প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
কোথায় হারিয়ে গেলো মধুমাখা শৈশব মোর।
মায়ের ক্রোড়ে থাকার জন্য ছিল তোড়জোড় ॥ (১)
কিচিরমিচিরে ঘুম- ভাঙ্গা অতি প্রত্যুষে।
বাবা শেখাতেন যত সব নীতিবাক্য নির্বিশেষে ॥ (২)
কদলীপত্রে কঞ্চি দ্বারা বর্ণ পরিচয় মাতৃসকাশে।
কৈশোরের দুরন্তপনায় মত্ত হতাম প্রাতঃরাশ শেষে ॥ (৩)
কৈশোরের গেলো প্রাথমিকে, যৌবন এলো মাধ্যমিকে।
এ যেনো ত্বরায় কেটে গেলো গভীর জ্ঞান তাপসের সান্নিধ্যে ॥ (৪)
জ্ঞানতাপসদের ছিলো না বিতরণে কোনো অবহেলা।
শিক্ষার্থীরা যতোটুকু করেছে রপ্ত ততটুকুই জীবন মেলা ॥ (৫)
কোথায় হারিয়ে গেলো সে যুগের শিক্ষক-কুল।
জ্ঞান বিতরণে তাঁরা ছিলেন সর্বদাই ব্যাকুল ॥ (৬)
সে যুগের শিক্ষকের ছিলো পাণ্ডিত্যের গভীরতা।
এ যুগের শিক্ষকদের মধ্যে আছে পাণ্ডিত্যের স্বল্পতা ॥ (৭)
সে যুগের শিক্ষকগণ জ্ঞানদান করে পেতেন অনাবিল আনন্দ।
এ যুগের বিদ্যা অর্জন করতে বিনিময়ই পছন্দ ॥ (৮)
কোথায় হারিয়ে গেলো জাতির মেরুদণ্ড প্রস্তুতকারী শিক্ষক ।
শিক্ষক নামীয় অশিক্ষকগুলো প্রকৃত শিক্ষার ভক্ষক ॥ (৯)
নিয়োগদূষণে দুষ্ট শিক্ষালয়গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।
প্রতিশোধে উদ্গ্রীব তারা জাতির ক্ষতিতেই তাদের আনন্দ ॥ (১০)
হায় রে দারুণ বিধি, সোনার বাংলার এ কী দুর্গতি।
বেষ্টনীতে ফসল খাচ্ছে তাতে নেই কোনো উচিত বিধি ॥ (১১)
দেশের নদীতে স্রোত হারিয়ে পড়ে গেলো চর।
স্বনির্ভর বাংলা শিক্ষায় হয়ে গেলো পরনির্ভর ॥ (১২)
শিক্ষায় কাঠামোগত উন্নয়ন অনেক হয়ে গেছে।
সোদ্যগে সাহিত্য রচনা ও খরচের ভয়ে কমেছে ॥ (১৩)
উন্নয়নশীল বাংলার শুধু প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠ শিক্ষার।
আদর্শ শিক্ষক গঠন আর বাণিজ্যিক শিক্ষাবন্ধের নিয়ামকই সরকার ॥ (১৪)
সুশিক্ষিত সংস্কৃতিবানরাই দেশ উন্নয়নের রোল মডেল।
অপসংস্কৃতিতে কুশিক্ষিতরাই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেক্কেল ॥ (১৫)
বিমল কান্তি দাশ : কবি ও প্রবন্ধকার; অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক, বলাখাল যোগেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজ, বলাখাল, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।