প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২২, ০০:০০
বন্যা!
জানি তুমি ধরনীর এক জেদী কন্যা।
তুমি খুব ভয়ঙ্করী, তা আছে মোর জানা,
কেন বারবার দাও গরিবের ঘরে হানা?
কেন কেড়ে নেও গরিবের শেষ সম্বল?
কী লাভ বলো? পাও কীসের ফল?
কেন করো হাজার নিষ্পাপ শিশুকে বাস্তুচুত্য?
কেন আজ তোমার জন্য শ্রমজীবী মানুষ হতাহত?
কেন আজ তোমার জন্য হাজার মানুষ মরে?
কেন লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করে নিরূপায়ে?
বলো,
কী আনন্দ পাও, এ অসহায় মানুষদের
অন্ন, সম্বল, বাসস্থান কেড়ে?
কী আনন্দ পাও,
এক নিরূপায় জননীকে কাঁদিয়ে?
ক্রোধ যদি থাকে আজ এ মানবের প্রতি,
মানুষরূপী অমানুষদের সৃজন করো এ নিষ্ঠুর নিয়তি৷
ক্রোধ দেখাও, তাদের প্রতি,
যাদের চোখ শুধু অর্থের দিকে,
যারা ধ্বংস করছে আজ এ মহীকে৷
যারা আজ মানুষ ঠকায়,
মানুষের অন্ন কেড়ে খায়৷
হায় বন্যা! তারা কীভাবে তোমার
অগ্নিথাবা হতে রক্ষা পায়?
যারা আজ স্বার্থের জন্য
মনুষ্যত্বকে দিয়েছে বিসর্জন,
তাদের শাস্তি দেবার সময়
কোথায় থাকে তোমার মন?
পারো তো শুধু,
নিরন্ন দুঃস্থ মানুষের কুঁড়েঘর ভাসিয়ে নিতে,
কই! পারলা না তো,
স্বার্থানেষীদের অট্টালিকার একটা ইট সরাতে৷
যদি পারো, তাহলে ধ্বংস করো
সেই মনুষ্যত্ব-বিবর্জিত মানুষের স্বার্থ,
ভাসিয়ে নিয়ে যাও তাদের অট্টালিকা
আর মানুষ ঠকানো অর্থ।
তোমার উত্তাল তরঙ্গের শক্তিতে
করাও তাদের স্নান,
মুছে দাও সেই পাপীষ্ঠ মন
যা তাদের মধ্যে বিরাজমান।
পরিশেষে তোমার নিকট এক মিনতি।
শ্রমজীবী, গরিব আর সৎ মানুষের
দিও না আর কোনো কষ্ট,
মুছে দাও সেই নিষ্ঠুর স্বার্থকে
এটাই আমার কবিতার পরিশিষ্ট।