মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

অমাবস্যার কান্না

এশতিয়াক মাহমুদ
অমাবস্যার কান্না

নিজামের ঘুম ভেঙ্গে গেছে। গভীর রাত! ঘড়ির রেডিয়াম ডায়ালে দেখাছে দুইটা পনের মিনিট! বাহিরে নিকষ কালো আঁধার! আজ অমাবস্যা।

সপ্তাহখানেক হলো এই বাড়িতে উঠেছে নিজাম।

অতি পুরাতন, ব্রিটিশ আমলের বাড়ি। ভাঙাচোরা, লণ্ডভণ্ড অবস্থা বাড়ির। শখের বশে কেনা হয়েছে। ছাদে হাঁটাহাঁটির শব্দ পাওয়া যাছে। এই নির্জন বাড়িতে নিজাম ছাড়া আর কেউ থাকে না। কাজের ছেলে ফরিদ সন্ধ্যায় বাড়িতে চলে যায়। হাঁটাচলার শব্দ শোনা যাছে প্রতিদিনই। তবে গতকাল মনে হলো কেউ খুব করুন সুরে কাঁদছে। কিশোরী মেয়ের ফুঁপিয়ে কাঁদার আওয়াজ। আজ আবার সেই কান্নার শব্দ শোনা যাছে!

বিদ্যুতের ব্যাবস্থা এখনো হয়নি। সপ্তাহখানেক লাগবে বিদ্যুতের ব্যাবস্থা করতে। বালিশের পাশে রাখা ম্যাচ বাক্সটা হাতরে হাতরে খুঁজে নিলো নিজাম। বিছানা থেকে নেমে একটা কাঠি জ্বালিয়ে দেয়ালে টাঙ্গানো হারিকেনটায় আগুন জ্বালিয়ে নিয়েছে। সিদ্ধান্ত, ছাদে যাবে।কান্নার আওয়াজ বেড়ে চলেছে ধীরে ধীরে।

কাঠের রেলিং দেয়া পুরোনো সিঁড়ি। জায়গায় জায়গায় নড়বরে হয়ে গেছে। হারিকেনের মৃদু আলোয় সিঁড়ি বেয়ে উঠছে নিজাম। আস্তে আস্তে এসে দাঁড়িয়েছে সিঁড়ি ঘরের দরজার সামনে। কান্নার আওয়াজটা বুকের মধ্যে ভয়ের শীতল শিহরণ জাগাছে। ডান হাতে দরজার হাতলটা ধরলো, বা হাতে হারিকেন। তীব্র ভাবে ভয়টা জেঁকে বসেছে হঠাৎ করেই।ছুটে পালিয়ে যেতে ইছে করছে এই অদ্ভুত বাড়ি থেকে। জোরে জোরে বারকয়েক নিঃশ্বাস নিয়ে ভয়টা কাটানোর চেষ্টা করলো সে। ধাতস্থ হয়ে ধীরে ধীরে খুললো সিঁড়ি ঘরের দরজাটা। কিছু একটা দেখা যাবে সেই অনুযায়ী মনকে প্রস্তুত করে নিয়েছিল।

কিন্তু সামনের দৃশ্য দেখার পর সেই সাহস উড়ে গেল মূহুর্তেই! ছাদের উপর হেলে পড়েছে আমড়া গাছের একটা বড় ডাল। আমড়া গাছের ঝাঁকড়া ডালটার নিচে একটা মেয়ে বসে আছে। মুখটা হাঁটুর সাথে লাগানো। গায়ে লাল শাড়ি। কান্নার দমকে একটু পর পর কেঁপে উঠছে শরীর। তার বাম পাশে হাত তিনেক দূরে একটা রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে আছে। বিকৃত রক্তাক্ত দেহ থেকে মাংস খুবলে খাছে একটা অতিকায় আকৃতির কুচকুচে কালো কুকুর।

হারিকেনের আলো পড়তেই মেয়েটা মুখ তুলে চাইলো নিজামের দিকে! কুকুরটাও আহারে বিঘ্ন ঘটানোয় , অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিজামের দিকে। এতোটা চাপ তার মস্তিষ্ক নিতে পারলো না।নিজাম জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে আবিষ্কার করলো ঘরের বিছানায়। ফরিদ চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে আছে তার পাশে। হারুন ডাক্তার বসে আছেন টেবিলের কাছে রাখা জোড়াতালি দেয়া চেয়ারটায়। চোখ খুলতেই ফরিদ বললো ,বিরাট বাচা বাইচা গেছেন স্যার! মরার ঘর থেইকা ফিরা আসছেন!

