প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ২০:৪৬
ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক সংগীত ও তবল শিল্পী সুরজিৎ চক্রবর্তী আর নেই
চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী
|আরো খবর
ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক গনিত শিক্ষক এবং চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সংগীত ও তবল প্রশিক্ষক সুরজিৎ চক্রবর্তী আর নেই।তিনি গত ৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটায় চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যান ঘাট সংলগ্ন ফেমাস স্প্রেশালাইজিষ্ট ও ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
সুরজিৎ চক্রবর্তী ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত প্রথমে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে চাঁদপুর ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে গনিত বিষয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। ২০১২ সালে তিনি ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সুরজিৎ চক্রবর্তী ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও তবলের প্রশিক্ষক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তান সহ বহু আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় সুরজিত চক্রবর্তীর মরদেহ মেথা রোডের বাসা থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আনা হলে তাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা, সংগিত নিকেতন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, সারদা দেবী ফোরাম সহ বিভিন্ন সংগঠন। শিল্পকলা একাডেমি থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীশ্রী কালিবাড়ি মন্দিরে, রামকৃষ্ণ আশ্রম, গোপাল জিউর আখড়া হয়ে চাঁদপুর পৌর মহা শশ্মানে। দুপুর ২ টায় সেখানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
সুরজিত চক্রবর্তীর মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার দিতি সাহা, জেলা স্কাউটস সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য ও অনন্যা নাট্য গোষ্ঠীর সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাধারন সম্পাদক মৃণাল সরকার, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহা সচিব হারুন আল রশিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সভাপতি তপন সরকার, সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ স্বপন সেন গুপ্ত, সপ্তসূর সংগীত একাডেমির অধ্যক্ষ রূপালী চম্পক, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি মুক্তা পীযুষ, চিকিৎসক ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়া।
এদিকে এর আগে তাঁর প্রিয় কর্মস্হল ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে মৃত্যুর খবর শুনে শোক সভা করে এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
সুরজিৎ চক্রবর্তীর একজন শিক্ষক হিসেবে বেশ পরিচিত ও সুনাম রয়েছে। মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে তাঁর ছাত্ররা বাসায় ভীড় করে এবং লাশ দাহ পর্যন্ত প্রিয় শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।