প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩২
তোমাদের সফলতায় নিজেকে খুঁজে পাই

নিজে যা পারিনি তা যখন অন্যের মাঝে পাই
তখনই মনে হয় নিজের পাওয়া হয়ে গেছে
শিশু বেলা থেকে ভালো কিছুর আশা নিয়ে
ছুটে চলেছি দেশ থেকে দেশান্তরে
এই ছুটে চলার মাঝেও যখন শুনি সফলতার গান
তখন ভালো লাগে এবং উৎসাহ জাগে মনে
সকল স্মৃতিগুলো আমায় এসে বলে
এইতো সফলতা পেয়েছ তুমি অন্যের মাঝে
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দূর প্রবাসে বসেও
ভাবি সহযোদ্ধা কবি সাহিত্যিকদের কথা
তখন প্রবাসে থাকা কেটে যায় নিজের একাকীত্বতা
প্রিয় পাঠক, আমি কোনো কবি-সাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক ভালো কোনো লেখক নই, তবুও আপনাদের উৎসাহের কারণে কিছু পাঠক আমার আছে বলেই আমি এখনো দূর প্রবাসে বসে লিখে যাই, আনমনে অনেক স্মৃতিকথা। আমার লেখা হয়তো কারো ভালো লাগে, আবার কারো কাছে ভালো না লাগতেও পারে তবুও নিজের মনের খোরাক যোগাতে লিখতে বসি মাঝে মাঝে।
আজ তেমনিভাবে একটি বিষয় নিয়ে না লিখে পারছি না প্রবাসের ব্যস্ত সময়ের মাঝেও বিশেষ করে ২০২৫ সালে ঢাকা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয়েছেন চঁাদপুর জেলার আমার স্নেহময় এবং শ্রদ্ধেয় অনেক কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক তাদের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন।
বিশেষ করে যে দুটি মানুষকে দেখি একে অন্যের পরিপূরক, সহযোদ্ধা এগিয়ে চলার মসৃণ পথের আলোর দিশারি। সে দুজন হচ্ছে মুহাম্মদ ফরিদ হাসান এবং কাদের পলাশ। দুজনের মধ্যে যে প্রেম রয়েছে সেটি সকলের মধ্যে থাকে না, তাদের প্রেম আরো মজবুত হবে, সাহিত্য জগতে অন্যদেরকে উৎসাহ যোগাবে সে প্রত্যাশা করছি।
আমি চঁাদপুর জেলার অন্তর্গত শাহরাস্তি উপজেলার পৌর ১১ নম্বর কৃষ্ণপুর পাটোয়ারী বাড়ির সন্তান হিসেবে যার উৎস পেয়ে এ যাবত পঁাচটি বই প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি সে হচ্ছে স্নেহময় কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, গবেষক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান।
প্রায় সময় তাকেই বলে থাকি একদিন আসবে তুমি যুব লেখক হিসেবে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক পাবে। আজ তারই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে সে। আর পাশাপাশি চঁাদপুর জেলার যে ক’জন কবি, সাহিত্যিক রয়েছেন যঁাদের সঙ্গে আত্মার একটি মিলবন্ধন রয়েছে তঁারা হলেন পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, আব্দুল্লাহিল কাফি, ইকবাল পারভেজ, মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, কাদের পলাশ, মাইনুল ইসলাম মানিক, উজ্জ্বল হোসাইন, জমির হোসেন, রফিকুজ্জামান রণি, আশিক বিন রহিম, আরিফুল ইসলাম শান্ত, মোখলেসুর রহমান ভূঁইয়া, জাহিদ নয়ন, সুমন, নূরে আলম পাটোয়ারী, কবির হোসেন মিজি, মো. আসাদুল্লাহ, মনিরুজ্জামান বাবলু, শাম্মি ইসলাম নীলা, সঞ্জয় দেওয়ানসহ অনেকের সঙ্গে চঁাদপুর সাহিত্য একাডেমীতে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। যঁাদের লেখাগুলো স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে একজন পাঠক হিসেবে শিশু লেখা পড়ে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে।
ক্ষণিকের জীবনে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইসলামী চিন্তা চেতনায় আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে, সুস্থ ধারার মানসিকতার মধ্যে দিয়ে দেশ, সমাজ ও পরিবারের সকলকে নিয়েই আমাদের ভাবতে হবে, লেখার মাধ্যমে সেসব ভাবনাগুলো তুলে ধরতে হবে। আমি দূরপ্রবাসে বসে আবারো যারা চঁাদপুর জেলাকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
যা আমি নিজে পারি না তা তোমাদের মাঝে খুঁজে পাই, আর এতে করেই শান্তি পাই মনে, আমি তোমাদের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো, তোমরাও যখন আমি থাকবো না তখন আমায় ভুলে যেও না। পাশে রেখো একজন ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবে, একজন কবি, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক প্রেমিক, সমাজকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী, গণমাধ্যমকর্মী যা তোমাদের ভালো লাগে সেভাবেই আমাকে রেখো তোমাদের পাশে।
সকলের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করে আজকের মতো এখানে ইতি টানছি। আমার লেখায় কোনো ধরনের ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দূরপ্রবাস থেকে আবারো সকলের জন্য অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সকলের জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইলো। আল্লাহ সকলের মঙ্গল করুক, আমিন।
ইতি তোমাদেরই সহকর্মী সহযোদ্ধা
কবি ও লেখক জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়
সৌদি আরব প্রবাসী।
৮ জানুয়ারি ২০২৫