শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:১৫

নিস্তব্ধ শহরে রহস্যের উদ্ঘাটন

তানজিনা আক্তার আরওয়া
নিস্তব্ধ শহরে রহস্যের উদ্ঘাটন

আমি লুক্রেতিউস একটা সংবাদ প্রচারে কাজ করি। বিভিন্ন ধরনের বড় বড় খবর আমাদের চ্যানেলে সবার আগে ঘোষণা করা হয়। একদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাত আমি বসের অফিসে কিছু ফাইল জমা দিতে গিয়ে টিভি শোতে একটা সংবাদ প্রচার হচ্ছে দেখতেছিলাম। সেখানে একজন সাংবাদিক খুব সুন্দর করে কিছু লেখা পড়ে উপস্থাপন করিতেছিলেন। লেখাটা হল ‘আজ আর বাড়ির পাশে মধ্যে রাতে সে নুপুরের শব্দ শুনা যায় না। সকলে যেন গম্ভীর। যে যার যার কাজে ব্যস্ত। আচ্ছা কী এমন হয়েছিল আঠারো তারিখ রাতে যার কারণে সব কিছু আজ নিস্তব্ধ বিদীর্ণ হয়ে গিয়েছে’।

বিষয়টা আমার কাছে সম্পূর্ণ আশ্চর্যজনক লাগল। বসের সাথে বসে এ নিয়ে অনেকক্ষন আলোচনা করা হয়েছে যে কী হতে পারে ঐ জায়গায়। এভাবে কথোপকথন ও কাজ মিলিয়ে আজকের অফিসের সময় শেষ হয়ে এসেছে। আজকে দারোয়ান আমাকে অফিসের সকল কাজগুলো করতে বলেছেন এবং যাওয়ার সময় গেটে উনার রুম থেকে আর একটা তালা এনে লাগিয়ে যেতে বলেছিলেন। কারণ উনার মেয়েকে শ^শুর বাড়ির লোকেরা আজ নিতে আসবে তাই রাতেও থাকতে পারবেন না সে জন্য দুটো তালা লাগানের জন্য বলে গেছেন। আমি সকল জানলা, দরজা বন্ধ করে উনার কথা মত গেইট এ দুটো তালা লাগিয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম। সারাদিন অফিসের ক্লান্ত শরীর কেমন কেমন জানি লাগতেছে তাই একটু আদা দিয়ে চা বানিয়ে নিলাম যাতে করে ক্লান্তি টা চলে যায়। হঠাৎ ঘড়িটা বেজে উঠলো রাত্রী তখন ১০টা। আমি আজকের সব পত্রিকাগুলো নিয়ে বসলাম টেবিলে সাথে কিছু মার্ক কলম নিয়েছি যাতে করে গুরুত্বপূর্ণ লাইন পেলে আন্ডারলাইন করে রাখতে পারি। যেহেতু আমাদের চ্যানেলে সব সময় বুলেটিন প্রকাশ মানে ব্রেকিং নিউজ এজেন্সি করা হয় তাই আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে এ কাজটা সমাধান করবো। এতে করে হতে পারে আমার প্রমোশন শীর্ষক স্থানে যেতে পারে। তার চেয়ে বরং নিজের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন হবে। আমি পত্রিকাগুলো পড়ে সে স্থানের নাম এবং ঠিকানা গুলো একটা সাদা কাগজের মধ্যে কাউন্ট করে নিয়েছি। তারপরের দিন বস অফিসে জরুরী মিটিং আছে বলে সকলকে নোটিশ পাঠালেন। লাঞ্চের পরপর মিটিং শুরু হবে জ‘ানানো হল। সকলে যথাক্রমে এসে হাজির। বস বললেন গতকাল সংবাদ মাধ্যমে একটা খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে সেটা যুক্তিসংগত করে যে যোগাড় করতে পারবে এবং উপস্থাপন করতে পারবে তাহলে তার প্রমোশন হবে এবং এটা নিয়ে অনেক চ্যানেল চ্যালেঞ্জ ধরে বসেছে আমি চাই সবার শীর্ষে আমাদের চ্যানেল থাকুক। আপনারা আপনাদের মতো করে তদন্ত করে আগামী সপ্তাহের চতুর্থ দিন সকল খবরা-খবর আমাকে দিবেন। আমি সেটা ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে কিছু তথ্য টেলিকাস্ট করবো।

