প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ২০:০৮
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ‘আম উৎসব’ উদযাপন।
‘মিষ্টি আমের মধুর রসে, সব শিশুরা উঠবে হেসে’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে পথশিশুদের স্কুল, এতিমখানা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশে যৌথভাবে ‘আম উৎসব’ পালন করেছে চাঁদপুর ও রাজশাহী জেলার দু’টি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন যথাক্রমে ‘লোটাস-বাড চ্যারিটি ফোরাম’ ও ‘আ স্কুল ফর হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন, ২০২৩) সংগঠন দু’টির তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা বস্তাভর্তি আম নিয়ে রাজধানীর হাজারীবাগের ‘স্নেহের ছায়া পাঠশালা’, ধানমন্ডির ‘অর্চিন কেয়ার’, হাতিরঝিলের ‘জুম বাংলাদেশ স্কুল’, গুলিস্তান ৩ নং গেইটের ‘পথের স্কুল’, পুরান ঢাকার ‘গো আপ ফাউন্ডেশন’, মিরপুর-২ এর ‘বিজয়ের পথযাত্রা’ ও কামরাঙ্গীরচরের ‘আমাদের বিদ্যানিকেতন’ এবং চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুরের ‘কাজী বাড়ি নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা’, ‘নারায়ণপুর আর্শ্বাদিয়া মাদ্রাসা’ ডাটিকারার ‘তাফহিমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা’, ‘নারায়ণপুর পশ্চিম বাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা’, ‘উত্তর কালিকাপুর নূরানিয়া হাফিজি মাদ্রাসা’ ‘কালিকাপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার নূরানী শাখা’ ও ‘পশ্চিম কালিকাপুর মহিলা মাদ্রাসা’য় বিভিন্ন জাতের প্রায় এক হাজার কেজি সুস্বাদু আম বিনামূল্যে বিতরণ করে। স্বেচ্ছাসেবীরা রাজশাহী জেলার বিভিন্ন আম বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে সংগঠনের অর্থায়নে এসব আম ঢাকায় নিয়ে এসে বিতরণের উদ্যোগ নেয়।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, ঢাকা ও গ্রামের অনেক পথশিশু স্কুল, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের পরিবারের সদস্যদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই, যাদের নিয়মিত দু’বেলা পেট পুড়ে খাওয়ার জন্য সংগ্রাম করতে হয় প্রতিনিয়ত। এই সকল দুঃস্থ, ছিন্নমূল ও এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য পুষ্টিকর আম খাওয়া তো স্বপ্নের মতো। তাই এ সকল কোমলমতী শিক্ষার্থীদের মুখে এক ফালি হাসি ফোটাতেই তাঁরা ‘আম উৎসব’ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।
কেন এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগ এমন প্রশ্নের জবাবে লোটাস-বাড চ্যারিটি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ বলেন, ‘ছিন্নমূল ও এতিম শিক্ষার্থীদের মুখে খুশির আভা দেখতেই আমাদের এ আয়োজন। বিশ্বে আম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ ১০-এ হলেও হতদরিদ্র শ্রেণির মানুষদের জন্য আম কিনে খাওয়া বিলাসিতাই বটে। তাই এই সকল কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের অন্তত একদিনের আমের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতেই আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
প্রসঙ্গত, সংগঠন দু’টি তাঁদের নিজ নিজ জেলায় বছরব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প, রক্তদান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা ও দুর্যোগকালীন সময়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।