সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১১ মে ২০২২, ০০:০০

স্মৃতিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজ
অনলাইন ডেস্ক

পায়রা চান্দা সাতক্ষীরা জেলার একটি জনপ্রিয় মাছ। চেনার কথা না। আমি চাঁদপুরের মানুষ। উপজেলা মতলব দক্ষিণ। তবে শৈশব থেকে যৌবন কেটেছে ঢাকা শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর প্রথম চাকুরি পেলাম একটি এনজিওতে। নাম প্রশিকা। এখানে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি সংগঠক হিসেবে কর্মস্থল ছিলো টাঙ্গাইলের সখিপুর জেলায়। সেখানে শালবন আর লাল মাটির সাথে সখ্য হলো। তবে এর মেয়াদ ছিলো ছয় মাসের মতো। এরপর তিন মাস ছিলাম বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়ামে। এখানে থাকার সুবাদে উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় উদ্ভিদ জরিপের কাজ করেছিলাম। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে চাকুরি হয়ে গেল। যেতে হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। হাওর এলাকা। তিন বছর কাটালাম সেখানে।

২০০১ সালে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে চাকুরি হলো। প্রথম পোস্টিং সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ। সেসময় সাতক্ষীরা কোথায় সেটাই অনেকে জানত না। বৃহত্তর খুলনা ভেঙে তিনটি জেলা হয়- খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা। সেখানে ছিলাম দুই বছর। এরমধ্যে চেষ্টা করছিলাম চাঁদপুর সরকারি কলেজে আসার জন্যে। কারণ এটি নিজ জেলার কলেজ।

বদলির আগে একবার চাঁদপুর কলেজে ঘুরতে এলাম। বিভাগে তখন একজন মাত্র শিক্ষক। মোঃ আসাদুল হাসনাত। ছোট বিভাগ। মাস্টার্সের কয়েকজন ছাত্র স্যারকে বিভাগের কাজে সাহায্য করতো।

২০০৩ সালের ৩ মে চাঁদপুর সরকারি কলেজে যোগদান করলাম। হাসনাত স্যারকে পেলাম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে। সহকর্মী হিসেবে পেলাম সুশীল কুমার নাহা, মোঃ মাহফুজুর রহমান খান ও মোঃ ইকবাল হোসেন খান স্যারকে। অর্থাৎ বিভাগ মোটামুটি জমজমাট।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের স্মৃতি অনেক। যোগদানের এক সপ্তাহের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। গুটি বসন্ত। প্রায় ২ সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে বিভাগে ফিরলাম। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বড় প্রাণ হলো ছাত্ররা। এই ছাত্রদের সাথে অনেক মজার স্মৃতি। সবচে মজার বিষয় ছিল শিক্ষা সফর। মূলত সেখানেই শিক্ষার্থীদের সাথে অন্তরঙ্গতা বাড়ে। আমার সময়ের শিক্ষা সফরের মধ্যে ছিলো সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক, ফয়েজ লেক, পতেঙ্গা সী-বিচ, ঢাকা বোটানিকেল গার্ডেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় জাদুঘর ইত্যাদি স্থান।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের কথা বেশ ভাল মনে আছে। অনেকের স্মৃতি কিছুটা ধূসর হয়ে গেছে। তাদের সাথে অনেক অম্ল-মধুর স্মৃতি রয়েছে। নির্দিষ্ট করে কারো নাম উল্লেখ করলাম না। ইচ্ছে করেই। কারণ বাকিরা ভাববে স্যার আমাদের কেন মনে রাখেনি।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের সময়টা আমার চাকুরি জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য সময়। কারণ এখানে অনার্স ও মাস্টার্স রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত জ্ঞান এখানে অনেকটাই দিতে পেরেছি। সেসময় শিক্ষার্থীরাও শিখতে চাইতো। তখন গাইড বইয়ের এতো রমরমা অবস্থা ছিলো না। ফলে তাদের শিক্ষা অনেক মানসম্পন্ন ছিলো। তাদের অনেকেই ভালো ক্যারিয়ার অর্জন করতে পেরেছেন।

২০০৮ সালে প্রভাষক হতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাই। এটা ছিলো আমার বিদায়ের কারণ। বদলি হয়ে চলে গেলাম শরীয়তপুরে। শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের স্মৃতি এখনো মনে পড়ে।

বিভাগের সবার প্রতি অফুরন্ত শুভকামনা।

মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (এলীন) : বিভাগের সাবেক শিক্ষক; বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়