প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
নুসরাত জাহান। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর স্বপ্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করা। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?
নুসরাত : আলহামদুলিল্লাহ্! ভালো আছি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
নুসরাত : আমি ৯ম শ্রেণিতে পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
নুসরাত : স্কুলের সব স্যারদেরই আমি ভালোবাসি। তবে বিশেষভাবে মাইনুল ইসলাম টিপু স্যারের কথা বলতে চাই। তিনি আমাদের ‘আইসিটি’ বিষয় পড়ান। আধুনিক প্রযুক্তির খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে তিনি আমাদেরকে সম্যক ধারণা দেন। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বা রোপ করেন যা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে খুব কাজে লাগে। আর কম্পিউটার ল্যাবে আমাদেরকে কম্পিউটারের ব্যবহারিক কাজ শিখিয়ে দেন।
শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
নুসরাত : ক্লাসের সব সহপাঠীকেই আমি পছন্দ করি। তবে রহিমাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। সে খুব সরলমনা, বিনয়ী ও আত্মবিশ্বাসী । আমার একাডেমিক কোনো বিষয়ে বুঝতে সমস্যা হলে সে যেটা বুঝে আমাকে সেটা খুব সহজভাবে বুঝিয়ে দেয়।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?
নুসরাত : হ্যাঁ, আমি খেলাধুলা করি। ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন আমার প্রিয় খেলা।
শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?
নুসরাত : অবসর সময়ে আমি গান শুনি, গল্পের বই পড়ি ও আম্মুকে রান্নার কাজে সাহায্য করি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?
নুসরাত : আমার পরিবারে কোনো চিকিৎসক নেই। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে কেউ যখন অসুস্থ হয়, আমার তখন খুব অসহায় বোধ হয়। তাছাড়া সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রায়শই হয়রানির কথা শুনতে পাই। তাই আমি বড় হয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে আমার পরিবারসহ সাধারণ মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখি।
শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?
নুসরাত : গল্প ও কবিতা পড়তে আমি সবসময়ই আগ্রহবোধ করি। বিশেষ করে কবিতা ও ছোটো গল্প পড়তে আমার বেশি ভালো লাগে।
শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?
নুসরাত : হ্যাঁ, ঘোরাঘুরির প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। আমি সময় পেলেই ঢাকায় ও নানুর বাড়িতে বেড়াতে যাই।
উল্লেখ্য, নবীর হোসেন ও লিপি বেগম দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান নুসরাত জাহান। নবীর হোসেন একজন চাকুরীজীবী। তাঁরা চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বুধুন্ডা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।