প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
উম্মে হাবিবা রায়না। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর পপুলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। সে বড় হয়ে একজন আদর্শ চিকিৎসক হতে চায়। শিশুকণ্ঠ বিভাগে দেয়া তার সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
শিশুকণ্ঠ : কেমন আছো?
রায়না : আলহামদুলিল্লাহ্! ভালো আছি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?
রায়না : আমি ৮ম শ্রেণিতে পড়ি।
শিশুকণ্ঠ : তোমার প্রিয় শিক্ষক কে? তাঁর সম্পর্কে কিছু বলো।
রায়না : স্কুলের সকল শিক্ষকই আমার পছন্দের। তবে বিশেষভাবে রুবেল স্যারের কথা বলতে চাই। তিনি আমাদের বিজ্ঞানের শিক্ষক। বিজ্ঞানের যে কোনো কঠিন বিষয়কে তিনি এক তুড়িতে বুঝিয়ে দেন।
শিশুকণ্ঠ : স্কুলে তোমার প্রিয় বন্ধু কে? তার সম্পর্কে কিছু বলো।
রায়না : ক্লাসের সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু। তবে রিয়া পোদ্দার আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ওর সরলতা, ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান, সহযোগিতাপূর্ণ ও সহানুভূতিশীল মনোভাব আমাকে মুগ্ধ করে।
শিশুকণ্ঠ : তুমি কি খেলাধুলা করো?
রায়না : হ্যাঁ, আমি খেলাধুলা করি। ব্যাডমিন্টন ও কানামাছি আমার প্রিয় খেলা।
শিশুকণ্ঠ : অবসর সময়ে আর কী করো?
রায়না : আমি অবসর সময়ে টিভি দেখি ও রান্নার কাজে নানুকে সাহায্য করি।
শিশুকণ্ঠ : তুমি বড় হয়ে কী হতে চাও?
রায়না : অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পারা মানুষদের কষ্ট আমাকে ব্যথিত করে। আমি মনে করি যে, প্রকৃত নারী ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে মেয়েদের চিকিৎসক হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তাই আমি বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখি।
শিশুকণ্ঠ : গল্প ও কবিতা পড়তে তোমার কেমন লাগে?
রায়না : গল্প ও কবিতা পড়তে আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে কবিতা আবৃত্তি করতে আমি দারুণ আগ্রহবোধ করি।
শিশুকণ্ঠ : ছুটির দিনে কি কোথাও ঘুরতে যাও?
রায়না : আমি ছুটির দিনে কদাচিৎ ঘুরতে বের হই। তবে মাঝে মাঝে ঢাকায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাই।
উল্লেখ্য, উম্মে হাবিবা রায়না, মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তার পিতা রাজু হোসেন প্রবাসী। মাতা মৃত শামীমা আলম শান্তা।