প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:২৫
চাঁদপুর ডিএন হাই স্কুলে কৃতী শিক্ষার্থী কর্তৃক মা-বাবার প্রতি শ্রদ্বাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান
আমাকে সম্মান দেখানোর কিছু নেই আমি এখনো ছাত্র
-----------------প্রাক্তন ছাত্র ও বুয়েটের ভিসি ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ভিসি ও চাঁদপুর দ্বারকনাথ (ডিএন) হাই স্কুলের সাবেক কৃতী শিক্ষার্থী ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেছেন, সৎ, স্মার্ট ও শিক্ষিত হতে পারলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন হবে। শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্মার্ট চিত্তের হতে হবে। আমাকে সম্মান দেখানোর কিছু নেই, আমি এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। এখানে এসে আমার মনে হল আমি এখনো ছাত্র।
|আরো খবর
তিনি ২২ জানুয়ারি বেলা সাড়ে এগারোটায় প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতী শিক্ষার্থী কর্তৃক মা-বাবার প্রতি শ্রদ্বাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথির শিক্ষক ও ডিএন হাইস্কুলের প্রাক্তণ শিক্ষক চন্দন তালুকদার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন। ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি ডাঃ এসএম সহিদ উল্লাহর সভাপ্রধানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কামাল হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, প্রাক্তন ছাত্র ডাঃ মুকিত সফিউল আলম, গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন, দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আহমেদ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অভিভাবক মোস্তফা কামাল, নাসির উদ্দিন আহমেদ, মানপত্র পাঠ করেন শিক্ষিকা কৃষ্ণা মিস্ত্রি।
শপথ বাক্যপাঠ করেন ৮ম শ্রেণির ছাত্র রাফাত হোসেন। অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্ণব পাল। বুয়েট ভিসি ও চাঁদপুর দ্বারকনাথ (ডিএন) হাই স্কুলের সাবেক কৃর্তী শিক্ষার্থী ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারের সহধর্মিণী রীতা মজুমদারসহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবকগণ ও শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বুয়েট ভিসি আরো বলেন, মা-বাবা ও পরিবারের গুরুজনদের প্রতি কর্তব্য, ভালোবাসা ও চেতনা জাগানোর জন্য উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। সন্তানেরা আজ যে শিক্ষা পেল, তা আগামী প্রজন্মের জন্যে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে বাবা মার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে। সারাক্ষণ তারা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বাবা-মার কথা শুনতে চায় না, অনেকে খবর রাখে না। মা-বাবার প্রতি সন্তানের ভক্তি-শ্রদ্ধার এই শিক্ষা স্কুল কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা দরকার। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বলবো এই ধরনের প্রোগ্রাম যাতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়।
বুয়েট ভিসি আরো বলেন, আমার শিক্ষা জীবনের শুরু দ্বারকা নাথ স্কুল থেকে। ১৯৬৪ সালে আমার বাবা মনোরঞ্জন মজুমদার শিক্ষক হিসেবে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে বাবা আমাকে স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে দেন। তখন আমাদের বাসা ছিল হাসান আলী স্কুলের পাশে ঘোষ পাড়ায়। তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির মধ্যদিয়ে আমার স্কুল জীবন ও শিক্ষা জীবন শুরু হয়। চাঁদপুরে আসার পূর্বে আমরা ফেনী জেলা দাগন ভূঁইয়াতে গ্রামে ছিলাম। এর পূর্বে আমরা গ্রামে থাকায় স্কুল অনেক দূরে হওয়ায় প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণি পড়া হয়নি। এ স্কুলে আমার সবচেয়ে স্মৃতিময় দিন কেটেছে।
চাঁদপুর দ্বারকনাথ (ডিএন) হাই স্কুলের ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে এদিন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ‘মা-বাবার প্রতি সন্তানের শ্রদ্ধা ভক্তির এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের মা-বাবার পা ছুয়ে সালাম করছেন, কেউ মায়ের মুখে তুলে দিচ্ছে মিষ্টি। কেউ ফুলের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
সন্তানের এই শ্রদ্ধা ভক্তিতে এ সময় অনেক মা সন্তানকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদে ফেলেন। সেখানে উপস্থিত সবার মাঝে এক আবেগময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে স্কুলে পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। বিদ্যালয়ের এই সনদ তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বুয়েট ভিসি ।