রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

কচুয়ায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥
কচুয়ায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন

কচুয়ায় প্রধান শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের দারাশাহী-তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকালে দারাশাহী-তুলপাই পাটোয়ারী বাড়ির মৃত জয়নাল পাটোয়ারীর ছেলে মনির হোসেন পাটোয়ারী বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের মিটিং চলাকালে নিজেকে ভূমিদাতা দাবি করে পরিচালনা পর্ষদের নবগঠিত (এডহক) কমিটিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত না করায় প্রধান শিক্ষক মোঃ জহিরুল ইসলামকে গালমন্দ করে হুমকি প্রদর্শন করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একযোগে ক্লাস বর্জন করে। এ সময় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল কাদের, অভিভাবক সদস্য ইসমাইল হোসেন, আরিফ হোসেন, বিশ্বনাথ দাস, তাজুল ইসলাম, লাইলি বেগমসহ স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ওইদিন ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সরেজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মনির হোসেন পাটোয়ারী অনধিকার প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে গালমন্দ ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। কথিত ভূমিদাতা পরিচয় দেয়া মনির হোসেন পাটোয়ারী কর্তৃক সৃষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরবো না।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির হোসেন পাটোয়ারী বলেন, আমাকে এডহক কমিটিতে না রাখার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামের সাথে বাক্বিতণ্ডা হয়েছে এবং সাথে সাথেই মীমাংসাও হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হাসানের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়