প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:০৬
রায়পুরে ১২১টি স্কুলে ক্লাস বন্ধ করে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে

সারা দেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোববার (৯ নভেম্বর ২০২৫) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা। দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ হয়ে গেছে।
|আরো খবর
শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকবে এবং শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিও চলবে। এর আগে শাহবাগে শিক্ষকদের ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে বহু শিক্ষক আহত হয়েছেন।
রায়পুর উপজেলা সহকারি শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহা মুক্তা জানান, আন্দোলনের সময় শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন এবং অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার পর শিক্ষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আশ্রয় নেন। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর রায়পুরের দুজনসহ অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবিগুলো হলো : ১. সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান; ২. উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান; ৩. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
কর্মবিরতির কারণে রায়পুর উপজেলায় বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে। সহকারী শিক্ষকরা এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন। অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষকদের সংগঠন জানিয়েছে, ’ সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। দাবিগুলো পূরণ না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে অগ্রগতি না হলে পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রায়পুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম জানান, ১২১টি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে বলে আমরা রিপোর্ট দিয়েছি।








