প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২১, ০০:০০
দাম বাড়িয়ে বিক্রির অভিযোগ
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার হিড়িক
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধকে সামনে রেখে আগের সীমিত লকডাউনের শেষদিন গতকাল বুধবার চাঁদপুরের বাজারগুলোতে নিত্যপণ্য কেনাকাটার হিড়িক পড়ে যায়। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
|আরো খবর
গতকাল বুধবার (৩০জুন) সারাদেশে কঠোর লকডাউন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর প্রভাব পড়েছে আটা-ময়দা, তেল-চিনি, চাল-ডাল, আলু পেঁয়াজ রসুনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে।
এসব পণ্যসহ আরো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং খাদ্যদ্রব্য কেনার জন্যে শহরে মানুষের প্রচুর আনাগোনা দেখা যায়। কালিবাড়ি, কোর্টস্টেশন, রেলওয়ে হকার্স মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, জেএম সেনগুপ্ত রোড, নতুনবাজার, পালবাজার, ব্রিজের গোড়া, বিপণীবাগ, মিশন রোডের মাথা, স্টেডিয়াম রোড ও পুরাণবাজারের পাইকারি বাজার এলাকাসহ সব দিকের হাট বাজারে লকডাউনের প্রস্তুতির কেনাকাটার চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউনের খবরে আজ আমাদের বেচা-কেনা ভালো হয়েছে। চাল-ডাল, পেঁয়াজ-রসুন, আটা-ময়দা, আলু-চিনি-তেলসহ অন্যান্য সকল পণ্যই বেশি বিক্রি হয়েছে। এদিকে অনেক নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দেশি পেঁয়াজ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকালে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিলো ৪০ টাকা, কিন্তু বিকেলে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়। পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুনও বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দরে। প্রতিকেজি চাল ৫০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামালের মধ্যে ঢেঁড়শ, পটল, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিপ্রতি। ঝিঙ্গা, কচুর, বেগুন, বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজিপ্রতি। টমেটো এবং করলা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। ১৭/১৮ টাকার আলু ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। কাঁচাবাজারে মাছের দামতো আকাশচুম্বী। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং না থাকায় লকডাউনের সুযোগটা কাজে লাগায় ছোট বড় ব্যবসায়ীরা।