অফিসের সকল কলিগ নিজেদের মতো করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি অফিসের কাজ শেষ করে আবারো আজকে রাতে সে পত্রিকাগুলো নিয়ে বসেছি। সেখান থেকে আবার নতুন কিছু তথ্য পেয়েছি। যেই সাংবাদিক এ তথ্য প্রচার করেছেন আমি সে সাংবাদিকের সাথে কথা বলে আগামীকাল রাত ১০টায় সে স্থানে যাওয়ার কথা পাকা করেছি। আমরা দু'জনেই অপরিচিত। পরদিন নিয়ম মত সকল কাজকর্ম শেষ করে রাত্রে বের হলাম। একটা সময় দেখা হল দু'জনের। তারপর দু'জন মিলে পৌঁছালাম সে স্থানে। ওখানকার মানুষদের কিছু জিজ্ঞেস করলাম কেউ-ই যথাযথ উত্তর বা প্রমাণ দিতে পারেনি।তবে একজন শুধু বলেছেন! সে মানুষটা দেখতে কেমন রহস্যময়ী! উনি বলেন, এ ঘটনা হওয়ার পর থেকে রাত্র সোয়া আটটার পর কেউই বাহিরে বের হয়না। এই কথাটাও তিনি বহুবঙ্গী করে বলেছেন। আমরা পথ ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম। সে স্থানটা আমাদের থেকে ত্রিয়-পয়ত্রিশ ফুট দূরে এমনটা মনে হল। ক্লিয়ার করে কিছু দেখা যাচ্ছে নাহ। যেন ঘাসের উপর শিশির কনা। আমরা দু'জন খানিকক্ষণ থেকে কিছু-ই বুঝতে পারলাম না চলে এলাম বাড়ি।এভাবে রাতে দশ থেকে পনেরো দিন গিয়েছিলাম কিছু- ই মিলেনি তবে সে লোকটার সাথে রোজ আমাদের দেখা হত!

একদিন শহর জুড়ে হৈ-চৈ পড়ে গেল। মানুষের হৃদপিন্ড কে যেন লুকিয়ে নিয়ে যায় আর সে মানুষ টাকে খুন করে কোন এক অন্ধকারে ফেলে দেয়। এগুলো নিয়ে প্রেস কনফারেন্স হয়েছে কয়েকবার। পুলিশ, গোয়েন্দা, সিআইডি সকলে মিলেই এ মর্মান্তিক খুনের উদ্ঘাটন চালিয়ে যাচ্ছে। রোজ রোজ মিডিয়ার সামনে জবাবদিঈ করতে করতে অফিসাররা সকলে এখন বিব্রতবোধ হচ্ছে। কারণ সমাজের উচ্চবর্গের মানুষ, সাধারণ মানুষ, কিংবা নেতা সকলে মিলে এখন আঙ্গুল তুলতেছে, কি করতেছে অফিসার? সঠিক মতো তদন্ত হচ্ছে কিনা এগুলো নিয়ে একিবারে শহর থেকে রাজ্য তোলপাড় শুরু হয়েগেছে। কেউ-ই সুরক্ষিত নেই।

