কলেজের বিএনসিসি প্লাটুনের একজন ক্যাডেট হিসেবেও যুক্ত ছিলাম। পরে বিএসসি পড়ার সময় সাংস্কৃতিক ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে অংশ নেয়াসহ কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি সামাজিক/সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কোন্ কোন্ শাখায় চর্চা করেন? সবচেয়ে ভালো লাগে কোন্ শাখাটি?

তাম্মিনা আক্তার : একদম ছোট থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমার বিচরণ। আর গান শেখার মধ্য দিয়েই এর হাতেখড়ি। এরপর একে একে ছবি আঁকা, অভিনয়, কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়া হয়। তবে এসবের মাঝে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে সব থেকে বেশি আকর্ষিত করে কবিতা আবৃত্তি। যার ধারাবাহিকতায় এর চর্চা এখনো অব্যাহত আছে এবং বিশ্বাস করি, আগামীতেও তা অটুট থাকবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সামাজিক/সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে আপনার বাবা-মায়ের ভূমিকা কেমন?

তাম্মিনা আক্তার : সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে আমার মায়ের ভূমিকা এক কথায় অনন্য। আমি দ্বিধাহীন অকুণ্ঠচিত্তে বলতে পারি, আজ আমি আমার জীবনের যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি তার পেছনে সবটুকু অবদান আমার মায়ের। শুধুমাত্র তারই সাহস, অনুপ্রেরণা, দৃঢ় মনোবল আজ আমাকে এতোটুকুতে আসার শক্তি জুগিয়েছে। এমনকি কবিতাকে ভালোবেসে মাঝে মাঝে যে দু লাইন লেখার প্রয়াস করি তাণ্ডও একমাত্র এই মায়ের অনুপ্রেরণার ফসল।

চাঁদপুর কণ্ঠ : গান, কবিতা, আবৃত্তি, চিত্র প্রদর্শনী, নাটক ইত্যাদির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কেমন?

তাম্মিনা আক্তার : সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতি মানুষের আগ্রহ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি। প্রকৃতপক্ষে আমরা বর্তমানে এক সাংস্কৃতিক জোয়ারের মাঝে বাস করছি। যা তরুণ প্রজন্মকে আরো বেশি সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সৃজনশীল/সাংস্কৃতিক চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ আপনি কী কী পুরস্কার পেয়েছেন?

তাম্মিনা আক্তার : আমি সাংস্কৃতিক ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে কবিতা আবৃত্তিতে ২ বার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অভিনয়ে ১ বার জেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অধিকার করি। এছাড়া আমি বিএনসিসি ক্যাম্পে শ্রেষ্ঠ ক্যাডেট পদক অর্জন করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : জাতীয় পর্যায়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে আপনি কাদের দেখে অনুপ্রাণিত হন?

তাম্মিনা আক্তার : জাতীয় পর্যায়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে অনেক ব্যক্তিই নানা ক্ষেত্রে আমাকে অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু তাঁদের মাঝে যে নামটি সবার আগে বলতে হয় তিনি হলেন বিশিষ্ট ছড়াকার কবি ও সাহিত্যিক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া। আঙ্কেল এতো অমায়িক ও অসামান্য গুণসম্পন্ন একজন ব্যক্তি, যাঁকে আমি যতো দেখি ততো অবাক হই। আমি আঙ্কেলের সান্নিধ্যে থেকে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সামাজিক/সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আপনার সবচেয়ে আনন্দের দিন কোনটি? কেন আনন্দের দিন?

তাম্মিনা আক্তার : সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি আনন্দের দিন হলো আমার জীবনে প্রথম যেদিন আমি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান অর্জন করে পুরস্কার গ্রহণ করি সেই মুহূর্তটি। এরপর বহুবার আমি বহু পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু জীবনে প্রথমবারের মতো পুরস্কার পাওয়ার সেই মুহূর্তটি আমার জীবনে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসর সময়ে কী করেন?

তাম্মিনা আক্তার : বই পড়া, কবিতা লেখা, আম্মুর সাথে গল্প করা এসবের মাঝেই অবসর সময় কেটে যায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়