প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
মিঞা মোঃ সাআদ। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। তাঁর স্বপ্ন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন গবেষণাধর্মী কাজ করা। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?
সাআদ : আলহামদুলিল্লাহ্! ভালো আছি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
সাআদ : আমি ১০ম শ্রেণিতে পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
সাআদ : স্কুলের সব শিক্ষকই আমার প্রিয়। তবে বিশেষভাবে কারো নাম উল্লেখ করতে হলে মাইমুনা ম্যাডামের কথা বলতে হয়। তিনি আমাদের বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ পড়ান। তিনি কবিতা ও প্রবন্ধের নিগূঢ় রস আস্বাদনে আমাদের দারুণ আলোড়িত করেন। তাছাড়া তাঁর মাতৃস্নেহে পাঠদান আমাদের সবসময়ই মুগ্ধ করে।
শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
সাআদ : ক্লাসের সব সহপাঠীর সাথেই আমার হৃদ্যতা ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সব বন্ধুদেরই আমি ভালোবাসি। তবে ইমনের সাথে আমার বন্ধুত্ব অত্যন্ত গাঢ়। সে আন্তরিক, পরোপকারী ও উদার মনের অধিকারী। আমার দুঃসময়ে তাঁর প্রতিটি কথা আমার জন্য মোটিভেশন হিসেবে কাজ করে। বিশেষত তাঁর পরমতসহিষ্ণুতা দ্বারা আমি খুব প্রভাবিত।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?
সাআদ : হ্যাঁ, আমি খেলাধুলা করি। ফুটবল আমার প্রিয় খেলা। তবে আমি ব্যাডমিন্টন খেলায়ও খুব পারদর্শী।
শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?
সাআদ : আমি অবসর সময়ে সাইক্লিং করি। আর আম্মুর অনুমতি পেলে মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?
সাআদ : আমি প্রত্যক্ষ করেছি যে, আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নয়ন ঘটলেও এই ক্ষেত্রে গবেষণার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ে অনেক মেধাবী চিকিৎসক ‘ব্রেইন ড্রেইন’-এর কারণে দেশত্যাগ করছেন। ফলে, পড়াশুনা শেষে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে আমি দেশের জনস্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নয়নে গবেষণাধর্মী কাজ করার স্বপ্ন দেখি।
শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?
সাআদ : আমার সাহিত্যের প্রায় সব শাখার প্রতিই অনুরাগ রয়েছে। তবে বিশেষত ইতিহাস নির্ভর লেখাপড়তে আমি সবচেয়ে বেশি আগ্রহবোধ করি।
শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?
সাআদ : হ্যাঁ, আমি ছুটির দিনে ঢাকায় নানুর বাসায় বেড়াতে যাই।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন মিঞা ও হালেমা খাতুন দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান মিঞা মোঃ সাআদ। মামুন মিঞা একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও হালেমা খাতুন একজন শিক্ষক। তাঁরা চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার সারপাড় গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।