প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
আমায় যখন কেউ জিজ্ঞেস করে,
‘উদাস মনে আকাশ পানে
কেনো তুমি তাকিয়ে আনমনে?’
‘হে শুভাকাক্সক্ষী, হে প্রিয়জন,
আকাশের মতোই প্রশস্ত হোক আমার মন।’
‘কেনো তুমি তাকিয়ে রাতের নক্ষত্রের দিকে?’
ফিক করে হাসি দিয়েই বলি,
‘আমিও আলোকিত করতে চাই,
এই অন্ধকার নিজেকে।’
‘এভাবে কেনো তুমি তাকিয়ে
উদার জমিনের দিকে?’
উত্তরে আমি,
‘শত দুঃখ থাকুক হৃদয়ে,
ধরবো ধৈর্য্য, থাকবো হাসিমুখে।’
‘রুখে দাঁড়াবো যে কোনো বিপদে।’
‘এতো ঝোক কেনো বৃক্ষের দিকে?
সময় পেলে কেনো ছুটো বনের ধারে?’
‘আমিতো শিক্ষা নেই তা থেকে
সদা নিবেদিত স্বার্থহীন পরোপকারে।’
‘কেনো তুমি তাকিয়ে নদীর ঢেউগুলোর দিকে?’
‘ঢেউয়ের মতো যেনো পারি-
গর্জন দিতে,
অন্যায় অবিচারের বিপরীতে।’
আমি আরো তাকিয়ে থাকি পাখির দিকে,
সে-ও ব্যস্ত খাদ্যের খোঁজে,
নীড় বাঁধার কাজে।
সে যেনো আমায় বলে,
‘মন দাও নিজ কাজে
সঠিক সময়ের মাঝে।’
প্রকৃতির প্রতিটি বস্তুই
শিক্ষা দেয় সকাল-সাঁঝে,
টিকে থাকতে পৃথিবীতে,
শিক্ষা নাও প্রকৃতি থেকে।
তাইতো আমি আবারো তাকাই
খুঁটিহীন প্রশস্ত-
সেই আকাশের দিকে।