সোমবার, ১২ মে, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৫, ১৩:২৪

পণ্য সরবরাহে স্বস্তি আনতে ও সরবরাহ সংকট মোকাবেলায় সহায়তা চান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা

কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক
পণ্য সরবরাহে স্বস্তি আনতে ও সরবরাহ সংকট মোকাবেলায় সহায়তা চান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা

দেশের খাদ্যবাজার মূলত কৃষি উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এ খাতে অবকাঠামোয় ও বিনিয়োগে দুর্বলতা রয়েছে; আছে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও। সেজন্যে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে এ খাতে সুবিধা বাড়ানো ও ব্যবসায়ের ব্যয় কমানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

দেশের বাজার ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আনতে এবং সাধারণ ভোক্তাদের ভোগান্তি কমাতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা আরো কার্যকর করার ওপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি চঁাদপুর জেলার ব্যবসায়ীরাও একই দাবি জানিয়েছেন। সরবরাহ চেইন সচল রাখতে বাড়াতে হবে নীতিগত ও প্রশাসনিক সুবিধা।

চঁাদপুর শহরের পালবাজার, বিপণীবাগ ও বাবুরহাটে পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কিছু পণ্যে সরবরাহজনিত ঘাটতির কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি ও পরিবহনের নানা জটিলতায় সময়মতো পণ্য আসছে না, এতে করে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়ছে।

চঁাদপুর চেম্বার অব কমার্সের এক নেতার ভাষ্য “সরবরাহ ঠিক রাখতে হলে শুধু আইন প্রয়োগ নয়, সরকার আমাদেরকেও কিছু সহায়তা দিতে হবে। যেমন বন্দরে পণ্য খালাসে জট কমাতে হবে, পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে বাধা কমাতে হবে। তবেই আমরা সঠিক সময়ে সঠিক দামে পণ্য সরবরাহ করতে পারবো।”

একই মত ব্যক্ত করেছেন পুরাণবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, “চাল, ডাল, তেল এসব পণ্য সময়মতো না আসায় আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনি, আর সেটাই ভোক্তার ওপর পড়ে। সরকার যদি কর সুবিধা, সহজ আমদানি প্রক্রিয়া ও পরিবহন ব্যয় কিছুটা কমায়, তাহলে আমরা সাশ্রয়ী দামে পণ্য দিতে পারবো।”

ব্যবসায়ীদের মতে, শুধু মনিটরিং নয়, দীর্ঘমেয়াদে বাজার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে পণ্যের সরবরাহ নিয়ে সংকট বাড়তেই থাকবে। এ বিষয়ে চঁাদপুর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তঁারা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়