প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৩
বাংলা ছড়ায় প্রবীণ জীবন

সাহিত্য সৃষ্টির শুরুতেই ছড়ায় প্রবীণ জীবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। লোকসংস্কৃতিতে মানুষের মুখে মুখে এসব ছড়া আজও টিকে আছে। ছড়ায় প্রবীণের সংকট, সীমাবদ্ধতা, জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে। মায়ের কোলে শুয়ে শুয়ে শিশু ছড়া শুনে এবং মনোজগতে এর একটি প্রভাব আছে।
লোকমুখে যেসব ছড়া--
১. “ঠাকুর মার ঝুলি ভরা,
গল্প কত সোনা ধরা।
শিশুরা সব ঘিরে বসে,
ঠাকুমা কয় রাতের শেষে। “
২. “ চাঁদের বুড়ী চরকা কাটে
সোনার সুতা আনে,
শিশুরা তার গল্প শোনে
রাতের আঁধার টানে।”
৩. “নানীর কোলে খোকা ঘুমায়,
স্বপ্ন দেশে পাখি উড়ায়।
নানীর মুখে মিষ্টি হাসি,
শিশুর মনে আনে ভাসি।”
৪. “ দাদুর মাথায় সাদা চুল,
তবুও তিনি দারুণ ভুল।
গল্প বলতে বসেন যেই,
হাসতে হাসতে ভাঙ্গে ঢেই।”
৫. “বুড়ি মেয়ে কুড়িয়ে আনল কঞ্চি,
বুড়ো বলে নাচবি নাকি বুড়ি?
বুড়ি বলে কেন রে বুড়ো,
এতো কথা কও কেন?”পাঠ্যবইয়ে শিশুদের জন্যে মজার মজার ছড়া থাকে-Ñ
হ্যাঁরে খবরটা কি উড়ো?
--------আখতার হুসেনহ্যাঁরে খবরটা কি উড়ো?
শুনতে পেলাম নিখিল পুরে
চার চারটে বুড়ো।
খাবার সময় খায় কী জানিস?
বিশটা রুইয়ের মুড়ো!
কাঁদেন কেবল লাগিয়ে চোখে
শুকনো মরিচ গুঁড়ো,
আরে কি বললি দুরো!
বয়স ওদের জানিস্ কত?
আটশো নাকি পুরো !
হ্যাঁরে খবরটা কি উড়ো?এক বুড়ো মশাই
------সুকুমার রায়
এক বুড়ো মশাই, পাকা চুল,
খেতে বসে গিলল ভুল।
ডাক পড়ল চিকিৎসক,
বলো তবে কি হলো শকক্।আলঝাইমার্স রোগ বিবেচনায় নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ছড়া ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।
ক্ষান্ত বুড়ির দিদি শাশুড়ি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ক্ষান্ত বুড়ির দিদি শাশুড়ির
পাঁচ বোন থাকে কালনায়,
শাড়িগুলো তাঁরা উনুনে বিছায়
হাঁড়ি গুলো রাখে আলনায়।
কোনো দোষে পাছে ধরে নিন্দুকে
নিজে থাকে তারা লোহা সিন্দুকে।
টাকা কড়িগুলো হাওয়া খাবে বলে
রেখে দেয় খোলা জানালায়,
নুন দিয়ে তারা ছাঁচি পান সাজে,
চুন দেয় তারা ডালনায়।প্রবীণ ব্যক্তির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তারা
প্রকৃতির কাছ থেকে যে শিক্ষা পায় তা জীবন জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তেমন একটি ছড়া হলো--