মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি
অনলাইন ডেস্ক

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত আসনে এতো বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যবস্থা না থাকায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু ১৯৯২ সালে। দেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। উচ্চশিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা নিরূপণে সরকার ১৯৯২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন চালু করে। যার স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আলিমউল্যা মিঞা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু আছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান এবং আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরে। অবশ্য কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার ছলে শাখা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগও আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু সচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা বেশি ভর্তি হয়ে থাকে এ কথা যেমন সত্য, তেমনি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীও শুধু রাজনীতি না থাকার কারণে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখাপড়া শেষ করা যায় বলে ভর্তি হয়ে থাকে। সেজন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য নিয়ে গত তিন দশকেরও অধিককাল যাবত সন্তুষ্ট আছেন ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলে। কিন্তু বর্তমানে হঠাৎ করে নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ প্রায় ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর থেকে উদ্বিগ্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। ইতোমধ্যে সম্মিলিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে। জঙ্গী কার্যক্রম মোকাবেলা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রগতিশীল চর্চা অব্যাহত রাখতেই এই কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য।

এক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতিতে অনেক মারামারি, কাটাকাটি, অস্ত্রের ঝনঝনানি এবং গোলাগুলি হতো। অনেক শিক্ষার্থী আহত হতো, নিহতও হতো। এখনও যে হয় না তা নয়। বিভিন্ন তথ্য মতে স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। ঢাবিতে ৭৪, রাবিতে ২৯, চবিতে ১৯, জাবিতে ৭, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। গত ১০-১২ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয়েছে ২৪ জন শিক্ষার্থী। বর্তমানে সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রায় একক আধিপত্য। প্রতিপক্ষের রাজনীতি নেই বলে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে মাঝে-মধ্যে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখাপড়া শেষ না করে একটি-দুটি কোর্স অথবা পরীক্ষা অসমাপ্ত রেখে যেভাবেই হোক ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখার অপকৌশল তাদের। এরপর টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ঠিকাদারি ইত্যাদি অছাত্রসুলভ কাজে জড়িয়ে থাকে বছরের পর বছর। খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই ইত্যাদি অভিযোগও আছে অনেকের নামে। হলে সিট বরাদ্দ, র‌্যাগিং, নারী কেলেঙ্কারি ইত্যাদি অপকর্ম ছাত্ররাজনীতির কাজ হতে পারে না। বর্তমানে টর্চার সেলে রেখে টর্চার করা ছাত্রনেতা তো বটেই, ছাত্রী নেত্রীদের মধ্যেও এই চর্চা বেশ দেখা যাচ্ছে। গণরুমের অপসংস্কৃতি এবং র‌্যাগিং তো আছেই। বিষয়টি খুব উদ্বেগজনক। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে জাতীয় নেতৃবৃন্দের আগমনে কিংবা বিভিন্ন অজুহাতে সারি সারি হোন্ডা ও অসংখ্য কর্মী বাহিনী নিয়ে উচ্চৈঃস্বরে মিছিল-মিটিং করতে দেখা যায়। কখনও কখনও এমনটি হয়ে থাকে করিডরেও, যা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়ার নজিরও আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ক্যাম্পাস থাকে না। একটি-দুটি ভবনে সমস্ত কার্যক্রম চলে। অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ই শহরের ব্যস্ত এলাকায় স্থাপিত এবং ক্লাসরুমের ওপরে-নিচে ও আশপাশে থাকে শপিংমল। এরকম একটি পরিবেশে ছাত্ররাজনীতি চালু হলে এবং বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে মিছিল-মিটিং হলে লেখাপড়ার কী দুরবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়।

