মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

অধ্যবসায় ছাড়া ভালো ফলাফল সম্ভব নয়
অনলাইন ডেস্ক

মেধাবী শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার। এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষা অর্জন করেছেন জিপিএ-৫। বিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী সংস্কৃতি অঙ্গনেও নিজের মেধার পরিচয় দিয়েছেন। পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত গল্প, কবিতা ও ভ্রমণকাহিনি লিখেন। কবিতা আবৃত্তি করতে তার ভালো লাগে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথেও নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন।

মারিয়া আক্তার চাঁদপুর সাহিত্য মঞ্চের নির্বাহী সদস্য, ইয়েস বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও বদলাও ইয়ূথ ফাউন্ডেশনের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সামাজিক শিশু সংগঠন এনসিটিএফের চাঁদপুর জেলার শিশুসাংবাদিক এবং পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

মারিয়া আক্তার বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বি ইউনিটে ১৪৮৬তম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯৫তম স্থান অর্জন করেছেন। খুব শীঘ্রই উচ্চশিক্ষার জন্যে তিনি নতুন শহরে পাড়ি জমাবেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?

মারিয়া আক্তার : ভালো আছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই।

মারিয়া আক্তার : শিশু থেকে এসএসসি পর্যন্ত আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজে পড়াশোনা করি। ২০১৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করি। চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিই। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ অর্জন করি। পরে আমি ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী হিসেবে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বি ইউনিটে ১৪৮৬তম হয়েছি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯৫তম হয়েছি। খুব শীঘ্রই হয়তো উচ্চশিক্ষার জন্যে নতুন শহরে পাড়ি জমাতে হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক কে? তিনি কেন প্রিয়?

মারিয়া আক্তার : আমার প্রিয় শিক্ষকের বলতে গেলে প্রথমে মনে পড়ে আমার মায়ের কথা। তিনি আমাকে প্রথম কথা বলা শিখিয়েছেন এবং পড়াশোনার হাতেখড়িও তিনিই দিয়েছেন। আমার মা-বাবার পর আমার প্রিয় শিক্ষক শ্রদ্ধেয় মাইনুল ইসলাম মানিক স্যার। স্যারকে আমি পেয়েছি খুব বেশি দিন হয়নি। কিন্তু এই অল্প সময়েই তিনি আমার প্রিয় শিক্ষক। কেননা আমার ইংরেজির ভয় অনেকটা স্যারের জন্যে দূর হয়েছে এবং যেমনটা বললাম, আমার শিক্ষাজীবনে ভালো ফলাফল অর্জন করতে ইংরেজির ভালো দখল ছাড়া সম্ভব হতো না। তাছাড়া আমার সাহিত্যচর্চার হাতেখড়িও স্যারের হাত ধরে। আমি এখন টুকিটাকি লেখালেখিও করছি। অধ্যবসায় ছাড়া ভালো ফলাফল সম্ভব নয়

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার স্কুলে কী কী সহ-শিক্ষা কার্যক্রম হয়?

মারিয়া আক্তার : না।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি সামাজিক/সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কোন্ কোন্ শাখায় চর্চা করেন? সবচেয়ে ভালো লাগে কোন্ শাখাটি?

মারিয়া আক্তার : সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলবো ২০১৬ সাল থেকে আমি একজন স্বেচ্ছাসেবী। আমি বাংলাদেশের অন্যতম সামাজিক শিশু সংগঠন এনসিটিএফের সাথে যুক্ত ছিলাম। এ সংগঠনে আমি চাঁদপুর জেলার শিশুসাংবাদিক এবং পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে যুক্ত আছি সাহিত্য সংগঠন ‘সাহিত্য মঞ্চে’র সাথে। আমার নিয়মিত সাহিত্যচর্চা এখানেই হচ্ছে। এছাড়া যুক্ত আছি ইয়েস বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠনের সাথে। এছাড়া বদলাও ইয়ূথ ফাউন্ডেশন এবং টিআইবির সাথেও কাজ করছি।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকল শাখার মধ্যে আমার প্রিয় হচ্ছে কবিতা। আমার ভালো লাগে কবিতা আবৃত্তি করতে এবং নিয়মিত ভ্রমণকাহিনি ও ছোট গল্প লিখছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সামাজিক/সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে আপনার বাবা-মায়ের ভূমিকা কেমন?

