প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৯
শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে
পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে শিক্ষক আটক
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করার দায়ে প্রভাষককে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত শিক্ষক মিশু দে খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক। রোববার ২৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসির গণিত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের মাঝে নকল সরবরাহের অপরাধে তাকে বহিস্কার করেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াসির আরাফাত।
|আরো খবর
জানা গেছে, প্রভাষক মিশুদে তার নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসির আরাফাত উক্ত নকলের কপি সহ এক পরীক্ষার্থী কে হাতে নাতে ধরে ফেললে সে প্রভাষক মিশুদের নাম বলেন। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের টয়লেটে লুকিয়ে পড়েন। বেশ কিছু সময় পর তাকে টয়লেট থেকে উদ্ধার করে আটক করা হয়। এ বিষয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ঈমাম হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই স্কুলকেন্দ্রে গণিত পরীক্ষা চলাকালীন খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মিশু দে ১১৯নং কক্ষে শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করেন। যা পরবর্তীতে ওই কক্ষের মেঝে হতে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নকল সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক জানান, ১১৯নং কক্ষে তার বিদ্যালয়ের ২৩ জন পরীক্ষার্থী গণিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। তাদেরকে গণিত পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরীক্ষার ৭(গ) প্রশ্নের উত্তর লিখে সরবরাহ করেছেন। তাই নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করে পরীক্ষা কেন্দ্রের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করায় তার বিরুদ্ধে পবালিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৯ ধঅরা মোতাবেক নিয়মিত মামলা রুজু করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
শাহরাস্তিু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, নকল সরবরাহের করে ধরা পড়ার ভয়ে তিনি একটি টয়লেটে আত্মগোপন করেছিলেন। তবে পরে তিনি সবকিছু স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।