প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:০৩
লতা মঙ্গেশকর আর নেই
সংগীতের মহাতারকা লতা মঙ্গেশকর আর নেই। তিনি আজ সকালে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
|আরো খবর
ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সব গণমাধ্যমগুলোই তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। তিনি প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর তার অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার আচমকা তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। দিতে হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি লতাকে।
গত ১১ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তিনি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। গত ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি।
লতাকে এর আগেও সঙ্কটজনক অবস্থায় একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। ভক্তদের আশ্বস্ত করে প্রত্যেকবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের এক মারাঠি পরিবারে। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর মারাঠী, তবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পারদর্শী। থিয়েটারও করতেন। আর মা সেবন্তী ছিলেন কোঙ্কনী গায়িকা। বাবা-মায়ের কাছ থেকেই শৈশবে গানের প্রতি টান তৈরি হয় লতার।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় ও গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া। মরাঠি ছবিতে। মুম্বাই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ছবিতে গান। ‘মজবুর’ ছবিতে।
পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে লতাই ছিলেন সবথেকে বড়। চল্লিশের দশকে গায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তারপর পঞ্চাশ, ষাট-সত্তরেরর দশক থেকে নব্বইয়ের দশকেও চুটিয়ে প্লে-ব্যাক করেন লতা মঙ্গেশকর।
বাংলা ভাষায় মোট ১৮৫টি গান গেয়েছেন তিনি। বাংলায় তার গান গাওয়ার শুরু হেমন্ত কুমারের হাত ধরে। নিজে কখনও গাওয়া গানের রেকর্ড না রাখলেও, বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে হিসেব বলছে গোটা জীবনে ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন কিংবদন্তী এই গায়িকা।