প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০
মোহসীনা খানম জারা। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর স্বপ্ন ‘আলোকচিত্রী’ হয়ে ফুল, পাখি, প্রাণী, মানুষ ও প্রকৃতিকে ‘ফ্রেম’ বন্দী করা। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?
জারা : আলহামদুলিল্লাহ্! বেশ ভালো আছি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
জারা: আমি ৯ম শ্রেণিতে পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
জারা : স্কুলের সব শিক্ষকগণই আমার প্রিয়। তবে বিশেষভাবে কারো নাম উল্লেখ করতে হলে তারেক স্যারের কথা বলবো। তিনি আমাদের ‘আইসিটি’ বিষয় পড়ান। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বরোপ করেন যা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের জন্য খুবই জরুরি। তাঁর পাঠদানের ঢঙ ভিন্নতর ও আকর্ষণীয়। তিনি জটিল সব বিষয়কে গল্পচ্ছলে বুঝিয়ে দেন।
শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
জারা : ক্লাসের সব সহপাঠীর সাথেই আমার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক। বিশেষ করে নাবিলা ও নাদিয়ার সাথে আমার সখ্যতা বেশি। ৭ম শ্রেণি থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। তাঁরা ক্লাসে খুবই মনোযোগী ও সহযোগিতাপরায়ণ। তাঁরা খুব সরলমনা, বিনয়ী ও আত্মবিশ্বাসী মেয়ে। তাঁদের চারিত্রিক দৃঢ়তা আমাকে দারুণ মুগ্ধ করে।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?
জারা : হ্যাঁ, আমি খেলাধুলা করি। আমার ব্যাডমিন্টন ও লুডু খেলতে ভালো লাগে।
শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?
জারা : আমি গান শুনি, ছবি এঁকে ও গল্পের বই পড়ে অবসর সময় কাটাই।
শিশুকণ্ঠ : তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?
জারা : আমি ছবি তুলতে ভালোবাসি। মানুষ, পশুপাখি ও প্রকৃতিকে ক্যামেরাবন্দী করতে ভালো লাগে। বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রীদের মতো সুনিপুণভাবে ফ্রেমে বন্দী করতে চাই জীবনকে। তাই ফটোগ্রাফির প্রতি আমার এই অনুরাগকে নিজের ক্যারিয়ারে রূপান্তরের স্বপ্ন দেখি।
শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?
জারা : গল্প ও কবিতা পড়তে আমার বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে কবিতা ও কিশোর উপন্যাস পড়তে আমি বেশি আগ্রহবোধ করি।
শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?
জারা : ছুটির দিনে খুব বেশি ঘুরতে যাওয়া হয় না। তবে কখনো কখনো নানুর বাড়িতে বেড়াতে যাই।
উল্লেখ্য, মোহসীন খান ও সাবিনা ইয়াসমিন দম্পতির একমাত্র সন্তান মোহসীনা খানম জারা। মোহসীন খান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁরা চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।