প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০
আমি চলে যাচ্ছি ভেবে তোমার মধ্যে কি সত্যিই হাহাকার হয়েছিল, না কি ক্ষণিকসময়ের জন্য ভয় পেয়েছিলে শুধুই, ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। আজকের আগে কখনও এমন রাত জেগে দীর্ঘসময় আমরা একে অপরের সাথে কথা বলিনি। এতটা সময় ধরে তুমি কী বোঝাতে চেয়েছ, তা এখনও আমার কাছে অস্পষ্ট, কেননা তুমি একটি প্রসঙ্গ শুরু করে তার সাথে অনেকগুলি প্রসঙ্গ জড়িয়ে কথা বলছিলে। মূলপ্রসঙ্গ কী ছিল, তা আর বলা হয়নি তোমার। তাই আমিও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি, কোন কথাটি আমার জন্য ছিল, কিংবা আদৌ কোনও প্রসঙ্গ আমার জন্য ছিল কি না।
তুমি নিজের মতো করে বলে যাচ্ছিলে, আমি চুপ থেকে শুনে যাচ্ছিলাম। তুমি যা-ই বলো না কেন, তোমাকে শুনতে আমার সব সময়ই ভালো লাগে, এর কারণ শুধু একটাই--আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি তোমাকে শোনার মাঝে একটু একটু করে, তোমাকে জানার, বোঝার চেষ্টা করি। আমার এই চেষ্টাটা তোমার ছায়া হয়ে তোমার আশেপাশে দীর্ঘদিন থেকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমি মন থেকে চাই, তোমার প্রতিটি বিষয়ই কম-বেশি আমার জানা থাকুক। মানুষের কোন আচরণ থেকে তুমি কষ্ট পাও, কোন আচরণ থেকে তুমি আনন্দ পাও, কোন কোন আচরণের কারণে তুমি বিরক্ত হও, কেমন আচরণে তোমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়---এই সমস্ত কিছুই আমি বুঝতে চাই। বুঝতে চাই এইজন্য যে, তুমি তোমার জীবনে যেরকম ভালোবাসার মানুষ চাও, আমি যেন কিছুটা হলেও সেরকম হয়ে উঠতে পারি। জানি, এটা সম্ভব নয়, এটি সহজ নয় এবং সম্ভবত, আমি এটা পারবও না। তবে আমি চাই, তোমাকে বুঝতে চাওয়ার চেষ্টাটুকু অটুট থাকুক আমার মধ্যে। ইতোমধ্যে তুমি অনেক কথা বলেছ, যা যা তোমার বলতে মন চেয়েছে।
আমি যখন বলতে শুরু করছি তখন নেটওয়ার্ক নয়তো অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছ। আমি নিজের মতো করে বলেই যাচ্ছিলাম আর বলেই যাচ্ছিলাম, কিন্তু মোবাইলের অপরপ্রান্তে তুমি ছিলে না। কিছু সময় পর বুঝলাম, তুমি অফলাইনে অনেক আগেই চলে গেছ ! হ্যাঁ, তুমি এসএমএস ব্যাক করেছিলে, আমি খেয়াল করিনি। নেটওয়ার্কের সমস্যা , তখন আর কথা বলার স্বাদ থাকে না। এটা আমি বুঝতে পেরেছি। আমি যা বলেছি, তুমি তার একটি এসএমএস মন দিয়ে পড় নাই, এটা মনে করে খুব কষ্টে একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস জমল বুকে! তোমার ব্যস্ততার জন্য কোনও দিনই আমাকে তোমার ঠিক করে শোনা হবে না, এই ব্যাপারটা আমি নিজেকে ঠিকঠাক মতোই বুঝিয়ে দিয়ে রেখেছি। তুমি হয়তো ঘুমিয়েই পড়েছ এতক্ষণে! আমি তোমাকে লিখতে বসেছি, না লিখলে বলতে-না-পারা কান্নাগুলি অভিযোগ হয়ে বুকে জমে থাকবে, এত এত অভিযোগ বুকে রেখে মানুষকে ভালোবাসা সম্ভব হয় না।
ডায়েরিতে যে নামে তোমাকে লিখি, সে নামের পাশে এই কথাগুলি লিখে রেখেছি---‘সে আমার সময় অপচয়কারী ভালোবাসার মানুষ!’ তুমি জানো না, তোমাকে আমি আমার জীবনের বৃত্ত - পরিধি - পরিজন - পরিবারৃসবকিছু ভেবে বসে আছি। বাইরের পুরো পৃথিবী বাদ দিয়ে তোমার চারদেয়ালের মধ্যে নিজেকে ভীষণ ব্যস্ত করে রাখি রাতদিন। এখন আমার খাওয়া-দাওয়া-ঘুম সংক্রান্ত সমস্ত অনিয়মের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছ শুধুই তুমি! তোমাকে ভালোবাসার আগে আমি নিজেকে পেয়েছি একজন নিষ্ঠাবান কর্মমুখর মানুষ হিসেবে, যার কাছে সময়ের চেয়ে, কাজের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কোনও কিছুই ছিল না। আর তোমাকে ভালোবেসে ফেলার পর, তোমাকে নিজের জীবনে এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে রেখেছি যে, নিজেই নিজের কাছে দিন দিন গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছি, আর তার সাথে আমার কাজগুলিও! সত্যি কথা বলি, মাঝে মাঝে তোমার উপর প্রচণ্ড রাগ হয়।
আমার নিজের চেয়ে আমার নিজের কাছে একজন অন্য মানুষ কেন বেশি প্রাধান্য পাবে? এটা কী করে সম্ভব! এটা হওয়া তো উচিতই নয়! তুমিই তো বলো, মানুষ দিনশেষে নিজের জন্যই বাঁচে। আমারও তো নিজের জন্য বাঁচা উচিত, তাই না? কী আশ্চর্য! একজন মানুষ ভালোবাসার নামে আর একজন মানুষের সমস্ত কিছুতেই কেন থেকে যাবে সারাক্ষণই! এটা ঠিক বুঝতে পারছি না, আর বুঝতে পারছি না বলেই আমি বুঝতে পারছি না নিজেকেও! জানো, আমি শুনতে চেয়েছিলাম,ৃশুনতে চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে বলবে---আমি তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসোতে শুরু করেছি, আমি কখনও রেগে গিয়ে ভুল করে ভুলভাবে ভুল-আচরণ করে ফেললেও তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যেয়ো না। তোমার রাগ কমে গেলে, অভিমান কেটে গেলে পৃথিবী ভুলে গিয়ে আমাকে আবার নতুন করে ভালোবেসো, কেমন? আমি সত্যিই তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি! অথচ তুমি আমার প্রত্যাশার একটি কথাও বলোনি!
হয়তো ভালোবেসে কারও সাথে দীর্ঘসময় টিকে থাকার কণামাত্রও দায় তোমার নেই, যে তোমাকে ভালোবাসবে, দায়টা হয়তো শুধুই তার। তোমার জীবনে কেউ এল, তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসল, একসমুদ্র অভিমান বুকে ভরে নীরবে চলে গেল। এসব বুঝতে পারার পর একটু আফসোস বা সামান্য বিরহবোধ হৃদয়ে ধারণ করে তুমি লিখেই ফেললে একটি কবিতা! ব্যস্! সব শেষ! এরপর চলে-যাওয়া মানুষটাকে তোমার কখনও মনে করার সময়ই হবে না, তুমি চলে যাবে তোমার পরবর্তী কবিতায় বা নতুন বই পড়তে। সে বইতে বা কবিতা লিখবে তীব্র প্রেম থাকবে, গভীর ভালোবাসা থাকবে, বিরহে সমস্ত আকাশের কান্না অঝোরে ঝরবে, সাথে থাকবে কবির সহনশীলতার সমস্ত দিকই! কিন্তু বাস্তবে সে মানুষটির খবর নেওয়ার সময়ই হয়তো তোমার কখনও থাকবে না।
বইপ্রেমী কবি লেখকদের ভালোবাসা এটুকুই। জানোই তো, যুগ যুগ ধরে কবি লেখকদের জন্ম হয়ই অন্যের অনুভূতি আর ভালোবাসাকে নিজের লেখার খোরাক বানানোর জন্য! ওরা একটা প্রেমের কবিতা লেখার জন্য যে-কোনও প্রেমে পড়ে যেতে পারে নির্দ্বিধায়! একটা বিরহের কবিতা লেখার জন্য দুঃখহীন হয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করে দূরে কোথাও পালিয়ে পর্যন্ত যেতে পারে! ওরা সমস্ত কিছুকে সৃষ্টি বানিয়ে চালিয়ে দিতে চায়---ওদের সমস্ত নিষ্ঠুরতা আড়ালে গিয়ে, একটা সময়, এসব সৃষ্টিই আবার ওদের হয়ে কথা বলে। তুমি আসলে এমন একটা চক্রে নিজের জীবনকে শক্ত করে বেঁধে নিয়েছ। আমি মাঝে মাঝে বুঝি, আমি তোমার জীবনে সাধারণ দশটা ছেলের মতোই। আমি জানি, আমি তোমার যাপিত জীবনের অনুষঙ্গ হব না কখনওই, কোনও একদিন তোমার কোনও লেখার নূন্যতম প্রসঙ্গ হতে পারি বড়োজোর বা তোমার পছন্দের বইয়ের চরিত্রের সাথে মিলে যেতে পারি ---অল্প কিছু সময়ের জন্য!
