প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন
১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসব শুরুর বাকি আর ৮ দিন
নতুন নতুন আয়োজন নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের উৎসব ॥ উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি, সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম
দেশের মধ্যে প্রথম কোনো মফস্বল জেলা শহরে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন একাধারে জাতীয় সম্পদ নিয়ে এবং জাতীয় সম্পদকে রক্ষা ও দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ১৫ বছর ইলিশ উৎসব উদযাপনের রেকর্ড অর্জন করতে যাচ্ছে। সেই সংগঠনটি হচ্ছে চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন। অবশ্য তাদের এই কৃতিত্বের অংশীদার হয়েছে চাঁদপুরবাসী। জাতীয় মাছ ইলিশকে নিয়ে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করার এই উৎসবটি চাঁদপুরের সার্বজনীন ইলিশ উৎসব হিসেবে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে উৎসব উদযাপনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক সংগঠন।
|আরো খবর
চতুরঙ্গের মহাসচিব ও উৎসবের রূপকার হারুন আল রশীদ জানান, ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসব উদযাপনে আমাদের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারের উৎসব হবে নিত্য নতুন আয়োজনে। এখন আমাদের উৎসব উদযাপনের জন্যে প্রতিদিন চলছে পর্যালোচনা। আমরা সকলের সার্বিক সমন্বয়ে আশা করছি এবার ব্যতিক্রমী আয়োজনে উৎসব উদযাপন করবো। এজন্যে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের কৃতী সন্তান, তিন তিন বারের সাংসদ, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের উৎসব উদ্বোধন করবেন। আর সমাপনী দিনের গোলটেবিল বৈঠকে দেশের খ্যাতিমান কৃষি অর্থনীতিবিদ, মতলব উত্তরের কৃতী সন্তান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম মুখ্য আলোচক বা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
যাঁদের নিয়ে ১৫ তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হচ্ছেন --
প্রধান উপদেষ্টা : লেঃ এম এ ওয়াদুদ (অবঃ), যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চাঁদপুর।
সম্মাননীয় উপদেষ্টা : রোটাঃ কাজী শাহাদাত (লেখক ও সাংবাদিক), অজিত সাহা (বীর মুক্তিযোদ্ধা), সেলিম খান (চেয়ারম্যান, ইয়র্ক ফ্যাশন, বিসিক, চাঁদপুর), অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বাহার (শিক্ষাবিদ, চাঁদপুর), মোঃ জসীম উদ্দিন শেখ (রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত সমবায়ী), রোটাঃ ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া (সব্যসাচী লেখক), রোটাঃ মোঃ মহসীন পাঠান (বীর মুক্তিযোদ্ধা), রোটাঃ মোঃ শবে বরাত সরকার (সংস্কৃতিসেবী, চাঁদপুর), শহীদ পাটোয়ারী (নাট্য সংগঠক, চাঁদপুর), রোটাঃ ডাঃ মাসুদ হাসান (সংস্কৃতিসেবী, চাঁদপুর), তপন সরকার (সাংস্কৃতিক সংগঠক, চাঁদপুর), রোটাঃ তোফায়েল আহাম্মদ শেখ (সংস্কৃতিসেবী), জয়নাল আবেদীন জনু (সংস্কৃতিসেবী, চাঁদপুর), পরেশ মালাকার (সংস্কৃতিসেবী, চাঁদপুর) ও ইতু চক্রবর্তী।
চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নির্বাহী পরিষদ চেয়ারম্যান : অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান : কৃষ্ণা সাহা, ভাইস চেয়ারম্যান : সাধনা সরকার, মহাসচিব : হারুন আল রশীদ, যুগ্ম মহাসচিব : মৃনাল সরকার ও তামীম আহমেদ সুমন, পরিচালক (সংগীত) : অনিতা কর্মকার, পরিচালক (প্রশিক্ষণ) : শুভ্র রক্ষিত, পরিচালক (অনুষ্ঠান) : শাহরিয়া পলাশ, পরিচালক (প্রকাশনা) : মানিক দাস, পরিচালক (প্রচার) : রাজীব চৌধুরী, পরিচালক (অর্থ) : জসীম মেহেদী, পরিচালক (দপ্তর) : মোঃ রাজীব চৌধুরী, পরিচালক (চারুকলা) : মনির হোসেন মান্না, পরিচালক (সেমিনার) : মেহেদী হাসান জীবন, পরিচালক (সম্প্রচার) : এম এইচ বাতেন, পরিচালক (নৃত্য) : রাশেদুল রাব্বী। অভ্যর্থনা : মাহমুদা খানম, শরীফ চৌধুরী, মির্জা জাকির, মাহবুবুর রহমান সুমন, জিএম শাহীন, অ্যাডঃ চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম, দিদারুল আলম চৌধুরী, রাজন চন্দ্র দে, মোবারক হোসেন শিকদার, গোলাম মোস্তফা, রোটাঃ উজ্জ্বল হোসাইন, কেএম মাসুদ, অভিজিৎ রায়, মিঠুন বিশ্বাস, এম আর ইসলাম বাবু, মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, মাইনুল ইসলাম মানিক ও ভিভিয়ান ঘোষ। আপ্যায়ন পরিষদ : কালাম আহমেদ, সোলাইমান হোসেন নীরব, সুমনা বেগম সুমি, শারমিন আক্তার জুঁই, নাজনীন আক্তার, আফজাল রশীদ শান্তু, রাকিবুল হাসান, গাজী ওমর ফারুক। অনুষ্ঠান সমন্বয় : প্লাবন ভট্টাচার্য, খোকন দাস, অনির্বাণ সাহা, ফয়সাল রশীদ শাওন, আরিফ খান, নোমান রেজা রিয়াদ, অনিক নন্দী, মোহাম্মদ মামুন, অর্পিতা ঘোষ রক্ষিত, মোনায়েম হোসেন অন্তু, বাপ্পী চৌধুরী, মুন্না ঘোষ ও কাজী কাবিসা। হল ও মঞ্চ ব্যবস্থাপনা : আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী, রিপন সরকার, মোঃ শাহজাহান খান, রাজিব সাহা, মোহাম্মদ মোবারক, রোমানা মাহমুদ, কেয়া বর্মন, রফিকুল রাজু, ইসরাত প্রীতি, নাজনীন মুন্নি, জাহিদ হাসান, নাদিয়া ও জাহিদ হাসান বাবু।
উৎসবের মৌলিক কর্মসূচি
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সনাতনী বিতর্কের বিষয় :
(১) ইলিশ সম্পদ রক্ষায় নদীগুলোর দূষণ রোধের চেয়ে নাব্যতা বৃদ্ধি করা অধিক জরুরি। (২) ইলিশ উৎসব কেবল বিনোদন নয়, এটি জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার একটি সামাজিক আন্দোলন।
সংসদীয় বিতর্কের বিষয় :
(১) এ সংসদ মনে করে, ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জেলেদের প্রণোদনা নয় বিকল্প কর্মসংস্থান জরুরি।
(২) এ সংসদ মনে করে, ইলিশ উৎসবকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
মুক্ত ভাবনা :
(১) মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে টহল বাহিনী গঠন করা হোক।
(২) ইলিশের ডিম সংরক্ষণ ও বিক্রয়কে কঠিন শাস্তিযোগ্য আইনের আওতায় আনা জরুরি।
নারী ভাবনা :
গৃহিণীরাই জাটকা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে
নাগরিক ভাবনা (দর্শকদের মুক্ত মতামত)।
জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার মৌসুমে সকল মাছ ধরার নৌকা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হেফাজতে রাখা জরুরি। জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণের মৌসুমে সকল মাছ ধরার নৌকা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আওতায় রাখা জরুরি।
অতিথিদের গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনার বিষয়
১. ভরা মৌসুমে ইলিশের আকাল : এ দায় কাদের?