প্রচলিত ছাত্ররাজনীতিতে প্রতিপক্ষ প্রতিরোধের নামে ছাত্রদের হাতে রামদা, লম্বা লাঠি, এমনকি হাত উঁচু করে অস্ত্র প্রদর্শন করতেও দেখা যায় প্রায়ই। কখনও কখনও গোলাগুলিও চলে। এখানেই শেষ নয়, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং নেতাদের নামে-বেনামে দখল করে অন্যের সম্পত্তি, সরকারি জমি, প্রকল্পের নামে সরকারি টাকা আত্মসাত, চাঁদাবাজিসহ গোপনে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এদেশেরই সন্তান। তাদেরও থাকতে পারে দুর্নীতির প্রতি আকর্ষণ। তাই তাদেরও কিছু অংশ চায় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্ররাজনীতি শুরু হোক। কিন্তু এগুলো কি সুস্থ রাজনীতির ধারা? এসব অপছাত্ররাজনীতির বলির পাঁঠা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দমন করতে প্রায়ই ব্যর্থ হচ্ছে। অপরাধের কারণে অনেকে জেল খাটছে। ছাড়া পেয়ে শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হচ্ছে। বড় নেতারাও তাদের ব্যবহার করছে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ সফল করার জন্য। ছাত্রদের যারা এভাবে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে তারাই ছাত্ররাজনীতির নানা অপকর্মের জন্য অনেকটা দায়ী। তাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি শুরু হলে তাদের জীবনেও এরকম অধ্যায় নেমে আসবে কিনা, দুই-একজন ছাত্রনেতার অপকর্মের জন্য শিক্ষার পরিবেশ ঠিক থাকবে কিনা, অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে কিনা, লেখাপড়া করতে করতে চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাবে কিনা, সেমিস্টারের পর সেমিস্টার এত উচ্চমূল্যের টিউশন ফি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে কিনা ইত্যাদি ভেবে সচেতন অভিভাবক মহল গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছাড়া ছাত্ররাজনীতির সুষ্ঠু চর্চা কিংবা বিকাশ হয় না। সেক্ষেত্রে দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, প্রগতিশীল ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকল ছাত্র সংগঠনকে একইভাবে সুযোগ দিলে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হতে পারে। ধৈর্য, সহনশীল, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা, সর্বোপরি প্রতিপক্ষকে সমান দৃষ্টিতে দেখার চর্চা থাকা উচিত। অবশ্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে রাজনীতি ছাড়াও নেতৃত্ব বিকাশের অনেক ধাপ আছে। সেগুলো হলো সাইন্স ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, যা প্রাইভেট বিদ্যালয়ে চর্চা করার অপূর্ব সুযোগ রয়েছে। আছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খেলাধুলা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট, শিক্ষা সফর এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ইত্যাদি। এছাড়াও সারা বছরই চলে বিভিন্ন রকম সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, বিভিন্ন দিবস পালন, বর্ষবরণ, বৈশাখী মেলা, বসন্ত উৎসব, জব ফেয়ার, নাটক মঞ্চস্থ ইত্যাদি। ক্লাস ও পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে শিক্ষার্থীদের এগুলো নিয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এখান থেকেও তারা তাদের নেতৃত্বের পরিচয় দিচ্ছে। তবে একটি চারাগাছ ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত যেমন আলো, বাতাস, পানি, মাটি সবকিছুই লাগে, ঠিক তেমনি একজন পরিপূর্ণ, আদর্শিক ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হতে হলে ছাত্ররাজনীতি অপরিহার্য। কিন্তু আমাদের দেশে ছাত্ররাজনীতিতে নেতৃত্ব নির্ধারণে ছাত্র সংসদের যেই সংস্কৃতি ছিল সেটিও নেই গত তিন দশক ধরে। তবুও থেমে নেই ছাত্রনেতা এবং নেতৃত্বের আধিপত্য। তাদের হোন্ডা, গাড়ি, বাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংক ব্যালান্সও কম নেই। অথচ বই-খাতাণ্ডকলম ও জ্ঞান ছাড়া কোন সম্পদই তাদের থাকার কথা নয়। তাহলে এসবের উৎস কি? এই প্রশ্নের উত্তর সকলেরই জানা। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এমনটি চায় না। তারা চায় পিতা-মাতার কষ্টার্জিত অর্থের সঠিক ব্যবহার, সময়মতো লেখাপড়া শেষ করা। তাহলে ছাত্ররাজনীতি শুরু হলে কেমন হবে ভবিষ্যতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দৃশ্য? সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সুস্থ প্রতিযোগিতা, নাকি হানাহানি, গোলাগুলি, অবৈধ সম্পদ অর্জনের নেশা? এসব ভেবেই প্রধানত উদ্বিগ্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ।

তবে বাংলাদেশ সৃষ্টি এবং গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনে ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ছাত্ররাই। ১৯৬৯ সালে সব ছাত্র সংগঠন মিলে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে জাতীয় ও সমাজতান্ত্রিক ধারণাপুষ্ট ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে। এর ফলে আইয়ুব খানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য করা হয়। এরপর এক জনসমাবেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। পরবর্তীতে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টির ঘটনা কারও অজানা নয়। স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং ১৯৯০ সালে তার পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে এদেশের ছাত্রসমাজ। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সমগ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে একযোগে বিতাড়িত করতেও ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর বিপরীতে বলা যায়, যেসব প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নেই সেখানেই মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিকাশ হয়েছে। বিগত সময়ে বেশ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলবাদী শিক্ষার্থীদের অপতৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। কাজেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি চলবে, নাকি চলবে না তা অবশ্যই বিবেচ্য বিষয়। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে। অর্থাৎ ক্যাম্পাসের ভিতরে কোন ছাত্ররাজনীতি করা যাবে না। তবে ক্যাম্পাসের বাইরে এসব চর্চায় তাদের কোন আপত্তি নেই। তাদের বক্তব্য, উচ্চশিক্ষার জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা আছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা এসব জেনে-শুনেই উচ্চ বেতন দিয়ে তাদের সন্তানদের এখানে ভর্তি করিয়ে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আয় থেকে দায় নীতিতে চলে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই শিক্ষক ও স্টাফদের বেতনসহ যাবতীয় খরচ বহন করে থাকে। এক্ষেত্রে সরকারের কোন বরাদ্দ থাকে না।

তাই দেশের ১০৭টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের শিক্ষাব্যবস্থা মাত্র কয়েকজন ছাত্রের অপরাজনীতির কারণে যাতে কোনভাবেই কলুষিত না হয় সেদিকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের তীক্ষè নজর রাখতে হবে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে অফুরন্ত সুযোগ সৃষ্টি করেছে তা যে কোন মূল্যে ধরে রাখতে হবে। অন্যথায় বিপুল জনগোষ্ঠীর অসংখ্য শিক্ষার্থী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। দেশে বাড়বে অশিক্ষিতের সংখ্যা। হতাশায় ভুগবে যুবসমাজ। বিঘিœত হবে দেশের অব্যাহত শান্তি ও শৃঙ্খলা। বিপথগামী হবে মেধাবী শিক্ষার্থীরা। আর উচ্চবিত্তের ছেলেমেয়েরা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে পাড়ি জমাবে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

লেখক : অধ্যাপক, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়