জানো, তুমি আমাকে ভালোবাসো কি না, এটা ঠিক বিবেচনার বিষয় হিসেবে আমি নিজের কাছে রাখি না। কারন আমি নিজেকে আড়ালে আবডালে থাকা. তোমার অন্য ফ্রেন্ড দের মতোই, তোমার জীবনে আলাদা কিছু ভাবছি না। ভাবতে শুরু করলে তোমার অসংখ্য আচরণের বিরুদ্ধে আমি দাঁড়িয়ে পড়ব---উপযুক্ত কারণ খোঁজার জন্য। তখন আবার সহস্র শব্দ লিখে লিখে তোমাকে বিক্ষত-রক্তাক্ত করব, যা তোমার কোনওভাবেই পছন্দ হবে না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি মনে মনে, যতদিন তোমার সমস্ত কিছু জেনে বুঝে তোমাকে ভালোবাসতে পারব, ততদিন থেকে যাব তোমার কাছে।
কোনও সময় সহ্যক্ষমতা হারিয়ে ফেললে খুব নীরবে চলে যাব দূরে কোথাও কিন্তু সম্ভব হয় না। জানি, যতটুকুই ছেড়ে যাই না কেন তোমাকে, মানসিকভাবে এর চেয়েও অনেক বেশি কাছে থেকে যাবে তুমি আমার। যারা বইপ্রেমী নয়, যারা লেখক নয়, যাদের কাগজ কলম ভালোবাসাকে নির্মাণ এবং পুনর্নির্মাণ করে না, যারা ভেবে ভেবে লিখে যেতে পারে না তাদের প্রেমানুভূতি, তারা নিরুপায় হয়ে ভালোবাসাটুকু বুকে ধারণ করতে বাধ্য থাকে যুগের পর যুগ। তুমি আমাকে ভালোবাসো, না-ইবা বাসো, তোমাকে ভালোবেসে আমার অনেক কথা তোমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। আমার স্বপ্নরা ভিড় করে আছে তোমার সমুদ্রে। সেই সমুদ্রের তীরে বসে স্বপ্নকে সঙ্গী করে স্নিগ্ধ - শান্ত - নির্জন রাত্রির ভাঁজ খুলে খুলে রোজ তোমাকে ভালোবাসি আমি।
তোমাকে ভালোবাসার জন্য আমার তোমাকে লাগে না, এ কথা বলেছি আগেও। কারণ আমি এখন তোমার বুকের ভেতর দিয়ে হাঁটতে শিখেছি। আমি বুঝি, কখনও কখনও, আমার কষ্ট তোমাকে কিছুটা হলেও স্পর্শ করে। আমি তখন তোমার দু হাঁটুর মাঝখানে মাথা রেখে অনির্দিষ্টকালের নিশ্চয়তায় অশ্রুচিহ্নহীন চোখ নিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারি। আমি তো জানি, তুমি আমাকে কখনও কখনও দিয়েছ পুরো একটা রাত, আবার কখনওবা দিয়েছ পুরো একটা সন্ধ্যা কিংবা বিকেল,---আমার সামনে উপস্থিত না থেকেও। তোমার একবার চোখের চাহনিতে, একবার আন্তরিক স্পর্শে আমি কোটি কোটি বছর বেঁচে নেই। এই যে একবার কাছে এসেছ, দূরে কোথাও আবার চলে যেয়ো না। জানি, সময়ের সাথে সাথে অনেক রঙিন মুখে, বিচিত্র সম্পর্কে বিলীন হবে তুমি! এটাই নিয়ম। বই প্রেমিদের ভিন্ন ভিন্ন মুগ্ধতায় টান থাকে অনেক বেশি। ওরা প্রায়ই নতুন কিছুর কাছেই ছুটে---নতুন কিছু সৃষ্টির উদ্দেশ্যে। নতুন মুখ, নতুন মন, ওদেরকে কাছে টেনে নিতে পারে, পুরনো প্রেম ততটা কাছে ওদেরকে ধরে রাখতে পারে না।