আমাদের অফিসের বস ও এখন কড়া হুশিয়ারী দিচ্ছে আমাদের। আমি প্রায় সে স্থানে যাই আসি দূর থেকে দেখে আসি। তবে যে সময়ে যাই না কেন সে রহস্যময় লোকটা সব সময় সামনে পড়ে এবং আজকে হঠাৎ আমাকে এসব সংবাদ মাধ্যম, বিবিসি খবরাখবর বন্ধ করে দিতে বলে আমি তো অবাক! আমি কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই চলে গেলেন। পিছু ডাক দিলাম কয়েকবার ফিরে ও তাকালেন না। আমি বাড়ি এসে সংবাদপত্রের শিরোনামগুলো নিয়ে অনেকক্ষন ঘাটাঘাটি করলাম সেরকম কিছু-ই চোখে পড়েনি একটা বেপার ছাড়া। কারণটা হল খুনি কোনভাবে আঘাত করেনা। লাশের শরীরে ও কোন আঘাতের চিহ্ন থাকেনা। তবুও জীবিত মানুষের কীভাবে হৃদপিন্ড নিয়ে যায় বুঝতেই পারতেছিনা খুনি কী তাহলে কোন তান্ত্রিক? এ বিষয়টা চোখে পড়ার পর থেকে কয়েকটা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে মনে। আমি পরের দিন অফিস করে নিজে একাই পুনরায় খোঁজ নিতে গেলাম আর লোক মুখে শুনলাম কখন কার উপর হামলা হতে পারে জানা নেই তাই সকলে সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে রাতে ঘর থেকে বের হওয়ার পুরো নিষেধাজ্ঞার আরোপ জারি করা হয়েছে। কারণ কেউ নিজের অবহেলায় এমন ঘটনার শিকার হলে কর্তীপক্ষ দায়ি থাকবেনা।