নিজাম নিরব দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো দেয়ালে টাঙ্গানো হারিকেনটার দিকে। ওটার কাঁচ ভেঙে গেছে, নিচের দিকটা রক্ত মাখা, ঠিক রাতের সেই ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহের মতো!ফরিদ পুকুর পাড়ে বসে আছে। মাসখানেকের মধ্যেই বাড়ির চেহারা পাল্টে ফেলেছে ছেলেটা।তার কাজের প্রশংসা না করাটা হবে বিরাট অপরাধ । দিন পনের আগে ইলেকট্রিসিটির ঝামেলা মিটেছে। সব ঝামেলার সমাধান হয়ে গেছে, শুধু একটা বাদে। অশরীরীর ঝামেলা মিটে নাই। ফরিদ এখন রাতে নিজামের সাথেই থাকে।সন্ধ্যার বেশি দেরি নেই। নিজাম বৈঠকখানায় বসে আছে। তার বসার ভঙ্গি বিচিত্র। সে দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছে মেঝেতে,পা দুটো চেয়ারের উপর তোলা।বাড়িতে কেউ এসেছে। আগন্তুক ফরিদের সাথে কথা বলছে। বৈঠকখানায় বসে নিজাম তাদের কথা বার্তা শুনতে চেষ্টা করছে। খানিক বাদে ফরিদ বৈঠকখানায় এসে ঢুকলো। ফরিদের মুখে হাসি। নিজামের বসার ভঙ্গি দেখে মজা পেয়েছে ছেলেটা। হাসি চেপে রেখে বললো,স্যার! একজন আসছে।

কে?

চিনি না স্যার! তয় পীর ফকির অইবো মনে হয়। হের শইল্যের থাইকা গুয়ের গন্ধ বাইর হয়!

কি চায় সে?

আফনের লগে দেহা করবার চায় স্যার!

তারে বিদায় দেও! গায়ে গুয়ের গন্ধযুক্ত কারো কাছে এখন দেখা দিব না!

ফরিদ বেরিয়ে গেছে। ফকির সাহেব বোধহয় যেতে নারাজ। ফরিদের সাথে তার সামান্য বিতর্ক হয়েছে। ফরিদ আবার এসেছে বৈঠকখানায়। ফরিদ বললো,

স্যার! হে যায় না!

কেন?

আপনের লগে দেহা না কইরা হ্যায় যাইবো না!

তারে নিয়া আস!

ফকির সাহেবকে বৈঠকখানায় নিয়ে এসেছে ফরিদ। তার শরীরে উৎকট গন্ধ নাকে লাগছে। ফকির সাহেব বললেন,

এই বাড়িতে উঠেছেন মাসখানেক হইলো!

জী!

ভুত দেখেছেন বাড়িতে উঠার সাতদিন পরে!

জী!

একটা মেয়েলোকের ভূত দেখেছেন! লগে একটা বিরাট কুত্তা! কালা কুত্তা!

নিজাম অবাক হয়েছে। কি দেখেছে সেদিন রাতে, তা কাউকে বলে নাই সে। এই লোকের সেই রাতের ঘটনা জানার কথা নয়। নিজাম জিজ্ঞেস করল,

আপনি জানেন কিভাবে?

আমি ফকির মানুষ। এইসব নিয়াই কাজ কারবার। এই বাড়িতে ঝামেলা আছে!

কি ঝামেলা?

ভুত আছে এই বাড়িতে! ক্ষতি হইবো বাড়ির লোকজনের!

আপনার আগমনের হেতু কি?

ভূত খেদায়া দিমু!

বিনিময়ে কি চান আপনি?

ফকির সাহেব হাসছেন। রহস্যময় হাসি। খানিক বাদে বললেন,

হাজার পাঁচেক দিলেই চলবো!

আপনি চলে যান!

আমি চইলা গেলে আপনার ক্ষতি! বাড়িতে থাকতে পারবেন না।এতো পয়সা খরচ কইরা কেনা বাড়ি বিরান পইড়া থাকব!

না থাকতে পারলে চলে যাব। বাড়ি খালি থাকবে, অসুবিধা নাই। আপনি বিদায় হন!

আপনে এক হাজার কম দিয়েন!

