প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪১
ষোল আনা মিছে
ষোল আনা মিছে
---সুকুমার রায়
বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বোটে-
মাঝিরে কন,” বলতে পারিস্ সূর্য কেন উঠে?
চাঁদ টা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?’’
বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফেলফেলিয়ে হাসে।
বাবু বলেন, “সারাজীবন মরলিরে তুই খাটি,
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারিআনাই মাটি!”কবি শামসুর রাহমানের ছড়া-Ñ
“ বক সাতদিন রইলো উপোস-
ফেনিয়ে গেল জল কি?
হেঁই উকুনে বুড়ি তোমার
হাতে ওটা জল কি?”চ্যাট জিপিটি রচিত ছড়া--
“চুলে সাদা রঙের রেখা,
মুখ ভাঁজের ছাপ।
বয়স বাড়ে নীরব স্রোতে
সময় যেন চাপ।”আহমেদ মাওলা রচিত ছড়া প্রবীণ নারীর দুঃখ দুর্দশাকে জীবন্ত ভাবে তুুলে ধরেছে।
“ছেঁড়া শাড়ি, চোখের ছানি
কাঁদবে চোখে নেই তো পানি
তাইতো বুড়ি ফুটপাতে...
লোকের কাছে হাত পাতে।”সমসাময়িক কালের আলোচিত ছড়াকার পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার রচিত ছড়া
‘দাদা দাদী’--
দাদা দাদী খুব বুড়ো ভাই
আর লাগে না কাজে
মা সারাদিন দোষ খুঁজে তাই
বকছে আজেবাজে।দাদীর কাজে সে খুশি নয়
হাজার খুঁতের ঝাড়ি
দাদু বেশি চা খেলে মা
মাথায় তোলে বাড়ি।দাদী এখন সব ভুলে যায়
রয়না কিছুই মনে
মা একথা ডেকে ডেকে
বলছে জনে জনে।দাদা সেদিন হাত কেঁপে তার
ফেললো ভেঙ্গে থালা
মা রেগে কয় বাবার কানে
তার হয়েছে জ্বালা।উপরের ছড়াটি আমাদের দেশের প্রবীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি।
লেখক : প্রবীণ বিষয়ে লেখক, গবেষক ও সংগঠক।