২. প্রসঙ্গ ইলিশ সম্পদ রক্ষা : আপনি কী করছেন? ৩. ইলিশ উৎসব : ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামীতে করণীয়। ৪.বাঙালির রসনা বিলাসে ইলিশের ভূমিকা।
৫. হৃদরোগ নিরাময়ে ইলিশ : চিকিৎসার নতুন দিগন্ত।
৬. ইলিশ জেলেদের দারিদ্র্য নিরসনে আমাদের করণীয়।
৭. ইলিশ প্রাকৃতিক সম্পদ। এটির মালিক রাষ্ট্র। এর বিক্রয় ও বিতরণে সরকারি নজরদারি থাকা দরকার।
* প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতার শিল্পীদের সংস্কৃতি বিনিময়।
* বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
* জেলার জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনা।
* ইলিশের রেসিপি প্রদর্শন।
* সমাজে নানা ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্যে ‘চতুরঙ্গ পদক’ প্রদান।
উৎসবের ৭ দিনের অনুষ্ঠানসূচি
১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, বিকেল ৪টা থেকে--রংধনু, চাঁদপুর-এর নৃত্য, অনির্বাণ সাহা ও মুন্না ঘোষের সংগীতানুষ্ঠান, মুক্ত ভাবনা : ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, চাঁদপুর, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ চাঁদপুর-এর অনুষ্ঠান, অনুপম বিশ্বাসের পরিচালনায় বয়াতি, ঢাকার শিল্পীদের পরিবেশনা, প্রিয়া বিশ্বাস ও নাবিয়া মিতুলের গান, ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকশেষে নৃত্যরাগ একাডেমি, ঢাকা-এর পরিবেশনা, ইতু চক্রবর্তী ও কৃষ্ণা সাহার গান।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার, বিকেল ৪টা থেকে-- রাজীব চৌধুরী ও এমএইচ বাতেনের সংগীতানুষ্ঠান, মুক্ত ভাবনা : টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, উদয়ন সংগীত বিদ্যালয় চাঁদপুর, বাউল শিল্পী গোষ্ঠী, চাঁদপুর-এর পরিবেশনা। ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকশেষে কাদরী ডান্স ট্রুপ, ঢাকা-এর পরিবেশনা এবং রাবেয়া আকতার ও নওমী জামানের সংগীতানুষ্ঠান।
১৭ সেপ্টেম্বর রোববার, বিকেল ৪টা থেকে--শুভ্র রক্ষিত, অর্পিতা রক্ষিত ও প্লাবন ভট্টাচার্য্যরে গান, নারী ভাবনা : সঞ্চালনা এম আর ইসলাম বাবু, লতিকা নৃত্যালয়, লক্ষীপুর জেলা ও সুরধ্বনি একাডেমি, চাঁদপুর-এর পরিবেশনা।
ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকশেষে অনুপম চক্রবর্তী, সুমন শীল (দোতারা) এবং রূপালী চম্পক ও সাধনা সরকার অনুর গান।
১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার, বিকেল ৪টা থেকে-- চতুরঙ্গ নৃত্য বিভাগ, আরিফ খান ও মোনায়েম অন্তুর গান, ইলিশ বিষয়ক সনাতনী বিতর্ক, নৃত্যধারা চাঁদপুর-এর পরিবেশনা। ককবরক ডান্স একাডেমি খাগড়াছড়ি ও সাধনা সরকার অনুর গান, ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকের পর পুনম মিত্র ও বিপাশা ধর বীণার গান।
১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, বিকেল ৪টা থেকে--ফয়সাল রশীদ শাওন, মোহাম্মদ মামুনের গান, ইলিশ বিষয়ক সংসদীয় বিতর্ক, শ্রীমঙ্গল নৃত্যালয়, মৌলভীবাজার-এর পরিবেশনা। ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকের পর কলকাতার প্রদীপ্তা ভট্টাচার্য্য, বিট্টু মণ্ডল, মৌ দত্ত বসু ও অরিত্রিকা মুখার্জীর নৃত্য।
২০ সেপ্টেম্বর বুধবার, বিকেল ৪টা থেকে--তন্ময় রক্ষিত ও কাজী কাবিসার গান, আমরা আলোকিত নারীর ইলিশ রেসিপি, ইলিশ বিষয়ক সনাতনী বিতর্ক, নারায়ণগঞ্জ হাওয়াইয়ান গিটার পরিষদের পরিবেশনা। ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকের পর রিপন ডান্স টিম, ঢাকা, মৃনাল সরকার ও জয়ন্তী পালের গান।
২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, বিকেল ৪টা থেকে--ইলিশ বিষয়ক সংসদীয় বিতর্ক, নৃত্যাঙ্গন, চাঁদপুর ও নৃত্যবৃতি, ঢাকার পরিবেশনা, সাধনা সরকার ও অনিতা কর্মকারের গান, ড. অর্পণ রক্ষিত ও নিগার সুলতানা পপির গান, ইলিশ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকের পর কলকাতার সুমন মন্ডল, সায়ন্তনী দত্ত, তৃষা দাস মন্ডল, মৌসুমী মতিলাল, অর্পিতা ও গোস্ট গোপাল দেবনাথের নৃত্য।
৭ দিনের উৎসবের সকল অনুষ্ঠানমালা সরাসরি
লাইভ দেখতে ভিজিট করুন --
chandpurkantha24
Chaturanga Chandpur
জাতীয় ইলিশ উৎসব চাঁদপুর
Harun Al Rashid
RongDhonu Chandpur
পপুলার বিডিনিউজ
চাঁদপুরীয়ান।