প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ১৯:২৮
শিক্ষার্থীদের অজান্তে কলেজে ভর্তির আবেদন, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
শিক্ষার্থীদের অজান্তে ভর্তির আবেদন করে নিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভোগান্তিতে পড়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনাটি ঘটেছে হাইমচর উপজেলার দূর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজে। এ উপজেলার প্রায় বেশ কটি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আবেদন করে নিয়েছে অভিযুক্ত বিদ্যালয়টি। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের কলেজে ভর্তি আবেদন না করতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। এ সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে স্থানীয় উপজেলা প্রেসক্লাবেও সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফরোজা ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা জানান, ২০২৪ সালে এসএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তি আবেদন করতে গিয়ে দেখে কে বা কারা দূর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজে তাদের আবেদন করেছে। যার ফলে তারা তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তি আবেদন করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের নিজেদের ও পরিবারের ইচ্ছের বাহিরে কেন এমন আবেদন করলো তার সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানান তারা।
কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ নাথ জানান, আমার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেনীতে কে বা কারা যেন আবেদন করে নিয়েছে। যারাই একাজটি করেছে ঠিক করে নি। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছে। আমার বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থী আছে ভাল রেজাল্ট করেছে। তারা যে কোন ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারবে। অন্য কলেজে আবেদন করার ফলে এখন তারা পছন্দের কলেজে ভর্তি আবেদন করতে পারছেন না।
দূর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিন জানান, কে বা করা শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন করেছে তা আমাদের জানা নেই। ইউএনও স্যার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি তারা দেখবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল জানান, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। আইনানুগভাবে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা জানান, শিক্ষার্থীদের অজান্তে কলেজে ভর্তি আবেদন করা কাজটি ঠিক হয়নি। আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহ করবো। শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করবো।