রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:১০

কলেজে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা-১৫

নামমাত্র অ্যাসাইনমেন্ট করা হলেও প্রকৃত অর্থে পড়াশোনা আর হচ্ছে কই?

শামীম হাসান
নামমাত্র অ্যাসাইনমেন্ট করা হলেও প্রকৃত অর্থে পড়াশোনা আর হচ্ছে কই?

করোনা লম্বা সময় স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায়, থমকে গেছে দেখের শিক্ষা ব্যাবস্থা। লাগামহীনভাবে একের পর এক ছুটি বাড়ানোর ফলে অনিশ্চয়তার দিকে এগুচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েছে সবচেয়ে বড় বিপাকে। শিক্ষা ব্যাবস্থার স্বাভাবিক থাকলে এতো দিনে সার্টিফিকেটও চলে আসতো তাদের। থমকে যাওয়া শিক্ষাঙ্গনের এমন পরিস্থিতিতে শুরু হয় চাঁদপুর কন্ঠে বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদন 'কলেজে ফিরতে শিক্ষার্থীদের ব্যাকুলতা'।

এই পর্বে চাঁদপুর কন্ঠের মুখোমুখি হয়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মানবিকা কর্মকার। এই শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা, আক্ষেপ ও হতাশার কথা।

চাঁদপুর কন্ঠ : বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব কিসে পড়ছে বলে মনে করেন? মানবিকা কর্মকার : বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব পরছে আমাদের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। কারন এতো লম্বা সময় জুড়ে পর্যক্রমিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাহিরে থাকলে মানুষিক অবস্থা স্বাভাবিক না থাকারই কথা৷

চাঁদপুর কন্ঠ : করোনায় কেমন চলছে পড়ালেখা? মানবিকা কর্মকার : কিসের পড়ালেখা? নামমাত্র অ্যাসাইনমেন্ট করা হলেও প্রকৃত অর্থে পড়াশোনা আর হচ্ছে কই পাবলিক ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের। শুধুমাত্র প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এক্সাম থাকায় মনে হয় কিছুটা পড়াশোনা করতে পারছে।

চাঁদপুর কন্ঠ : মানসিক অবস্থা কেমন? মানবিকা কর্মকার : মানসিক অবস্থা এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই খারাপ। আমারও তার ব্যতিক্রম নয়। তবুও চেষ্টা করে যাই ভালো থাকার।

চাঁদপুর কন্ঠ : পড়ালেখা যেহেতু প্রায় বন্ধ। বিকল্প কোনো কাজ করছেন কী? মানবিকা কর্মকার : বিকল্প বলতে টিউশন করছি তবে তা আগেও ছিল, এখনও করি। আর পাশাপাশি কিছু কোর্স করে নিজের স্কিল ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি।

চাঁদপুর কন্ঠ : আপনি কি মনে করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সময়ের দাবী? মানবিকা কর্মকার : হ্যাঁ অবশ্যই! শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এতোটা সময় ধারাবাহিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাহিরে থাকায় আমরা যেনো ধীরে ধীরে মেরুদণ্ডহীন হয়ে যাচ্ছি বলে আমার মনে হচ্ছে৷ এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

চাঁদপুর কন্ঠ : প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আপনার প্রতিক্রিয়া কী? মানবিকা কর্মকার : যেই স্টেপ এখন নিচ্ছে সরকার তা' আরও আগে নিলে খুব ভালো হতো। তবুও এখন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয় তাহলেই মনে হয় যেন বাঁচি।

চাঁদপুর কন্ঠ : অনলাইন পাঠদান কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মনে করেন? মানবিকা কর্মকার : প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার চাহিদার বিপরীতে অনলাইনে কয়টা জায়গায় পাঠদান করা হচ্ছে খোঁজ নিয়ে দেইখেন তো! এরপর নাহয় ফলপ্রসূ কিনা সেটা নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়া যাবে। নামেই অনলাই পাঠদান ফলাফল শূণ্য।

চাঁদপুর কন্ঠ : স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভার্সিটি খোলার বিষয়ে আপনার মতামত কী? মানবিকা কর্মকার : যত দ্রুত সম্ভব ভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক ৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না, তাতে কি মানুষের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে? কি দরকার ছিল এতদিন বন্ধ রাখার? আমরা যে পিছিয়ে পরলাম তার দায়ভার কে নিবে এখন? আসলে যার যার সেফটি তার তার কাছে৷ ভার্সিটিগুলো খুলে দিলেই যে অনেক বেশি আক্রান্ত হবে অথবা বন্ধ রাখলেই যে আক্রান্ত কম হবে তেমনটা কিন্তু না। সবাই ঘর থেকে বের হচ্ছে, হয়তো আরও বের হবে৷ তাই বলে কি বছরের পর বছর বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান? তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়াই এখন সঠিক সিদ্ধান্ত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়