এসবের মধ্যে দিয়ে আমাদের পাশের গ্রামের চৌধুরী বাড়ির মালিক চাচার স্ব-পরিবার বিদেশে থেকে এসেছেন। তাদের সকল ঘটনা জানালাম। কিন্তু তারা বলে অনেক দিন পর নিজ দেশের মাটিতে পা রাখা একটু অলিগলিতে না ঘুরলে কী আর মন শান্ত হয়। আমরা যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী চলব। যেহেতু চৌধুরী বাড়ির মানুষ তাই আর বেশি কিছু বলিনি। তারা আসার দু'দিন পর বাড়িতে ঘোর আয়োজন, উৎসব, অনুষ্ঠান হচ্ছে। সকলে মিলে মিশে অনেক উল্লাসে মেতে উঠেছে। একদিন বিকেলে আমি এমনি দুতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি হঠাৎ সে রহস্যময় লোকটাকে দেখতে পেলাম। আমি অনেকবার ইশারা দিলাম ফিরিয়ে ও তাকাইনি। সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে মানুষটা যে কেথায় উধাও হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। ঠিক তখনি চৌধুরী বাড়িতে হৈ চৈ পড়ে গেল! তাদের মেয়ে নাহরিফাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার সাথে তাদের গেঁটে কে যেন একটা লাল বক্স দিয়ে গিয়েছে! কেউ দেখেনি কে রেখেছে। এতো আয়োজন উৎসব কত রকমারি মানুষের চলাচল এখন কার উপর দোষ আরোপ করবে বুঝা মুশকিল। চৌধুরী বাড়ির বড় কর্তা রাহনুমার এসে বক্সটা নিজ হাতে খুলে দেখলেন, কিছু লাল রং ও একজন মানুষের হৃদপিন্ড! তিনি চমকে গিয়ে মাটিতে বসে পড়লেন। সাথে সাথে স্টোক করে ওখানেই মৃত্যুবরণ করেন। এরইমধ্যে বাড়ির কয়েকজন খবর নিয়ে এসেছে ছাঁদে নাহরিফার লাশ পড়ে আছে। কয়েকজন গিয়ে নাহরিফাকে নিচে নিয়ে আসল আর আমি আমার অফিসের বসকে খবরটা জানালাম সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশ নিয়ে উপস্থিত। নাহরিফাকে পোস্টমটেম করতে পাঠানো হল অ্যাম্বুল্যান্সে করে। তার চারপাশে রক্তাক্ত। এতকিছুর ভীড়ে সে লোকটাকে আবার দেখতে পেলাম আমি এবার লুকিয়ে লুকিয়ে পিছন থেকে তাকে জরিয়ে ধরলাম আর জিজ্ঞেস করলাম খানিকক্ষণ আগেই তো আপনাকে দেখলাম হঠাৎ কোথায় উধাও হলেন। আর আপনি তো প্রত্যাকদিন অন্য স্থানে ছিলেন আজ এখানে কেন? এরই মধ্যে সেখানে পুলিশ হাজির। তাকে কাস্টারিতে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞেসা বাদ করানোর জন্য। কারণ উনাকে আমার সন্দেহ হচ্ছিল। পোস্টমটেম রিপোর্ট চলে আসল। রিপোর্ট লেখা ছিল তিন মাথা ওয়ালা খুব ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাহরিপাহার হৃদপিন্ড ছিন্ন করা হয়েছে। এই অস্ত্রের নাম ‘ব্রহ্মতাল শাণু’ এগুলো বেশ পুরুনো আদিমতম মানুষের বলা যেতে পারে। তবে তখনকার আমলে এগুলো রাক্ষস দমনে এমন হাতিয়ার ব্যবহার করা হত। এ দিকে পুলিশ কাস্টারি থেকে আমাদের অফিসে নোটিশ এসেছে। যে সন্দেহের লোক কে বেশি সময় আটকে রাখা যায়না প্রয়োজনে জিজ্ঞেসা বাদ করা যায় তাই আপনারা এসে প্রশ্ন করে যান আমার যেহেতু সন্দেহ হচ্ছিল তাই আমি, আমার বস ও আমাদের সাথে দু’জন ম্যানেজার এসেছেন। তাকে জিজ্ঞেস বাদ করে কোন প্রশ্নের উত্তর পাইনি। তবে তার বা হাতের আঙ্গুলটা একটু কেটে গেছে দেখলাম। আমি কিছু-ই বলিনি। তাকে ছেড়ে দেওয়া হল। তবে আমি পুলিশকে একটু চোখে চোখে রাখতে বলেছিলাম যাতে এ রহস্যময় লোকটা বুঝতে না পারে ওকে ফলো করা হচ্ছে। আমি পৌঁছে গেলাম চৌধুরী বাড়িতে। ওখানে গিয়ে বক্সটা নিলাম আর ওনাদের কান্না শুনে আমার ও চোখে অশ্রু ফোঁটা অঝোরে ঝড়তে লাগল। নাহরিফার নাকি খুব নুপুর পছন্দ ছিল। সে সবসময় নুপুর পড়ে সারাবাড়ি ঘুরে বেড়াত। এখন আর এ নুপুরের শব্দ শুনা যাবেনা সকলে গম্ভীর কণ্ঠে কান্নার আহাজারি করতেছে। আমি বক্স টা নিয়ে বল্লাম যতটুকু রক্ত এখানে আছে সম্পূর্ণভাবে টেস্ট করেন দেখেন তো অন্য কোন ব্যক্তির রক্তের স্যাম্পল পাওয়া যায় কিনা। কারণ ওই রহস্যময় লোকটার হাতের আঙ্গুল কাটা দেখেছিলাম আমি তাই আমার উনার উপর সন্দেহ হচ্ছে। ডাক্তার আমাকে রিপোর্ট এনে দিয়ে বল্লেন হ্যাঁ অন্য একজনের পাওয়া গেছে। তবে তিনি একজন পুরুষ। তার বয়স আনুমানিক পঞ্চান্ন থেকে ষাট হবে।

