রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০০

পৃথিবীর পথে

নাফিউর রহমান রাহাত
পৃথিবীর পথে

একটা ছেলে হাঁটছে পৃথিবীর পথে। বিশাল এক পথ পারি দিয়ে তার নিদিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে।সে হাটছে আর প্রকৃতি থেকে শিখছে প্রতিনিয়ত। কিছু সময় হাটার পর তার সামনে আাসলো বিশাল একটি পদ্ম বিল।ছোট্ট একটা নৌকায় কারে সে পারি দেয়া সুরু করলো। যেতে যেতে সে নানা রকমের পাখি দেখলো, ছোটমাছ দেখলো। তার এক সময় পদ্ম বিলে গোসল কারা ইচ্ছে হলো এবং সে তাই করলো।সে ছোট ছোট হাস ছানাদের সাখে খেলা করলো।কিছু ছোট মাছ ধরলো। কিছু পদ্ম কলি নিলো বড় বড় লাল লাল ফুল গুলোর মধ্যে সে নিজেকে খুজার চেষ্টা করেছিল কিন্তু খুজে পায়নি, সে পদ্ম কলির মাঝে নিজেকে খুঁজে পেয়েছিল।সর্বশেষ আনেক আনন্দে আনেক প্রাপ্তি নিয়ে সে সুন্দর সেই পদ্ম বিলটি পাড়ি দিল। অনেক গুলো পদ্ম কলির সাথে ছেলেটিকে দেখে মনে কচ্ছিল যেন সেও বিসাল এক পদ্ম কলি যা কোন এক বিশাল বিলে প্রস্ফুটিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে।

তারপর হাটতে হাটতে তার সামনে আসলো একটি গভীর বন সে হাটা শুরু করলো নির্ভয়ে। সে সেখানে দেখলো অনেক সুসাধু ফলমুল। সে শুনতে পেলো হাজারো পাখিদের গান। তার দুচোখে চিত্রায়িত হলো সবুজ পৃথিবীর সৌন্দর্য, হাজার ফুলের রং। হাজারো ফুলের ঘ্রানে তার মস্তিষ্কের সকল নিউরন ঘুমিয়ে পড়তে চাইলো।সে নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। কিন্তু হুট করে একটি জংলী বোলতা তাকে কামর বসিয়ে দিলো সে যন্ত্রণায় কাতারে থাকলো। সে বুনোলতা চেপে ধরলো তার যন্ত্রণা কমানোর জন্য এবং কিছুটা উপকার হলো। তারপর সন্ধ্যা নামলো জোনাকির দল আলো ছড়িয়ে দিলো, মনে হচ্ছিল যেন আকাশের তাঁরা জমিনে এসে গিয়েছে সে তা দেখার জন্য একটু থামলো। কিন্তু সে ঘুমিয়ে পড়লো। তার পর মধ্যরাতে এক গর্জনে তার ঘুম ভেঙে গেলো। সে ছুটতে সুরু করলো পায়ে বার কয়েক কাটা ফুটা সত্ত্বেয় সে থামলোনা। সে শেষ পর্যন্ত খোলা মাঠের দেখা পেয়ে গেলো। কিন্তু এবার তার হাতে বাহারি রং এর কোন ফুল ছিলোনা! ছিলো কিছু বুনোলতা। তার পর সে আবার পথ হাটা সুরু করলো সে হাজির হলো বিশাল এক পাহাড় এর সামনে, তার মনে হলো হয়তো এই পাহাড়ের পরই আছে কাঙ্খিত সেই রজ্যের পথ। যেই রাজ্য তার জন্য অধির আগ্রহে বসে আছে। সে উঠা সুরু করলো কিন্তু সে পারছেনা, সে হাজার বার চেষ্টা করে অল্প কিছু পথ পাড়ি দিল। তার পর ও সে থমলো না সে হাত পায়ে বেথা পেয়েও আবার উপরে উঠার চেষ্টা করতে লাগলো। একটু একটু করে উঠতে চেষ্টা করলো কিন্তুু হঠাত সে পা ফসকে একটা অন্ধকার গুহার ভেতর চলে গেলো।

যেখানে আছে শুধু অন্ধকার। সে এদিক সেদিক অনেক পথ খুজলো কিন্তু খুজে পেলোনা। খুজতে খুজতে এক সময় এই ঘন কালো আধারের মাঝে সে নিজেকে হারিয়ে ফেললো। সে নিজেকে অনেক খুজলো কিন্তুু খুজে পেলোনা। তারপর সে গুহায় বাসকরা নেকরে দের খুজলো কিন্তু পেলোনা। সে গুহায় বিচরন কারি হিংস্র প্রানিদের পদচিহ্ন খুজার চেষ্টা করলো কিন্তু সে কোথাও কোন আশার চিহ্ন খুজে পেলোনা। কিন্তু হঠাত সে লক্ষ করলো গুহার এক কোনায় কাটু আালো সে সেখানে ছুটে গেলো এবং দেখলো বের হওয়ার ছোট একটা রাস্তা, তবে গুহা থেকে বের হওয়ার এই রাস্তায় পা রাখার জন্য জমি নেই। এই রাস্তাতে সে পা ফেললে যা তার দেহকে পাহারের পাদদেশে নিয়ে আছরে ফেলবে। সে চিৎকার করলো কিন্তু কেউ শুনলো না কেউ সারা দিলোনা। সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে রইলো আর বলতে লাগলো জিবন আন্দের সেই কবিতার লাইন

অনেক ঘুরেছি আমি;

বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগতে

সেখানে ছিলাম আমি;

আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;

তার হারিয়ে ফেলা সেই নিজ সত্তা

এখনও ছটফট করছে

এই অন্ধকার গুহা হতে বের হবার জন্য।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়