প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২
খলিশাডুলিতে সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে সবজি বাগান
চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের বাহের খলিশাডুলি কাদেরিয়া চিশতিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান ফটক পেরিয়ে দুই-চার কদম গেলেই শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ। মাঠের পাশের বাউন্ডারি দেয়াল ঘেঁষে গাছে গাছে দোল খাচ্ছে নানান জাতের সবজি। কালো মরিচ, টমেটো, পাতা কফি, পেঁয়াজ ও বেগুন। সমস্ত সবজি বাগান ঢাকা পড়েছে গাছের সবুজ পাতায়। মাটিতে থোকায় থোকায় লাল সবুজের বাহারী রং ছড়াচ্ছে লালশাক-পুইশাকের মেচুড়ি। লকলকিয়ে বেড়ে উঠছে পুঁই আর ডাটাশাক। আর মাদ্রাসার টিনশেড বিল্ডিংয়ের চালে ও মাচায় ঝুলছে লাউ। লাউ গাছ সাদা ফুলে ফুলে ভরে গেছে। পেঁপে গাছের ডগার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে নতুন কটি। এছাড়া পুরো মাদ্রাসা জুড়ে লাগানো আছে ১০টি ওষুধি গাছ। চোখ ধাঁধানো সবুজের এই সমারোহ চোখ পড়ে চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের বাহের খলিশাডুলি কাদেরিয়া চিশতিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসায়।
মাদ্রাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মাওঃ আব্দুল হান্নান নিজামী জানান, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল মুন্নাফ তালুকদার অবসর সময় কাটাতে মাদ্রাসার আঙ্গিনায় সবজি বাগান গড়ে তোলেন। তার এই সবজি চাষ দেখে এখন এলাকার সাধারণ মানুষরা সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এরই মধ্যে অনেক শিক্ষক তাদের বাড়ির অঙ্গিনায় সবজি চাষ শুরু করেছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, হরেক রকমের সবজি, ফলদ, বনজ ও ওষুধি গাছের সমারোহে ভরে উঠেছে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ। অলস সময় পার করার জন্যে আব্দুল মুন্নাফ শখের বসে অঙ্গিনায় একটা দুটা করে সবজি চাষ শুরু করেন। কিন্তু এটা যে এতো ব্যাপকতা লাভ করবে তা তিনি আগে ভাবেননি। তবে এখন তিনি মনে করছেন, সবজির মাঠ দেখে শিক্ষার্থীরাও সবজি চাষে উৎসাহিত হবে।
উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন বলেন, এটা খুবই চমৎকার উদ্যোগ। শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার ক্লাস শেষে প্র্যাকটিক্যালি সবজি চাষ শিখতে পারবে।