মারিয়া আক্তার : সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে আমার বাবা-মায়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। কেননা একজন মেয়ে হিসেবে আমার সকল কার্যক্রম তাদের ভূমিকা ছাড়া সম্ভব হতো না। এদিক থেকে আমি সত্যিই অনেক সৌভাগ্যবতী।

চাঁদপুর কণ্ঠ : গান, কবিতা, আবৃত্তি, চিত্র প্রদর্শনী, নাটক ইত্যাদির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ কেমন?

মারিয়া আক্তার : গান, কবিতা আবৃত্তি, চিত্র প্রদর্শনী, নাটক ইত্যাদির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ তেমন নেই বললেই চলে। কেননা এখন হলে গিয়ে সিনেমা দেখা বা পরিবারের সাথে একসঙ্গে বসে মঞ্চনাটক দেখা এসব খুবই বিরল। প্রায় এমন চিত্র আমরা দেখি না বললেই চলে। এখন সবাই যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্থ হয়ে যন্ত্রের হাতের পুতুলের ন্যায় হয়ে গেছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সৃজনশীল/সাংস্কৃতিক চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ আপনি কী কী পুরস্কার পেয়েছেন?

মারিয়া আক্তার : সৃজনশীল/সাংস্কৃতিক চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ আমি স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। সবসময় যে জয়ী হয়েছি এমনটা নয়, তবে সবসময়ই আমার মা বলেন, অংশগ্রহণ করাটাই মুখ্য। আমার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করায় বদলাও ইয়ূথ ফাউন্ডেশন থেকে ‘ঐবৎড় ড়ভ ইণঋ’ পুরস্কার পেয়েছি আমাদের পৌরপিতা জিল্লুর রহমান জুয়েলের হাত থেকে। এরপর আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে আমার শ্রেষ্ঠ পাওয়া ২০১৮ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাপ্ত পুরস্কার এবং নাট্যশিল্পী হিসেবে জীবনের প্রথম নাটক স্বরলীপি নাট্যগোষ্ঠীর পরিচালিত নাটক ‘ধানমন্ডী ৩২’-এ সূত্রধরের পাঠ করে আমি সার্টিফিকেট পেয়েছিলাম। তারপর বিভিন্ন মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : জাতীয় পর্যায়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে আপনি কাদের দেখে অনুপ্রাণিত হন?

মারিয়া আক্তার : জাতীয় পর্যায়ে সংস্কৃতি অঙ্গনে আমি অনুপ্রাণিত হই বিভিন্ন লেখক, লেখিকা, কবিদের দেখে। সম্প্রতি সাহিত্য মঞ্চের একটি অনুষ্ঠানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আগত অতিথিদের মধ্যে আবৃত্তিশিল্পী শাওলি রায় ছিলেন। তিনি একজন অসাধারণ আবৃত্তিশিল্পী। আমি তাঁকে দেখে সত্যিই অনুপ্রাণিত হয়েছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সামাজিক/সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আপনার সবচেয়ে আনন্দের দিন কোনটি? কেন আনন্দের দিন।

মারিয়া আক্তার : সামাজিক/সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমার সবচেয়ে আনন্দের দিন হচ্ছে একটি নিউজপোর্টালে অনুষ্ঠিত শোতে মাইনুল ইসলাম মানিক স্যারের সাথে একই ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ করার দিনটা। একজন ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবে এ রকম গুণী মানুষদের সাথে বসে ইন্টারভিউ দেয়া। এটা সত্যিই একটা দারুণ ব্যাপার ছিলো আমার জন্যে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অবসর সময়ে কী করেন?

মারিয়া আক্তার : অবসর সময়ে বই পড়ি, রান্না করি, ভ্রমণ করি, ছবি আঁকি। ইদানীং অবসর সময়ে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি। কেননা উচ্চশিক্ষার জন্যে হয়তো খুব শীঘ্রই অন্য শহরে পাড়ি জমাতে হবে। তাই এই দীর্ঘ অবসর সময়টা পরিবারের সাথে কাটাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়