প্রকাশ : ২৭ মে ২০২২, ০০:০০
ছোট্ট বন্ধু, তুমি পড়তে বসলে মা তোমার পাশে গ্লাসভরা দুধ নিয়ে বসে থাকে, স্কুলে যাবার সময় বইপত্র গুছিয়ে দেয়, টিফিন বাটিতে ভরে দেয় মজার মজার খাবার। মাঝে মাঝে তোমাকে স্কুল পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসে। তবু তুমি পড়াশোনা করতে চাও না। আর এদিকে নজরুল দারিদ্র্যতার জন্যে পড়াশোনার খরচ যোগাতে রুটির দোকানে কাজ করতেন, রেলওয়ে গার্ডের স্টাফদের সাথে ফুট-ফরমায়েশ করতেন। কোন্ নজরুল জানো তো? বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এ সময় পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর কাজী রফিজ উল্লাহর সাথে তার পরিচয় হয়। রফিজ উল্লাহ তার পড়াশোনার খরচ বহনের দায়িত্ব নেয়।
স্কুলে নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাট্যাভিনয়, কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন হতো। নজরুল একবার প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনী ও রবীন্দ্রনাথের ‘পুরাতন ভৃত্য’ কবিতা আবৃত্তি করে প্রশংসিত হয়েছিলেন।
ক্লাসে তোমার রোল নাম্বার কত? নজরুল কিন্তু দুর্দান্ত মেধাবী ছিলেন। জানা যায়, প্রতি বছর বার্ষিক পরীক্ষায় তিনি প্রথম বা দ্বিতীয় হতেন। ঘটনাটি অষ্টম শেণীতে পড়ার সময়ের। বাংলা ক্লাস। ক্লাসে নজরুল শিক্ষককে বললেন, স্যার, আপনি শুনুন। আমি পড়াচ্ছি। দেখুন তো ঠিক মতো পড়াতে পারি কি না! নজরুল বাংলা পড়ালেন। প্রবীণ শিক্ষক মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে লাগলেন। তার চমৎকার পড়ানোর কায়দা দেখে শিক্ষক অভিভূত। এমন যদি হয়, তুমি হয়ে গেলে তোমার স্কুলে সহপাঠীদের শিক্ষক, কেমন লাগবে?