শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ১৯:১৬

রাজশাহীতে আমের কেজি ২ টাকা

অনলাইন ডেস্ক
রাজশাহীতে আমের কেজি ২ টাকা
ছবি সংগ্রীহিত

রাজশাহীতে ঝরে পড়া আম দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোমবার (২২ মে) সকালে বাঘা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দুই টাকা কেজি দরে আম কেনাবেচা হয়েছে। প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এর আগে রোববার (২৩ মে) রাতে রাজশাহীতে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হয়েছে। এতে অনেক আম পড়েছে। সকালে আমগুলো স্থানীয় হাট-বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা আচারের জন্য কেনে নেন।

সকালে বাঘার আড়ানী স্টেশন, পৌরসভার গোচর, চকরাজাপুর, নূর নগর, ঝিনামোড়ে দুই টাকা কেজি দরে ঝরে পড়া আম কেনাবেচা হয়েছে। তবে গ্রামের মোড়গুলোর চেয়ে বানেশ্বর হাটে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ঝরে পড়া আম।

আম ব্যবসায়ী তারিকুল ইসলাম চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, বাঘায় প্রচুর আম উৎপাদন হয়ে থাকে। গতকাল রোববার রাতের ঝড়ে অনেক আম পড়ে গেছে। সেই আমগুলো বাগান মালিক ও স্থানীয়রা কুড়িয়ে বিক্রি করছেন। গ্রামের মোড়গুলোতে দুই টাকা কেজি দরে আম বিক্রি হচ্ছে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা আমগুলো কিনে ঢাকার বিভিন্ন কোম্পানিতে পাঠাচ্ছে।

অপরদিকে বানেশ্বর হাটে ভালো আমের সঙ্গে উঠেছে ঝরে পড়া আম। এই হাটে ঝরে পড়া আম বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ যে ব্যবসায়ীরা গ্রামের মোড়গুলো থেকে আম কিনেছেন তারাই মূলত বানেশ্বর হাটে বিক্রি করছেন। এছাড়া কিছু আম বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি সরাসরি ট্রাকে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন।

ব্যবসায়ী আকবর আলী জানান, চারঘাট-বাঘার বিভিন্ন এলাকায় ঝরে পড়া আম বিক্রি হচ্ছে। সেখান থেকে কিনে অনেকেই এই বানেশ্বর হাটে বিক্রি করছেন। গ্রামগুলোতে ঘুরে যে দামে আম কিনছেন তারা তার থেকে এক থেকে দুই টাকা লাভে আমগুলো বিক্রি করছেন। বানেশ্বর হাটে ৪ থেকে সাড়ে ৪ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, বাঘায় ১৫ লাখের বেশি আম গাছ রয়েছে। সেখান থেকে দুটি করে আম পড়লেও ৩০ লাখ আম। গতকাল রাতে ঝড় হয়নি, তবে দমকা হাওয়া বইছে। এতে কিছু আম পড়েছে। কিছু দিন আগে প্রচণ্ড রোদ ও খরা গেছে। এতে করে আমের বোঁটা শুকিয়ে ছিল। ফলে বাতাসে কিছু আম ঝরে গেছে। তা খুব বেশি নয়।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক লতিকা হেলেন বলেন, রোববার রাতে রাজশাহীতে ২২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের সময় রাজশাহীর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়