আপনি বিদায় হন। ভুতের সাথে মাসখানেক হয় আছি। তার প্রতি মায়া জন্মেছে। তারে বাড়িছাড়া করব না!ফকির সাহেব রুষ্ট হয়েছেন। লম্বা লম্বা পা ফেলে দ্রুত বৈঠকখানা থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি। ফকির সাহেব বেরিয়ে যেতেই ফরিদ বললো,

স্যার। তেনারে খেদায়া দেওয়া উচিত হয় নাই মনে হয়!

কেন?

ভুত খেদায়া দিতেন তিনি! ঝামেলা মিটতো!

সে দুষ্ট লোক! শরীরে পঁচা বিষ্ঠা মাখায়া আসছে, যেন তারে বিশ্বাস করি। দুষ্ট প্রকৃতির লোক ভূত দূর করতে পারে না! এই কাজের জন্য উত্তম লোক দরকার!

ইমাম সাব আছেন। তেনারে বললে ব্যাবস্থা একটা হইবো! বলবো তারে?

আগামীকাল সকালে যাইবা তার কাছে। ওনারে বিকালে আসতে বলবা !

জী স্যার। যাবো!মধ্যরাত,আকাশ অপরিষ্কার। মেঘের আড়ালে চাঁদ ঢাকা পড়েছে। পৃথিবী ডুবেছে নিরেট অন্ধকারে। ছাদে হাঁটাহাঁটির শব্দ পাওয়া যাছে। এই শব্দ এখন পরিচিত জিনিস, এর জন্য হওয়া ভয় কেটে গেছে। কান্না শোনা যায় মাঝে মধ্যে, তাই কান্নার আওয়াজ কিছুটা ভয় ধরায়। নিজাম জেগে আছে, ঘুম এসেছিল সন্ধ্যা রাতে, সেই ঘুম নষ্ট হয়েছে ফরিদের ডাকাডাকিতে। খাওয়ার জন্য ডেকেছে ফরিদ। খাওয়া শেষে ঘুম কেটে গেছে।ফরিদের সাথে কিছুক্ষণ গল্পগুজব করা যায়। ছেলেটা পাশের ঘরে থাকে।রাতে জেগে থাকে ফরিদ। মনে হয় ভয় পায়, এইজন্যই ঘুমায় না। সারারাত লাইট জ্বালিয়ে রাখে।নিজাম দাঁড়িয়ে আছে ফরিদের ঘরের দরজায়। ফরিদের ঘরের দরজা বন্ধ, বাতি নিভানো।

মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে। ডাকাডাকি না করে নিজের ঘরে ফিরে আসার জন্য পা বাড়িয়েছে নিজাম। সিঁড়িতে কারো পায়ের শব্দ শোনা গেল হঠাৎ করে। নিজাম দাঁড়িয়ে আছে, বুকের ভেতর অস্থিরতা কাজ করছে। ভূত এতো দিন ছাদে ছিল, তাতে কোন অসুবিধা ছিল না। তারা ঘরে থাকতো, ভূত থাকতো ছাদে। উপরে নিচে থাকতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু ভূত এবার নিচে নামছে, এইটা ভালো লক্ষণ না।সিড়ি বেয়ে শব্দ যত নিচে নামছে, নিজামের ভয় বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।সিড়ি বেয়ে নেমে এসেছে ফরিদ। নিজামকে দেখে ফরিদ বললো, এতো রাইতে বাইরে বের হয়েছেন স্যার। কিছু লাগবো?

নিজাম মাথা নাড়ে। এতো রাতে ছেলেটা ছাদে গিয়েছে কেন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাছে তার মনে। নিজাম জিজ্ঞেস করল,

ফরিদ!

জি স্যার!

ছাদে গিয়েছিলা কেন?

এমনেই স্যার!

ভয় নাই তোমার?

ভয়ের কিছু নাই স্যার!

ফরিদের কথায় অন্যরকম ভাব দেখা দিয়েছে। পরিচিত ফরিদ ভীতু স্বভাবের। তার সাথে এই ফরিদের কোনো মিল নাই। ফরিদ বললো,ছাদে বড় চমৎকার পরিবেশ। যাইবেন স্যার?

চল যাই!

ফরিদের কথায় রাজি হওয়া উচিত হয়নি।না বলতে গিয়েও বলতে পারে নাই নিজাম। মনে মনে আফসোস করতে করতে ফরিদের পেছন পেছন সিঁড়ি বেয়ে উঠছে নিজাম।ছাদের বাতি নিভানো। এইরকম হওয়ার কথা না। সারা রাত এই বাতি জ্বালানো থাকে। নিজাম জিজ্ঞেস করল,

ফরিদ। বাতি নিভানো কেন?