তখন আমার সন্দেহ আর গভীর হল কারণ উনার বয়স এরোকমই। এখন কথা হচ্ছে এই ব্যক্তির রক্ত কীভাবে জোগাড় করবো উনি তো দেখতেই এমনি রহস্যের গণ্ডি তার উপর এসব খুনের বিষয়ে আমাকে তদন্ত করতে নিষেধ করেন তাহলে কীভাবে আমি কাজ এগুবো। এদিকে খুনের বিষয়ে সকলে আতংকিত। সকলে চার দেয়ালে বন্দী। কারণ কখন কে খুন হয়ে যায় বলা যায় না। শহরে নাফিহাকে নিয়ে মোট নয়টা খুন হয়েছে। আমি আমার সন্দেহের বেপারে আমার অফিসের বসকে জানালাম তখন তিনি পুলিশের সাহায্য নিয়ে আবার লোকটা কে পুলিশ কাস্টারিতে নিয়ে আসেন। উনি জিজ্ঞেস করে আমি কী অন্যায় করেছি আমাকে কেন বারংবার এখানে আনা হয় জিজ্ঞাসা বাদ করা হয়। আমার এখন বৃদ্ধ বয়স এতো ছুটোছুটি করলে শরীর অসুখ হবে। তখন পুলিশ কোর্সের প্রধান বলেন আপনাকে বা এরকম অনেক কেই আনা হচ্ছে কারণ সমস্যাটা শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে তাই আমাকে আমাদের ইনভেস্টিকিশন করতে দেন। রাতে ঘুমানোর পর লোকটার থেকে সামান্য রক্ত নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হল আগের রিপটের সাথে এ রক্ত মিলে যাচ্ছে! ডাক্তার তৎক্ষনাত সবটা জানালেন এবং এ লোকটাকে হাজতে রেখে দিলেন। উনার নামে মামলা হল আদালতে উঠালেন এবং জিজ্ঞাসা বাদ করলেন যে কেন তিনি এমন নির্মম খুনগুলো করে বেড়াতেন তখন তিনি বল্লেন আমার পূর্ব পুরুষরা এসব তান্ত্রিক নিয়ে রিচার্জ করতেন। তারা কখনো তাদের এ তান্ত্রিক শক্তির কোনো অপব্যবহার করেননি। তারা কয়েকজন মিলে একটা বই লিখেছেন। সেখানে সকল তথ্য গুছিয়ে লেখা আছে। তাদের কাজের ব্যবহার কীভাবে করা হবে একদম সকল কিছু। একদিন আমি তাদের কাজ অনুসরন করে ব্যতিক্রম রিচার্জ করলাম দেখলাম আমার রিচার্জে দশজন মানুষের হৃদপিন্ড প্রয়োজন তাতে করে আমার কাছে অস্ত্রটা সম্পূর্ণ আশ্চর্যজনক হবে এবং তাৎক্ষণিক আমি উধাও হয়ে যাব। আর একটি খুন করলে আমি সফল হয়ে যেতাম। তখন জজ সাহেব তাকে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করলেন এবং আজকে রাতেই তাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। কারণ এমন মানুষ সমাজে বাস করার যোগ্যতা রাখেনা ও দেশের জন্য একজন আতঙ্কবাদী।

আমাদের অফিসের বসের সাথে সকল পরামর্শ করে সাংবাদিকরা আমাদের অফিসে এসে প্রথম ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ভিডিও ক্যামেরা রেকর্ড করলেন ও আমাদের চ্যানেলে সর্ব প্রথম সরাসরি সম্প্রচার করেন। আমি যেহেতু অনেক সাহায্য করেছি আমাকে পাঁচ লাখ টাকা উপহার দিয়েছেন এবং সে সাথে আমাকে বস ও প্রমোশন দিয়েছেন। এখন সকলের মুখে শুধু আমাদের চ্যানেলের সুনাম। এ অর্জন যেন এক আকাশপ্রাপ্তি এনে দিয়েছে আমার জীবনে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়