সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:১৭

দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকনিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চায় কমিটির একাংশ

পাপ্পু মাহমুদ
দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকনিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চায় কমিটির একাংশ

কচুয়ার দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারবার লিখিত আবেদন করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের একাংশ। জানা যায়, সভাপতির সেচ্ছাচারিত, অসচ্ছ,ও স্বজনপ্রীতির আশঙ্কায় স্থগিত চান বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের একাংশ। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিৃদ্যালয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য দেখা যায়।

গত ৩ ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য গাজী মাহবুব উল্লাহ , অভিভাবক সদস্য গাজী মোঃ আলমগীর হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ফারজানা আক্তার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

জানা যায়, গত ১৬ ই জুন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় কচুয়া উপজেলার দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে ৬ জন প্রধানশিক্ষক পদে ও ১০ জন সহকারী প্রধানশিক্ষক পদে আবেদন করেন।

অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় মেনেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক মেনেজিং কমিটির একাংশের সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়াই গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যাবাতীয় কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

গোপনে এই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার আশঙ্কায় ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য গাজী মাহবুব উল্লাহ , অভিভাবক সদস্য গাজী মোঃ আলমগীর হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ফারজানা আক্তার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চান তারা। পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজনের অনুরোধ জানান তারা।

নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে আবেদন করা বিদুৎসাহী সদস্য গাজী মাহবুব উল্ল্যাহ বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক অনৈতিক উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখে। কিন্তু গত ২৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও অভিভাবক সদস্যদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই ৬ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে। নিশ্চয়ই কোন গোপন উদ্দেশ্য আছে বিধায়ই তারা সব কিছু আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে করেছে।

অভিভাবক সদস্য গাজী মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া জন্য এবং এই স্কুলটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য একজন দক্ষ প্রধানশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক। তারা যে ভাবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুুতি নিয়েছে। এরমাঝে শুনা যায় তারাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিবে। আমরা এটা চাই না। আমরা সচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা চাই। যার মাঝে যোগ্য লোক প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবে।

সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ফারজানা আক্তারের বলেন, আমরা চাই সচ্ছ একটি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে একজন দক্ষ প্রধানশিক্ষক নিয়োগ হোক। আমরা কোন অদক্ষ প্রধানশিক্ষক নিয়োগ চাই না। বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক অসচ্ছতা আমরা দেখতে পাইতেছি। তাই আমরা চাই এই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হোক। পরবর্তী আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীকে প্রধানশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক আবদুর সোবহান বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে উঠা এই সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। আমি চাই কমিটির নিজেদের ভিতরে যদি কোন মতবিরোধ থাকে। তাহলে তারা সেটা সমাধান করে বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ করা হোক।

আর বিদ্যালয় মেসেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবু বকর মজুমদার উজ্জল বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমি কোন লিখিত ডকুমেন্ট পাই না। সচ্ছ একটি নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করার উদ্দেশ্যে আমি ইউএনও অফিসের একেবারে কাছের একটি স্কুলে এই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করছি। সেখানে ইউএনও থাকবে।

এই বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, বিধি মোতাবেক অনিবার্য কারণবশত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার স্থগিত করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়