কি জানি স্যার! মনে হয় নষ্ট হইছে, আমি একটু আগেও দেইখা গেছি জ্বলতেছে! আফনে এইখানে দাঁড়ান, আমি গিয়া বাত্তি জ্বলায়া আসি! নিজাম সিঁড়ি ঘরের দরজার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে। ফরিদ গিয়েছে বাতি জ্বালাতে। কিন্তু ছেলেটা বেশি দেরি করছে। বাতি জ্বালাতে এতো সময় লাগার কথা না। নিজাম দুবার ডাকলো ফরিদকে। কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া গেল না। হঠাৎ মনে হলো ফরিদের কিছু হয়েছে। নিজাম অন্ধকারেই পা বাড়ায় ছাদের দিকে।

ছাদে উঠার সাথে সাথে বাতি মিটমিট করে জ্বলতে শুরু করেছে। বাতির কাপা কাপা হলদে আলোয় ফরিদকে দেখা যাছে না। ছেলেটা গেল কোথায় এই চিন্তা ঘিরে ধরছে নিজামকে। আস্তে আস্তে আবার নিভে গেল বাতিটা। ঘুটঘুটে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে নিজাম। ফরিদের কোনো সাড়াশব্দ নাই। ভয়ে শরীরের রক্ত ঠান্ডা হয়ে যাছে । হঠাৎ পেছন থেকে ফরিদ বললো, ‘স্যার! এই দিকে দেখেন!’ নিজাম পেছনে ফিরে তাকায়। ঘন কালো আঁধারের মাঝে একটা হারিকেন জ্বলে উঠেছে হঠাৎ করেই। সেদিনের সেই কাচ ভাঙ্গা হারিকেন। ফরিদের দেহ আমড়া গাছের ঝুঁকে পড়া একটা ডালে ঝুলছে। আমড়া গাছের পাতাহীন চোখা ডালটা ফরিদের বুক পিঠ এফোড় ওফোড় করে বেরিয়ে গেছে। রক্তের ফোঁটা টপ টপ করে পড়ছে ছাদের মেঝেতে। ফরিদ হঠাৎ করেই চোখ খুলে তাকালো। বললো,

স্যার! আফনের পিছে দেহেন তো একবার!ঠান্ডা আবহাওয়ায়ও দরদর করে ঘামছে নিজাম। ফরিদ মারা গেছে। শুধু মরে নাই, মরে ভূত হয়েছে। আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় ধীরে ধীরে পেছনে ঘুরে তাকায় নিজাম। সেদিনের সেই মেয়েটা দাড়িয়ে আছে ছাদের শেষ প্রান্তে। গায়ে সেদিনের মতো লাল শাড়ী। সেদিন খেয়াল করেনি নিজাম, মেয়েটার হাত দুটো উল্টো। পা দুটো পেছনের দিকে ঘোরানো। মেয়েটার পাশে বসে আছে কালো রঙের সেই কুকুরটা। তার সামনের দুই থাবার মাঝে দেহহীন একটা মানুষের মুন্ডু। মেয়েটা হেসে উঠলো। ভয়ঙ্কর ভয় ধরানো হাঁসি। অপার্থিব সেই হাসিতে মিশে আছে মৃত্যুর আহ্বান।

মেয়েটা শূন্যে ভেসে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে নিজামের দিকে। নিজাম পিছু হটছে।তার পা দুটো টলছে। ধীরে ধীরে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এলো নিজামের সামনে দেখা গেল শুধু নিকষ কালো অন্ধকার!নিজামের জ্ঞান ফিরেছে। গায়ে উৎকট গন্ধওয়ালা সেই ফকির ঝুঁকে আছে নিজামের দিকে। পাশে দাঁড়িয়ে আছে ফরিদ। তার চোখে উদ্বিগ্ন দৃষ্টি। ফকিরের গায়ের উৎকট গন্ধ সারা ঘরে ছড়িয়ে গেছে। নিজাম তাকিয়ে আছে ফরিদের দিকে। ফকিরের গায়ের গন্ধ আজকে তার নাকে লাগলো না। তার দৃষ্টি উদ্বিগ্ন চোখে দাঁড়িয়ে থাকা ফরিদের উপর নিবদ্ধ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়