শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

রূপকথা

আফিফ আহমেদ
রূপকথা

অনেকদিন আগের ঘটনা। ইংল্যান্ডের এক বুড়ি মহিলা তার জানালা দিয়ে পাশের বাড়ির এক বুড়োকে দেখলো বুদবুদ বানাচ্ছে। একদিন-দুইদিন-তিনদিন এভাবে বেশ কয়েকদিন লক্ষ্য করার পরে তার মনে হল এই বুড়ো হয়তো পাগল। সে পুলিশে ফোন করলো। পুলিশ এসে খোঁজ নিয়ে দেখলো ইনি বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিউটন। তিনি তখন বুদবুদের গায়ে যে রংধনু রঙের সৃষ্টি হয় তার কারণ নিয়ে গবেষণা করছিলেন। বিজ্ঞানীদের জীবনে এমন অনেক মজার ঘটনা আছে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় হল বিজ্ঞানীদের ভুলোমন। বিজ্ঞানীদের ভুলে যাওয়ার (প্রায়) অসাধারণ ক্ষমতা অনেক মজার ঘটনার জন্ম দিয়েছে। আইনস্টাইনের ক্ষেত্রে এই ধরণের ঘটনাগুলো বোধহয় একটু বেশিই ঘটেছে।

আইনস্টাইন একবার কোন একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে বাড়ি গেল। বাড়িতে গিয়ে তিনি দরজায় শব্দ করেছেন। ভিতর থেকে তাঁর স্ত্রী বলল ‘আইনস্টাইন বাসায় নেই।’ আইনস্টাইন চিন্তা করতে করতে চলে গেল। গৃহকর্তা তো বাসায় নেই! এমন অনেক ঘটনাই আছে। কিন্তু আইনস্টাইন কি সত্যিই তাঁর চারপাশ সম্পর্কে এমন ইদাসীন ছিলেন? এতখানি আত্মমগ্ন? ৪-৫ বছর আগে আইনস্টাইনের মেয়ে গবেষকদের হাতে সহস্রাধিক চিঠি তুলে দেন। সবগুলোই আইনস্টাইনের লেখা। গবেষকরা চিঠি পড়ে থ হয়ে গেছেন।

আইনস্টাইন এতো চিঠি লেখার সময় পেলেন কিভাবে?

চিঠিগুলোতে উঠে এসেছে আইনস্টাইনের প্রেম কাহিনী। ভদ্রলোক যেখানে বক্তৃতা দিতে গেছেন সেখানেই প্রেমে পড়েছেন। তাঁর সাংসারিক জীবনের অশান্তির কারণ হয়ত শুধু তাঁর ভুলোমন নয়, সাথে সাথে তাঁর পারিপাশির্^ক সম্পর্কে এই অতিরিক্ত সচেতনতা।

নিউটনও এ ব্যাপারে কম যান না। তিনি একবার তাঁর এক বন্ধুকে দাওয়াত দিলেন। কিন্তু নিজেই ভুলে গেলেন। তিনি নিজের খাবার ঢেকে রেখে বাইরে গেলেন। এ সময় তাঁর বন্ধু এসে তাঁকে ঘরে না পেয়ে তাঁর খাবার দেখে ভাবলেন নিউটন হয়ত খাবারটা তার জন্যে রেখে বাইরে গেছেন। সে খেয়ে শুয়ে পড়ল। শোয়ার আগে সে বাসনপত্র আগের মত ঢেকে রেখে দিল। নিউটন বাসায় এসে তাঁর বন্ধুকে দেখে ভাবলেন তিনি বোধহয় বন্ধুর বাসায় চলে এসেছেন। কিন্তু না, ঐতো খাবার ঢাকা আছে। খাবার খেতে গিয়ে দেখলেন খাবার নেই। তাহলে তিনি বোধহয় খাবার খেয়েই বাইরে গিয়েছিলেন!

বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সাগান ছোটবেলায় লাইব্রেরীতে গেছেন। লাইব্রেরীরিয়ানের কাছে তিনি তারার উপরে কোন বই আছে কিনা জানতে চাইলেন। লাইব্রেরীরিয়ান জিজ্ঞেস করল-

‘তারার বই? সচিত্র?’

‘অবশ্যই।’

লাইব্রেরীরিয়ান অনেক খুঁজে একটা মোটা বই সাগানকে দিল। সাগান খুশি মনে বাসায় এসে বই খুললো। তারার বই বটে! হলিউডের চিত্রতারকাদের নিয়ে লেখা বই।

আমেরিকার ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন। তিনি শুধু বিজ্ঞানীই নয়; রাজনৈতিক এবং পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম রাজনৈতিক কার্টুনও তিনিই আঁকেন। বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিনের বাসার সামনে সবসময় একটা ঘোড়ার খুর টাঙানো থাকতো। তৎকালীন মানুষের মধ্যে কুসংস্কার ছিল বাসার সামনে ঘোড়ার খুর টাঙানো থাকলে সকল বালা-মসিবৎ দূর হয়ে যাবে। সাংবাদিকরা যখন তাঁকে এব্যাপারে জিজ্ঞেস করল তখন তাঁর সোজাসাপ্টা জবাব, ‘একটুকরা ঘোড়ার খুর যদি সব বালা-মসিবৎ দূর করে দেয় তবে ঝুলাতে অসুবিধা কোথায়?’

বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন নিয়মিত ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতেন। বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিনের বন্ধু ওয়েলস একবার তাঁকে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা তুমি এত বড় একজন বিজ্ঞানী হয়েও এইসব বিশ্বাস করো?

‘মনে করলাম তোমার কথাই ঠিক। ঈশ্বর নেই, পরকাল নেই, সব মিথ্যে। কিন্তু বন্ধু যদি থাকে? তুমি কিন্তু ফেঁসে যাবে, আমি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়