প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
সিয়ারা আক্তার। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। তার স্বপ্ন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করা। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?
সিয়ারা : আলহামদুলিল্লাহ্! বেশ ভালো আছি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
সিয়ারা : আমি ৮ম শ্রেণিতে পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
সিয়ারা : স্কুলের সব স্যারদেরই আমি ভালোবাসি। তবে বিশেষভাবে রুবেল স্যারের ব্যাপারে উল্লেখ্য করতে চাই। তিনি আমাদের ‘বিজ্ঞান’ পড়ান। বিজ্ঞানের জটিল সব বিষয়গুলোকে তিনি আমাদের সামনে অত্যন্ত সহজ ভাষায় ও বাস্তবতার নিরিখে উপস্থাপন করেন। বিশেষ করে স্যারের সততা, একনিষ্ঠতা ও নৈতিক গুণাবলী আমাদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে।
শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
সিয়ারা : ক্লাসের সব সহপাঠীই আমার পরিবারের সদস্যদের মতো। সব বন্ধুকেই আমি খুব ভালোবাসি। তবে জান্নাতের সাথে আমি সবচেয়ে বেশি সময় কাটাই। সে আমার মন খারাপের সঙ্গী। তাঁর ধৈর্যশক্তি, শান্তশিষ্ট মেজাজ ও অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয়ার অগাধ সহিষ্ণুতা আমাকে দারুণ প্রভাবিত করে।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?
সিয়ারা : হ্যাঁ, আমি খেলাধুলা করি। ব্যাডমিন্টন ও দড়িলাফ আমার প্রিয় খেলা।
শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?
সিয়ারা : আমি অবসর সময়ে আপু ও চাচাতো বোনদের সাথে গল্প করি, রান্না করি ও আম্মুর কাজে সাহায্য করি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?
সিয়ারা : আমি নিয়মিত চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠ করে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ, বিড়ম্বনা ও হয়রানির কথা জানতে পারি যা আমাকে অত্যন্ত ব্যথিত করে। তাই আমি পড়াশুনা শেষে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার স্বপ্ন দেখি।
শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?
সিয়ারা : গল্প ও কবিতা পড়তে আমার অবশ্যই ভালো লাগে। তবে বিশেষ করে ছোটোগল্প পড়তে আমি বেশি উৎসাহ বোধ করি।
শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?
সিয়ারা : হ্যাঁ, আমি ছুটির দিনে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাই।
উল্লেখ্য, আজাদ প্রধান মাসুদ ও ডলি বেগম দম্পতির মেজো সন্তান সিয়ারা আক্তার। আজাদ প্রধান একজন ব্যবসায়ী। তাঁরা চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার আধারা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।