প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১২:৫৪
কিশোর গ্যাংয়ের আবারো হাইমচরে আঘাত
সুদের টাকা না দিতে পারায় রফিক মিজি কোপালো সফিককে
চাদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামের সাবু মাস্টারের মোড়ের দক্ষিণ পাশে ১৭ নভেম্বর সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় কিশোর গ্যাং রফিক মিজি (১৭) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে সফিক মালত্ (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে।
|আরো খবর
এলাকাবাসী জানায়, পরিকল্পিতভাবে ফ্লিমি স্টাইলে রফিক মিজি (১৭)সহ কিশোর গ্যাং এলাউছ বেপারীর ছোট টং দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝো উঠার আগেই একটি মটর বাইক এসে কিশোর গ্যাং রফিক মিজি (১৭)কে নিয়ে চলে যায়। এলাকাবাসী এদেরকে নিয়ে আতংকে রয়েছে বলে জানায়।
ঘটনার স্থলে উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় দীর্ঘ দিন আগে সফিক মালত্ অভাবের তাড়নায় সুদের ব্যবসায়ী জয়নাল মিজির কাছ থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন। গত পাঁচ সাত দিন আগে ৩০ হাজার টাকার সুদ আসল সহ ১,২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা দাবি করেন জয়নাল মিজি। তার মধ্যে ৪২,০০০ (বিয়াল্লিশ হাজার) টাকা পরিশোধও করেছেন সফিক মালত্। কিন্তু বাকী টাকার জন্য গত চার পাঁচ দিন আগে সফিক মালত্ কে গায়ে হাত তোলাসহ হুমকি দিয়েছেন জয়নাল মিজি। সামান্য কথার কাটাকাটিও হয় দু জনের মধ্যে। এতে জয়নাল গাজী তাকে মারার হুমকিও দেয়।
পরবতীতে ভয়ে সফিক মালত্ ৫নং হাইমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ সরকারকে অনুরোধ করেন জয়নাল মিজির সাথে সমস্যার সমাধান করে দিতে। চেয়ারম্যান এরই মধ্যে দুজনের কোলাকুলির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে দেন। আর সুদের বাকী টাকা আগামী দুই মাসে দুই কিস্তিতে দেওয়ার কথার প্রেক্ষিতে সমস্যার সমাধান করেন।
কিন্তু ১৭ নভেম্বর সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় জয়নাল মিজির পুত্র কিশোর গ্যাং রফিক মিজি বস্তা থেকে ধারালো ছেনা বের করে জনসম্মুখে এলাউছ বেপারীর দোকানের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সফিক মালতকে জখম করে। মারাত্মক জখম অবস্থায় উপস্থিত এলাকার লোকজন সাথে সাথে সফিক মালত্ কে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনা জানার সাথে সাথে ঘটনারস্থলে পুলিশের টিম পাঠান। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ধারালো ছেনাসহ নুরু মিজি (২০) নামের একজনকে আটক করে। নুরু মিজিকে কেন পুলিশ আটক করেছে এখনো জানা যায় নি। এ সংবাদ লেখার আগ পর্যন্ত হাইমচর থানায় এ ঘটনা নিয়ে কোন মামলা হয়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, এলাউছ বেপারী (৬২) (যার দোকানের সামনে ঘটনা ঘটেছে), মোখলেস সর্দার (৭০), শাহজাহান চকিদার (৬৮), মোশাররফ গাজী(৬০)সহ আরো লোকজন। উপস্থিত লোকজন বলেন এ ঘটনাটি সম্পুর্ন পরিকল্পিত। জয়নাল মিজির আদেশেই উনার ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।