প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
১। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। ফলে আপনি অন্যদের বেশি সময় পাবেন পড়াশোনার জন্যে।
২। প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখুন। এটি আপনাকে অন্যদের চেয়ে দিন দিন এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে এক্সট্রা কিছু বই পড়তে পারেন, আমি বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় মাসিক কিছু বই কিনতাম, যেমন : বিজ্ঞান জগত, কিআ-কিশোর আলো, অন্যদিন, মনোজগত ইত্যাদি।
৩। আগামীকাল কী পড়বেন তা আগের দিন প্ল্যান করে আলাদা খাতায় লিখে রাখুন এবং পরের দিন সেই প্ল্যান অনুযায়ী পড়ুন। ভাগ ভাগ করে পড়লে পড়তে ভালো লাগবে। (খাতার নাম দিতে পারেন ‘স্টাডি প্ল্যান খাতা’)।
আগামীকাল স্কুল/কলেজে কি কি ক্লাস/স্টাডি আছে, ওই অনুযায়ী ব্যাগ আজকেই গুছিয়ে নিন। তাহলে পরের দিন তাড়াহুড়ো করতে হবে না, ভুল হওয়ার চান্স কম থাকবে!
৪। প্রতি সপ্তাহ ও মাসে কোন্ কোন্ সাবজেক্ট বা বই শেষ করবেন তা প্ল্যান করে খাতায় লিখে রাখুন। এতে করে দ্রুত কোনো বই বা সাবজেক্ট শেষ করতে পারবেন।
৫। কঠিন বিষয়গুলো প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়ুন এবং লিখে লিখে হালকা শব্দ করে পড়ার চেষ্টা করুন। এতে করে কঠিন বিষয়গুলো খুব ভালো করে শেখা হবে এবং বেশি দিন মনে থাকবে। শব্দ করে পড়লে ব্রেইন মনে রাখে বেশি (বিজ্ঞানিক প্রমাণ আছে)।
৬। যে কোনো বিষয়ে কনসেপ্ট ক্লিয়ার করে পড়ুন। নিজে নিজে না বুঝলে অন্যের সাহায্য নিন। না বুঝে কোনো কিছু মুখস্থ করবেন না এবং পড়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। আমার লাইফে আমি কখনো পড়া মুখস্ত করতে পারিনি, বুঝে-শুনে পড়তাম যেটা ইংল্যান্ডে আসার পর খুবই কাজে লাগেছে। কারণ এখনকার শিক্ষার ধরনে কোনো পরীক্ষা বা মুখস্থর বিষয় নেই।
৭। মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ইমোতে কম সময় ব্যয় করুন। এতে করে আপনার পড়ায় বেশি সময় দিতে পারবেন।
৮। অযথা আড্ডা বা ঘুরাফেরা করে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আপনার মাথায় খারাপ ও অনর্থক চিন্তা কম আসবে এবং বেশি করে পড়ার সুযোগ পাবেন।
৯। প্রতিদিন আপনার স্বপ্নটাকে অন্তত সকাল, বিকেল, রাতে ঘুমানোর আগে একবার করে স্মরণ করুন। প্রয়োজনে আপনার স্বপ্নটিকে পড়ার টেবিলের উপর লিখে রাখতে পারেন। যেমন : ‘আমি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করবো’ অথবা ‘আমি ব্যাংকার হবো’ অথবা ‘আমি মহৎ ব্যক্তি হবো’। এটি আপনাকে বেশি বেশি পড়তে উৎসাহ জোগাবে। আমি সবসময় পড়ার টেবিলের সামনের দিকে রং-বেরংয়ের চিরকুট দিয়ে আমার স্বপ্ন, আগামী কয়েকদিনে গুরুত্বপূর্ণ কি কাজ করতে হবে, কোথায় যেতে হবে, কার সাথে মিটিং আছে ইত্যাদি লিখে রাখি। এতে করে সারাক্ষণ যখন লেখা চোখে পড়ে, আমার ব্রেইন বার বার আমাকে নক করে মনে করিয়ে দেয়।
১০। নেতিবাচক চিন্তাশীল মানুষদের পরিহার করে চলুন এবং যতোটুকু সম্ভব ইতিবাচক চিন্তাশীল মানুষদের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন। এর ফলে আপনার ভেতরে ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা জাগবে।
১১. ধর্মীয় কাজে সবসময় অংশগ্রহণ করুন (নামাজ/পুজো, অনুষ্ঠান, তালিম/কীত্তর্ণ ইত্যাদি), এতে প্রচুর মনস্থির হয় এবং চিন্তাশক্তি ভালো দিকে ধাবিত হয়।
কখনো হতাশ হবেন না। খারাপ সময়ে ধৈর্য ধারণ করে লক্ষ্য ঠিক রেখে পরিশ্রম করে যান। ইনশাআল্লাহ, ভালো ফল পাবেন।
আব্দুল মজিদ : ডিপার্টমেন্ট অব বায়োমেডিক্যাল সাইন্স, ইউনিভার্সিটি অব হল, যুক্তরাজ্য।