শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০০:৪৩

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে কাজির কামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

পরিত্যক্ত ভবন, পাশে পুকুর ও সিঁড়ি ঘেঁষে সড়ক

মো. মঈনুল ইসলাম কাজল
পরিত্যক্ত ভবন, পাশে পুকুর ও সিঁড়ি ঘেঁষে সড়ক
শাহরাস্তি পৌর এলাকার কাজির কামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে অফিস কক্ষ, টিনশেড ভবনের সিঁড়ি ঘেঁষে বিদ্যমান ঠাকুরবাজার-কাজির কামতা সড়ক এবং পাশে পুকুর--ঝুঁকির তিন নমুনা। ছবি : মো. মঈনুল ইসলাম কাজল।

শাহরাস্তি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ কাজির কামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২৫ জন শিক্ষার্থী ও ৮ জন শিক্ষক মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। একদিকে পরিত্যক্ত ভবন, পাশেই পুকুর ও মাঝখানে সড়ক। ত্রিমুখী এমন সমস্যার মাঝেই প্রতিদিনের পাঠদান অব্যাহত রয়েছে।

বিদ্যালয়টিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ছাদের নিচে বসেই অফিস করছেন শিক্ষকগণ। বিভিন্ন সময় পলেস্তরা খসে আহত হয়েছেন অনেকেই।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সরজমিনে এসে ২০২৪ সালে বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে যান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুবিধার্থে পুকুর পাড়ে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে টিনের ঘরটি পুকুরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জীবনের ঝুঁকির আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কোনো উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই পাঠদান অব্যাহত রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বিদ্যালয় ভবনের পাশ দিয়ে গেছে ঠাকুর বাজার-কাজির কামতা সড়ক। বিদ্যালয় ভবনের সিঁড়ি ঘেঁষে সড়কটির অবস্থান হওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হামিদা বেগম জানান, স্কুলটি এক শিফটের হলেও কক্ষ না থাকায় বাধ্য হয়েই আমরা দু শিফটে চালু করেছি। তিনি আরো বলেন, ভবনের জন্যে প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা প্রতিদিন আতংকের মধ্যে থাকি কখন ভবনটি ভেঙ্গে পড়ে। সহকারী শিক্ষকা হাসিনা আক্তার জানান, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে বসে অফিস করতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে।

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি নিয়ে আমরা মহাসমস্যায় পড়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান অব্যাহত থাকায় অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

এলাকাবাসীরা জানান, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় যে কোনো সময় শিক্ষার্থীরা পুকুরে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি বিদ্যালয় ঘেঁষে চলা যানবাহনের ধাক্কায় আহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, নতুন ভবনের জন্যে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আমি স্কুলটি পরিদর্শন করেছি। আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়