এ এক কঠিন বাস্তবতা! আমি তোমাকে প্রায়ই বলি, তোমার জীবনে হাজারটা পুরুষ আসবে বিয়ে হবে তোমার আনন্দই আনন্দ। স্বীকার করে নিচ্ছি, তোমার সাথে বলা যত কথা, তার মধ্যে এটাই ছিল একমাত্র মিথ্যাকথা এবং জঘন্য মিথ্যাকথা! আমার ভালোবাসার মানুষটি আমাকে যেভাবে স্পর্শ করে, সেই একই মায়ায়, সেই ভালোবাসায় অন্য কোনও পুরুষকে স্পর্শ করবে, এটা এ জন্মে, সে জন্মে, কোনও জন্মেই মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বেঁচে থাকতে কোনও দিন যদি তোমাকে ছেড়ে যাই, এটার একমাত্র কারণ হতে পারে কোনও পুরুষ। এটি ছাড়া পৃথিবীতে আর একটিও কারণ থাকবে না তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার, থাকলেও সেটাকে আমি প্রশ্রয় দেবো না কোনও ভাবেই। মনে রেখো, যতবার তোমার থেকে চুপ থাকি এসএমএস দিয়ে বিরক্ত করি না , ততবারই তোমার কাছে আবার ফিরে আসার একটি অধীর অপেক্ষা সব সময়ই থাকে আমার। বলে রাখছি, কখনও বিচ্ছেদের ঢেউ এলেও আন্তরিকতার বাঁধটুকু ভেঙে যেতে দিয়ো না। যতবারই বিচ্ছেদের কবলে পড়ে আমি ছুটে যাব, ততবারই তুমি সস্নেহে - যত্নে বুকে টেনে নিয়ো।
তুমি আমার আকাশ - মাটি, দুইটারই গন্তব্য। নিঃসঙ্গতার শতাব্দীপ্রাচীন মজলিসে মত্ত রাত, মাটিতে ফুটেথাকা সবুজ গালিচা, প্রমত্ত ভিড়ের বাইরে থেকে-যাওয়া তুমি একান্তই আমার। গহীনপাহাড়ে জ্যোৎস্নাশোভিত আলোর মতো করে আমি তোমাকে দেখি। অশ্বত্থগাছের ছায়ার আদলেই তোমাকে দেখি। তুমি আমার বুকভরা এক একটি নিঃশ্বাস। তোমাকে ভালোবাসতে গিয়ে যে ব্যথাটুকু আমি পাই, সেটাকেও আমি সুখ হিসেবেই বুঝি। আমি সব শুনে, সব বুঝে গভীর প্রেমে তোমার শরীরে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে থাকি বুনোলতার মতো। যুগ যুগ ধরে বোকা ছেলেদের প্রেম এরকমই হয়, তুমি নিশ্চিতভাবে জেনে রেখো। তোমরা সুন্দরের পূজারি জন্মলগ্ন থেকেই। তোমরা যে-কোনও কিছুতেই মুগ্ধ হও মাত্র সেকেন্ড সময়েই! তোমাদের একটা হৃষ্টপুষ্ট টাকাওলা শরীর হলেই চলে, ভালোবাসাটা ঠিক লাগে না।
তোমার ক্ষেত্রে এমন নাও হতে পারি কারণ তুমি বইপ্রেমি বই পড়া ছেলে হলেই তোমার চলবে। আমাদের দেশে শতকরা আশিভাগ পুরুষের উপযুক্ত কোনও কাজ থাকে না। কাউকে ভালোবাসলে অন্ধবিশ্বাস নিয়ে তার পেছনে আঠার মতো লেগে থাকে! আজ আমি নিজেকে ওদেরই একজন মনে করছি! ভালোবাসি তোমাকে---শতশত বিস্ময় নিয়ে, শূন্য ফুঁড়ে বেড়ে-ওঠা চারাটির মতো, বুকের মধ্যে থাকা গোপন কোনও সুখের মতো।
তোমার রোজকার সৃষ্টির জ্যোতিগুলি জমে থাকে আমার মগজে, স্নায়ুতে। স্বপ্নে, সৌন্দর্যে নতুন পুরনো সব রূপেই, তোমাকে আমি নিজের মাঝে ধারণ করে রাখি---সূর্যোদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত! নিশিবিলের মতোই বুক চিরে ভালোবাসি তোমাকে। আমি তো জানি, কোনও-না-কোনও একদিন, পালানোর কানামাছিটা ঠিকই হবে তুমি, তুমি ফুরিয়ে যাবে নিজ প্রয়োজনেই, তোমার আবেগের সমস্ত হিসেব শেষ করে। তাই আমিও বলে রাখছি---এখন তোমাকে পাওয়ার জন্য, নিজের কাছে আটকে রাখার জন্য ভালো আমি তোমাকে বাসি না। তোমাকে আমি ভালোবাসি নিজের কান্নার সাথে কিছু গল্প করার জন্য।